কলকাতা, 17 জানুয়ারি: করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় সারা দেশের পাশাপাশি জেরবার রাজ্যও ৷ সংক্রমণ রুখতে একটি উদ্যোগ নিয়েছিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata police getting good morning messages)৷ থানাগুলিতে অযথা অভিযোগকারীদের ভিড় যাতে না হয়, সে জন্য প্রত্যেকটি থানায় পৃথক পৃথক অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়ে, সেখানে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফোনের মাধ্যমে অভিযোগ নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল লালবাজার । কিন্তু অভিযোগ নয়, তার পরিবর্তে গুড মর্নিং, গুড নাইট, করোনায় প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে কলকাতা পুলিশকে ধন্যবাদ - এই ধরনের মেসেজে (Kolkata police WhatsApp number) ভরছে মোবাইলের স্টোরেজ ৷
দিনে প্রত্যেকটি থানায় প্রায় 70 থেকে 100টি করে এই প্রকারের অপ্রয়োজনীয় মেসেজ আসছে বলে খবর লালবাজার সূত্রের । যা ডিলিট করতে করতে ক্লান্ত পুলিশকর্মীরা । ফলে যে প্রয়োজনে এই নম্বর ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল, তা কোনও কাজেই সেইভাবে লাগছে না বলে অভিযোগ থানার পুলিশ কর্মীদেরই।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের উপর থেকে নিচ তলার বেশ কিছু কর্মী বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন। এর মধ্যে হরিদেবপুর থানা, ভবানীপুর থানা, বেনিয়াপুকুর থানা-সহ একাধিক থানার সিংহভাগ পুলিশকর্মীই করোনায় আক্রান্ত । বড়দিন এবং ইংরেজি বর্ষবরণের পর থেকেই কলকাতায় তথা রাজ্যে হু হু করে বাড়তে থাকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । এতে বাদ যাননি পুলিশকর্মীরাও ৷
আরও পড়ুন: Vineet Goyal Tests Covid Positive : করোনা আক্রান্ত কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান এমনকী কলকাতা পুলিশের নগরপালও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন । তাছাড়াও একাধিক থানার বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশন দিন কাটাচ্ছেন । এই অবস্থায় যাতে থানায় অভিযোগকারীদের ভিড় না জম, তার জন্যই প্রত্যেকটি থানাকে লালবাজার তরফ থেকে একটি করে অ্যানড্রয়েড ফোন এবং বিশেষ নম্বর দেওয়া হয়েছিল । বলা হয়েছিল, এই নম্বরে ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp number for filing allegation) মাধ্যমে কোনও অভিযোগকারী অভিযোগ করতে পারবেন । তবে এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই শুরু হয় বিপত্তি ।
আরও পড়ুন: Kolkata Police : করোনা আক্রান্ত কলকাতা পুলিশের একাধিক আধিকারিক
এখন এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে শুধুমাত্র আসছে গুড মর্নিং, গুড নাইট মেসেজ ৷ কেউবা একগুচ্ছ রজনীগন্ধা বা গোলাপ ফুলের ছবি পাঠাচ্ছেন ৷ আবার কেউ পুলিশকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন ৷ তাছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ করেই অনেকে আবার জানতে চাইছেন, এই নম্বরটা কি এখনও চালু আছে ? আর কতদিন এই নম্বরটি চালু থাকতে পারে, এমন সব উদ্ভট প্রশ্নে নাভিশ্বাস উঠেছে থানার ডিউটি অফিসারদের ।