কলকাতা, 8 জানুয়ারি : করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামাল দিতে কলকাতা পুলিশে চালু করা হচ্ছে বাড়ি থেকে কাজ বা ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Kolkata Police starts work from home) । প্রায় প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশকর্মীরা ৷ তা থেকে বাঁচার জন্য পুলিশকর্মীদের বাড়িতে বসে কাজের এই সিদ্ধান্ত নেওয়াই সঠিক কাজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পুলিশের সবস্তরের কাজ এভাবে হতে পারে না । এসআই বা কনস্টেবল পদের কাজের ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে প্রায় কোনও কাজই নেই বললেই চলে ।
করোনার এই তৃতীয় ঢেউয়ের ফলে থমকে রয়েছে কলকাতা পুলিশের একাধিক কাজ । যেমন কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডের প্রতিদিনের প্রশিক্ষণ প্রায় থমকে আছে বললেই চলে । প্রতিদিন সকালে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের মাঠে হ্যান্ডালাররা বিশেষ প্রশিক্ষণ দেন কলকাতা পুলিশের কুকুরগুলিকে । কিন্তু কোভিডের কারণে তা এখন চালানো সম্ভব হচ্ছে না ৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডের এক হ্যান্ডালার জানান, বিস্ফোরক বা ড্রাগ খুঁজে বের করা বা গন্ধ শুঁকে অপরাধীদের খুঁজে বের করা বা ভিআইপি সুরক্ষার বিভিন্ন কাজে এই স্কোয়াডের সারমেয়রা একান্তই আবশ্যক । তাদের প্রশিক্ষণ থেমে গেলে তা মারাত্মক হতে পারে । কারণ কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডে যেসব কুকুর আছে তা আগে থেকেই বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত । কিন্তু এদের নিত্যদিন অনুশীলন করানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । না-হলে পরবর্তীকালে কাজ করতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে এই কুকুরগুলি ।
শুধু কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডই না । করোনার ফলে প্রভাব পড়েছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দাদের উপরও । এসটিএফের কাজ মূলত রাজ্য বা কলকাতার মধ্যেই একাধিক জঙ্গি সংগঠনের গতিবিধির উপর নজর রাখা । পাশাপাশি প্রয়োজনে তাদের গ্রেফতারও করা । প্রয়োজন পড়লে এনকাউন্টারের মতো কাজও করতে হয় তাদের । ঠিক যেমনটা হয়েছিল নিউটাউনে সাপুরজি আবাসনে ৷ সেখানে গ্যাংস্টারদের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে ৷
কলকাতা পুলিশের বাহিনীগুলির মধ্যে অন্যতম বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এসটিএফের বাহিনী । এই বাহিনীর জওয়ানদের প্রায় প্রতিদিন শারীরিক প্রশিক্ষণ নিতে হয় । তাছাড়া বাইরের রাজ্যে গিয়েও একাধিক প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণও নিতে হয় । কিন্তু করোনার ফলে সেই সকল প্রশিক্ষণই প্রায় বন্ধ হয়ে রয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Corona Update in Bengal : সপ্তাহান্তে আক্রান্ত প্রায় 19 হাজার, বঙ্গে বাড়ল সংক্রমণের হার