কলকাতা, 28 সেপ্টেম্বর: গার্ডেনরিচের বাড়ি থেকে সাড়ে 17 কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গাজিয়াবাদ থেকে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আমির খানকে (Aamir Khan) গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ ৷ তাঁকে জেরা করেই আবার পুজোর মুখে অপরাধ দমনে বড়সড় সাফল্য পেল লালবাজার (Lalbazar)। শহরের তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রের খাসতালুক সল্টলেকে ঝাঁ-চকচকে অফিস খুলে বিদেশে চলছিল কোটি কোটি টাকার প্রতারণা। অটোমেটিক ওটিপি জেনারেটের মাধ্যমে পাতা হয়েছিল প্রতারণার ফাঁদ ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, সল্টলেকের যে অফিসে হানা দেওয়া হয় সেখানে কাউকে খুঁজে পাওয়া না-গেলেও সেখান থেকে একাধিক উন্নতমানের যন্ত্রপাতি এবং প্রায় 2 হাজার সিম কার্ড উদ্ধার হয়েছে (Kolkata police raids against fraud at Saltlake)।
জানা গিয়েছে, সার্ভার মেশিনের সঙ্গে এই সিম কার্ডগুলি কানেক্ট করে বিদেশি একাধিক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ওটিপি জেনারেট করা যেত এবং সেখান থেকেই ব্যাংক প্রতারণার কারবার চলত। সম্প্রতি অনলাইন মোবাইল গেমিং অ্যাপ-এর মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে কলকাতা বন্দর এলাকা থেকে ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর গোয়েন্দারা ৷ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে 17 কোটি টাকা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে গাজিয়াবাদ থেকে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আমির খানকে গ্রেফতার করে লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷
পরবর্তীতে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে লাগাতার জেরা করে সল্টলেকের এই প্রতারণা অফিসের সন্ধান পান গোয়েন্দারা। উদ্ধার হওয়া 1952টি সিমকার্ডের সবক'টির সঙ্গে একটি করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লিংক থাকত বলে জানা গিয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, অফিসে উন্নতমানের বেশ কিছু সিম বক্স এবং সার্ভার মেশিনেরও হদিশ পাওয়া গিয়েছে ৷ যা অপারেট হত অনলাইনের মাধ্যমে । কিন্তু স্থানীয় থানা কীভাবে এহেন বড়সড় প্রতারণার কথা জানতে পারল না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: চিটফান্ড প্রতারণা মামলায় বিজেপি নেতা-সহ চারজনকে গ্রেফতার সিবিআইয়ের
এই সার্ভারগুলি কারা অপারেট করত সে বিষয়ে গোয়েন্দারা সেই অর্থে কিছু না-জানতে পারলেও ইতিমধ্যেই একাধিক তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটে তারা জানতে পেরেছেন সকল সিম বক্স এবং সার্ভার অপারেট হতো বিদেশ থেকে। সমস্ত আধুনিক মেশিনপত্র, উদ্ধার হওয়া একাধিক সিম বক্স এবং সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে লালবাজার।