কলকাতা, 11 মে : শহরের বুকে সিন্ডিকেট থেকে শুরু করে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য । পুলিশের সামনে গুলি চালানোর ঘটনা থেকে শুরু করে একেবারে গোষ্ঠী সংঘর্ষ । অনেক ক্ষেত্রেই ভিড়ের মধ্যে থাকা দুষ্কৃতীদের চিহ্নিতকরণে একাধিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয় তদন্তকারী আধিকারিকদের । কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি সেই সমস্যা মিটতে চলেছে (Kolkata Police to introduce AI based app to identify miscreants)। কিন্তু কীভাবে ?
লালবাজার সূত্রের খবর, এবার ভিড়ের মধ্যে থেকে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার জন্য বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে চলেছে কলকাতা পুলিশ । তবে কী এই বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন বা পদ্ধতি ? নাম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স । এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের সময় সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবিতে, কোন কোন দুষ্কৃতী রয়েছে তা এক ক্লিকেই ধরা পড়বে এই বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে । শুধু দুষ্কৃতীদের মুখের ছবি নয় । বরং ভিড়ের মধ্যে থেকে বা সংঘর্ষের সঙ্গে যুক্ত থাকা মুহূর্তে দুষ্কৃতীদের চোখের পাতা, দাঁত এবং নখ দেখেও ঘটনায় লিপ্ত থাকা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে । শুধু চিহ্নিতকরণই নয়, দুষ্কৃতীদের ছবি ও তাদের ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড বা অতীতে অপরাধে যুক্ত থাকার ইতিহাস মিলবে অতি সহজেই । জানা গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি এই বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে মহানগরে ক্রিমিনালদের চিহ্নিত করতে ।
কিন্তু কীভাবে কাজ করবে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ? প্রশ্নের জবাবে লালবাজারের এক দুঁদে গোয়েন্দা বলেন, কলকাতা পুলিশের আওতাধীন এলাকায় কোনও রকমের গন্ডগোলের খবর সামনে এলে পুলিশ সেখানে দ্রুতই পৌঁছে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করে । এরপর ঘটনার সঠিক বিবরণ পেতে রাস্তার কিংবা পার্শ্ববর্তী কোনও বাড়ি বা অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্তকারী আধিকারিকরা । আর এখান থেকেই শুরু হবে এই বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে কাজ (Lalbazar to Introduce AI Based App) ।
আরও পড়ুন : ED Raids at Four Locations in Kolkata : আর্থিক তছরুপের মামলায় কলকাতার চার জায়গায় ইডি’র তল্লাশি
সূত্রের খবর, ঘটনার সময় সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করে সমস্ত ফুটেজ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নামক অ্যাপে যুক্ত করা হবে । এরপরে একাধিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিড়ের মধ্যে থাকা প্রত্যেক দুষ্কৃতীর নাম, ঠিকানা-সহ বিস্তারিত তথ্য এক লহমায় পৌঁছে যাবে গোয়েন্দাদের কাছে । জানা গিয়েছে, এই বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করলে চটজলদি দুষ্কৃতীদের শনাক্তকরণ এর কাজ সম্পন্ন হবে । পাশাপাশি তদন্তের গতিও বৃদ্ধি পাবে ।