কলকাতা, 19 জুলাই: কোরোনায় মৃতদের দেহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা শুরু করল কলকাতা পৌরনিগম ৷ স্বরাষ্ট্রসচিব তথা নোডাল অফিসার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল একথা জানান ।
একাধিক কোরোনায় আক্রান্তের পরিবারের সদস্যই শহরের বাইরে থাকে ৷ আগে কোরোনায় আক্রান্তের মৃতদেহ সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় পরিবারের অপেক্ষা না করেই দেহ সৎকার করত পৌরনিগম ৷ তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একাধিক দিক বিবেচনা করে সাময়িকভাবে কোরোনায় মৃতদের দেহ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পৌরনিগম ৷
কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতা পৌরনিগমের রিভিউ মিটিংয়ের পর স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অতীন ঘোষ ও পৌর কমিশনার এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন । মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য বড় জায়গার ব্যবস্থা করা হচ্ছে । সেখানে একসঙ্গে 22 থেকে 24টি মৃতদেহ সংরক্ষণ করা যাবে । সসম্মানে যাতে মৃতদেহগুলি সৎকার করা যায় সেই ব্যবস্থাও করা হবে ।
তিনি জানান, কোরোনায় মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া নিয়ে শববাহী গাড়ির একটি সমস্যা ছিল কলকাতা পৌরনিগমে । সেই সমস্যা দূর করতেও গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে । আগে পাঁচটি শববাহী গাড়ি ছিল, এখন আরও দুটি শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে । সেই সঙ্গে একাধিক বেসরকারি সংস্থাকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যারা মৃতদেহ সংগ্রহ করে সৎকার করবে । অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নিয়েও সমস্যা ছিল । বর্তমানে কলকাতা পৌরনিগম অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা বাড়িয়ে দশটি করেছে । কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে তিনি জানান ।
বৈঠক শেষে তিনি জানান, শহরে নতুন করে আরও সেফহোম ও কোয়ারানটিন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে ৷ কসবায় গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম ও যাদবপুরে কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে সেফহোম তৈরি করা হচ্ছে । কসবায় গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে মোট 130টি বেডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে । আগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই এই সেফহোম চালু হয়ে যাবে । অন্যদিকে যাদবপুরের কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামও 10 দিনের মধ্যে চালু হয়ে যাবে । এছাড়াও কসবার আনন্দপুরে আরও একটি সেফহোম তৈরি করা হবে ।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘‘শহরে অনেকগুলি সেফহোম থাকায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে পারবে । খরচ বহন করবে কলকাতা পৌরনিগম ৷’’