ETV Bharat / city

আরও কড়া কলকাতা পুলিশ, ব্যারিকেড রাজাবাজার সহ একাধিক জায়গায় - কোরোনা

কলকাতাজুড়ে আরও সক্রিয় পুলিশ। রাজাবাজার, বেলগাছিয়া সহ একাধিক এলাকার অলিগলিও মুড়ে ফেলা হল ব্যারিকেডে। চলছে টহলদারিও।

on lockdown police activity in kolkata
রাজাবাজার
author img

By

Published : Apr 22, 2020, 5:07 PM IST

Updated : Apr 22, 2020, 6:54 PM IST

কলকাতা, 22 এপ্রিল: কলকাতায় রয়েছে কেন্দ্রীয় দল। এমন সময় শহরজুড়ে আরও সক্রিয় হল পুলিশ। বিশেষ তৎপরতা দেখা গেছে বন্দর, বেকবাগান, পার্ক সার্কাস, রাজাবাজার ও বেলগাছিয়া এলাকায়। এই সব জায়গার গলিতেও চলছে টহলদারি। কাউকে অপ্রয়োজনে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।

রাজাবাজারের প্রধান রাস্তাগুলি তো বটেই, এমনকী প্রতিটি গলিও ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে । সঙ্গে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না স্থানীয়দের। প্রায় একই ছবি বেলগাছিয়াতেও।

পুলিশের এই কড়া পদক্ষেপের পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সম্প্রতি একটি চিঠি পাঠায়েছিল রাজ্য সরকারকে। মুখ্যসচিবকে লেখা সেই চিঠিতে কলকাতার কয়েকটি জায়গায় লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না বলে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। সেই চিঠিতে আলাদা করে উল্লেখ করা হয় রাজাবাজার, নারকেলডাঙা, তপসিয়া, মেটিয়াব্রুজ, গার্ডেনরিচ, একবালপুর এবং মানিকতলার কথা। চিঠিতে শিলিগুড়ির কথাও বলা হয়। সেই চিঠিটিতে বলা হয়, অনেক ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক পণ্যের পাশাপাশি সাধারণ জিনিসপত্রের দোকানও খোলা থাকছে শিলিগুড়িতে। মানুষ ভিড় করছে। একইসঙ্গে চিঠিতে তোলা হয়েছিল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার মসজিদের ঘটনার কথা। তা উল্লেখ করে বলা হয়, মুর্শিদাবাদের কয়েকটি মসজিদে এখনও জমায়েত হচ্ছে ।

ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ও রাজ্যে তথা শহরে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের উপস্থিতিতে আজ রীতিমতো কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা পুলিশ। আজ বন্দর এলাকার বেশিরভাগ এলাকাকে ব্যারিকেড দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়। ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি চালানোও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি হ্যান্ড মাইকের ব্যবহার করে সচেতনতার বার্তা দেওয়া তো চলছেই।

এর আগেও কলকাতা পুলিশের তরফে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়েছিল । লকডাউন না মানলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে, এমন হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে গতকালই পুলিশের এক কর্তা নিজে রাজাবাজার এলাকা পরিদর্শন করেন। তারপরই তৈরি হয় বিশেষ পরিকল্পনা। সেই সূত্রেই আজ কার্যত দুর্গের চেহারা নিল রাজাবাজার।

কলকাতা, 22 এপ্রিল: কলকাতায় রয়েছে কেন্দ্রীয় দল। এমন সময় শহরজুড়ে আরও সক্রিয় হল পুলিশ। বিশেষ তৎপরতা দেখা গেছে বন্দর, বেকবাগান, পার্ক সার্কাস, রাজাবাজার ও বেলগাছিয়া এলাকায়। এই সব জায়গার গলিতেও চলছে টহলদারি। কাউকে অপ্রয়োজনে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।

রাজাবাজারের প্রধান রাস্তাগুলি তো বটেই, এমনকী প্রতিটি গলিও ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে । সঙ্গে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না স্থানীয়দের। প্রায় একই ছবি বেলগাছিয়াতেও।

পুলিশের এই কড়া পদক্ষেপের পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সম্প্রতি একটি চিঠি পাঠায়েছিল রাজ্য সরকারকে। মুখ্যসচিবকে লেখা সেই চিঠিতে কলকাতার কয়েকটি জায়গায় লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না বলে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। সেই চিঠিতে আলাদা করে উল্লেখ করা হয় রাজাবাজার, নারকেলডাঙা, তপসিয়া, মেটিয়াব্রুজ, গার্ডেনরিচ, একবালপুর এবং মানিকতলার কথা। চিঠিতে শিলিগুড়ির কথাও বলা হয়। সেই চিঠিটিতে বলা হয়, অনেক ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক পণ্যের পাশাপাশি সাধারণ জিনিসপত্রের দোকানও খোলা থাকছে শিলিগুড়িতে। মানুষ ভিড় করছে। একইসঙ্গে চিঠিতে তোলা হয়েছিল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার মসজিদের ঘটনার কথা। তা উল্লেখ করে বলা হয়, মুর্শিদাবাদের কয়েকটি মসজিদে এখনও জমায়েত হচ্ছে ।

ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ও রাজ্যে তথা শহরে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের উপস্থিতিতে আজ রীতিমতো কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা পুলিশ। আজ বন্দর এলাকার বেশিরভাগ এলাকাকে ব্যারিকেড দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়। ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি চালানোও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি হ্যান্ড মাইকের ব্যবহার করে সচেতনতার বার্তা দেওয়া তো চলছেই।

এর আগেও কলকাতা পুলিশের তরফে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়েছিল । লকডাউন না মানলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে, এমন হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে গতকালই পুলিশের এক কর্তা নিজে রাজাবাজার এলাকা পরিদর্শন করেন। তারপরই তৈরি হয় বিশেষ পরিকল্পনা। সেই সূত্রেই আজ কার্যত দুর্গের চেহারা নিল রাজাবাজার।

Last Updated : Apr 22, 2020, 6:54 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.