কলকাতা, 4 মে : পুলিশের মতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিচালনার ফলে বেপরোয়া গতির সংখ্যা অনেকটাই কমেছে (Police claim number of traffic cases decreased due to awareness) ৷ সচেতন হয়েছেন বাইক চালক থেকে চার চাকার চালকরা । ফলে শহরে কমেছে বেপরোয়া গাড়ির উপর মামলার পরিসংখ্যানও । তবে পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দোপ্যাধ্যায় (Bus union unwilling to accept that)।

কলকাতা পুলিশের নগরপাল হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর বিনীত গোয়েল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সাইবার অপরাধ এবং শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাকে মজবুত করা । ফলে এবার শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাকে মজবুত করার জন্য ইতিমধ্যেই মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বসানো হয়েছে একাধিক স্পিডোমিটার । পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরা-সহ একাধিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি । আর এর ফলেই শহরে সচেতন হয়েছে বাইক আরোহী থেকে শুরু করে চার চাকার চালকেরা, এমনই দাবি পুলিশের (Kolkata Police on Traffic Cases) ৷
এই বিষয়ে লালবাজারের দেওয়া একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যখন থেকে শহরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থার ওপর কড়াকড়ি করা হয়েছে এবং মোটরযান আইনে 183 নম্বর ধারায় ( অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো) এর প্রয়োগের ফলে 2022 সালে জানুয়ারি মাস থেকে ধীরে ধীরে অভিযুক্ত গাড়ির মামলার সংখ্যা অনেকটা কমেছে । পরিসংখ্যান অনুযায়ী লালবাজার সূত্রের খবর, প্রায় 85 হাজার মামলা কমেছে কলকাতা পুলিশের আওতাধীন রাস্তায় । অন্য একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ট্রাফিক আইন মজবুত এবং আগের তুলনায় আরও কড়াকড়ি হওয়ার ফলে বেপরোয়া গাড়ি-বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কিছুটা হলেও বেড়েছে ।

এই বিষয়ে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বার সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দোপ্যাধ্যায় বলেন, "যান চলাচল শাসন করতে গেলে প্রয়োজন হয় পরিকাঠামো । শুধুমাত্র আইন কড়াকড়ি করে এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে হাতিয়ার করে কখনোই যান শাসন করা যায় না ।" তিনি আরও বলেন, "পুলিশ অত্যাধুনিক ব্যবস্থায় ট্রাফিক পরিচালনা করছে এটা ঠিক । কিন্তু পুলিশের জুলুমবাজি এখনও পর্যন্ত আমাদের উপর থেকে ওঠেনি । গাড়ি কত গতিতে চলবে তার জন্য পুলিশ যে টেকনোলজি ব্যবহার করছে তাতে প্রথমেই জানতে হবে এই শহরে রাস্তা কত পার্সেন্ট রয়েছে । আমার দাবি, কলকাতা শহরের 6 থেকে 8 শতাংশ রাস্তা রয়েছে যা কোনও মেট্রোপলিটন শহরে নেই । অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহরে 38 থেকে 45 শতাংশ রয়েছে রাস্তার পরিমাণ ।"

তিনি আরও বলেন, "আমার পরবর্তী প্রশ্ন এই শহরে দিনে কত সংখ্যক গাড়ি চলে ? প্রায় 15 লক্ষ্য গাড়ি চলাচল করে । পাশাপাশি অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহরের হকাররা কলকাতা শহরের রাস্তার মত জবর দখল করে বসে থাকে না । তার ফলে যত্রতত্র বাস দাঁড় করাতে হচ্ছে এবং তার জন্যই পথ দুর্ঘটনা বাড়ছে । এই টেকনোলজি ব্যবহার করে পুলিশ ট্রাফিক আইনকে কড়াকড়ি করার মধ্যে দিয়ে শুধুমাত্র রাজস্ব আদায় করছে, আর কিছু না ৷" ৷