কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর : কলকাতা পুলিশের মিউজিয়ামে আসতে চলেছে সোনার হরিণ । ব্রিটিশ আমলে একটি বার্গলারির ঘটনায় বাজেয়াপ্ত হয়েছিল হরিণটি ৷ এতদিন কলকাতা পুলিশের মালখানায় পড়েছিল ৷ এবার সাধারণ মানুষও দেখতে পাবেন এই হরিণ ৷
আরও পড়ুন : Coal-Smuggling: কয়লা পাচার কাণ্ডে শহরজুড়ে ইডির তল্লাশি
স্বাধীনতার আগে 1940 সালে কলকাতা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছিল এই সোনার হরিণটিকে । তার পর থেকে এটি পড়েছিল লালবাজারের সেন্ট্রাল মালখানায় । সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের নগরপাল হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মালখানাগুলিকে ভালভাবে সাজানোর উপর জোর দেন সৌমেন মিত্র । এরপরেই লালবাজারের সেন্ট্রাল মালখানাটিকে ডিজিটালাইজড করার জন্য পরিষ্কার শুরু হয় ৷ সেই কাজের সময়ই উদ্ধার হয় ওই সোনার হরিণ ।
এবার সেটিকে আর অযত্নে ফেলে রাখতে চায়নি কলকাতা পুলিশ ৷ বরং এবার সেটার ঠাঁই হতে চলেছে রিপন স্ট্রিটের পুলিশ মিউজিয়ামে ৷ ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু করা হয়েছে পুলিশের তরফে ৷ লালবাজার সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র নিজে মিউজিয়ামে গিয়ে দেখে এসেছেন যে আসলে এই অমূল্য সম্পদটি ঠিক কোথায় রাখা হবে ।
আরও পড়ুন : Post Poll Violence : ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিট সিবিআইয়ের
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলিধর শর্মা ইটিভি ভারতকে বলেন, ‘‘লালবাজারের মালখানাটি ডিজিটাল হওয়ার সময় আচমকাই এই হরিণটি জীর্ণ অবস্থায় উদ্ধার হয় ৷ পরে সেটিকে পালিশ করা হয় । হরিণটি উদ্ধারের সময় আইনি কাগজপত্রগুলি থেকে এটাই জানা গিয়েছে যে এটি 1940 সালে কলকাতা শহরের একটি বার্গলারির ঘটনায় উদ্ধার হয়েছিল ৷’’
113 নম্বর রিপন স্ট্রিটের উপর প্রায় 2000 বর্গফুট জায়গা জুড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে কলকাতা পুলিশের ঐতিহ্যবাহী মিউজিয়াম ৷ নগরপাল হিসাবে দায়িত্ব নিয়েই পুলিশ সংগ্রহশালাকে নিয়ে একাধিক উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেন সৌমেন মিত্র । শুধুমাত্র টিকিট বিক্রি করে যে সংগ্রহশালা রক্ষণাবেক্ষণের খরচ উঠবে না, তা বিলক্ষণ বুঝেছিলেন তিনি । ফলে এখন বিল্ডিংয়ের নিচে পুলিশ মিউজিয়াম আর উপরে বিস্তর জায়গা জুড়ে রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া ।
আরও পড়ুন : Mamata Puja Theme: মমতার 10 হাতে 10 প্রকল্প, নয়া চমক বাগুইআটির পুজোয়
সেখানে গেলেই এবার সোনার হরিণ দেখতে পাবেন সাধারণ মানুষ ৷ সঙ্গে দেখা যাবে আরও অনেক কিছু, যা কলকাতার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ৷