ETV Bharat / city

কলকাতা মেডিকেল কলেজে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে নির্মল মাজি

author img

By

Published : Jan 29, 2020, 12:06 AM IST

মঙ্গলবার কলকাতা মেডিকেল কলেজে প্রতিষ্ঠা দিবস ও সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্মল মাজি ৷

convocation
সমাবর্তন অনুষ্ঠান

কলকাতা, ২৮ জানুয়ারি: গো ব্যাক পোস্টারে আর ‘শেম শেম’ শ্লোগানে 'স্বাগত' জানানো হল তাঁকে । মঙ্গলবার কলকাতা মেডিকেল কলেজে এভাবেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল নির্মল মাজিকে । যদিও এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে চান না বলেই জানিয়েছেন নির্মলবাবু ।


২৮ জানুয়ারি কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবস । এই দিন হয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান । মন্ত্রী নির্মল মাজি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি । মঙ্গলবার সকালে কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে যখন জাতীয় পতাকা উত্তোলন হচ্ছিল, সেই সময় মেডিকেল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ গো ব্যাক লেখা পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখায় । অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের হলে প্রতিষ্ঠা দিবস এবংসমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । বিল্ডিংয়ে প্রবেশপথের কিছুটা আগে নির্মল মাজি গো ব্যাক লেখা পোস্টার দেখা যায় ৷ পতাকা উত্তোলনের পরে নির্মল মাজি যখন অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে বক্তব্য রাখছিলেন, তখনও হলের মধ্যে গো ব্যাক লেখা পোস্টার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পড়ুয়াদের একাংশকে । তার বক্তব্যের মাঝেই ‘শেম, শেম’ বলতে থাকে পড়ুয়ারা । এই পরিস্থিতিতে বক্তব্য রাখার সময় নির্মল মাজি বলেন, ‘‘বাম আমলে ১৩২ জন শিশু মারা গিয়েছিল । তারপর আমিও প্রতিবাদ সংগঠিত করেছি ৷ প্রতিবাদের অধিকার সকলের রয়েছে ৷ তবে পরিবেশ নষ্ট করার অধিকার কারও নেই ।"

ছাত্রদের বিক্ষোভ ও বক্তব্য

প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান শেষে হল থেকে বেরিয়ে ডঃ নির্মল মাজি এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "কলেজে ১,৩০০ ছাত্র-ছাত্রী ও ১৫০ জন পোস্ট-গ্রাজুয়েট ট্রেনি - সব মিলিয়ে মোট ১৪৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে । ১৪৫০-জনের মধ্যে যদি ১৩ জন অতি বামপন্থী বা ব্য়়ডিকাল বামপন্থীরা কিছু বলে থাকে, সেটা আমি ধর্তব্যের মধ্যে আনি না । পাত্তাও দিই না ।"


এদিন মেডিকেল পড়ুয়াদের কাছে বিক্ষোভের কারণ জানতে চাইলে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র সৌম্যদীপ রায় বলেন, "সাড়ে পাঁচ বছর ধরে পড়াশোনা করে একজন ছাত্র তার ফাইনাল ডিগ্রি নির্মল মাজির মতো রাজনীতিবিদের হাত থেকে নেবে না । উচ্চশিক্ষিত ও যোগ্য বহু শিক্ষক রয়েছেন, প্রিন্সিপাল, ডিন সবাই রয়েছেন, ডিগ্রি তাঁদের হাত থেকে নেব কিন্তু এমন একটি লোক যিনি ডাক্তার সমাজের দাবিকে সব সময় নস্যাৎ করে দেয়, তার হাত থেকে ডিগ্রি নেব না ৷ আমাদের যখন ইন্টার্নদের স্ট্রাইক চলছিল, তখন উনি গোটা ডক্টর ফ্যাটারনিটির বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন । শুধুমাত্র ওনার জন্য আমাদের ১৪ দিন অনশনে বসতে হয়েছিল । ওনার জন্য কলেজে বহিরাগত রাজনীতি ঢুকেছে । আমরা চাই না কলেজে বহিরাগত রাজনীতি প্রবেশ করুক । উনি যাতে আমাদের কলেজে আর না আসেন, সেটাই আমরা চাই । ওনার জায়গায় আমাদের প্রিন্সিপাল, ডিন ম‍্যাম, এনারা থাকুক । ওনারা আমাদের চিফ গেস্ট হোক । বাকি যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি । শুধু ওনাকেই আমরা স্বাগত জানাইনি ৷"

কলকাতা, ২৮ জানুয়ারি: গো ব্যাক পোস্টারে আর ‘শেম শেম’ শ্লোগানে 'স্বাগত' জানানো হল তাঁকে । মঙ্গলবার কলকাতা মেডিকেল কলেজে এভাবেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল নির্মল মাজিকে । যদিও এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে চান না বলেই জানিয়েছেন নির্মলবাবু ।


২৮ জানুয়ারি কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবস । এই দিন হয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান । মন্ত্রী নির্মল মাজি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি । মঙ্গলবার সকালে কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে যখন জাতীয় পতাকা উত্তোলন হচ্ছিল, সেই সময় মেডিকেল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ গো ব্যাক লেখা পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখায় । অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের হলে প্রতিষ্ঠা দিবস এবংসমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । বিল্ডিংয়ে প্রবেশপথের কিছুটা আগে নির্মল মাজি গো ব্যাক লেখা পোস্টার দেখা যায় ৷ পতাকা উত্তোলনের পরে নির্মল মাজি যখন অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে বক্তব্য রাখছিলেন, তখনও হলের মধ্যে গো ব্যাক লেখা পোস্টার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পড়ুয়াদের একাংশকে । তার বক্তব্যের মাঝেই ‘শেম, শেম’ বলতে থাকে পড়ুয়ারা । এই পরিস্থিতিতে বক্তব্য রাখার সময় নির্মল মাজি বলেন, ‘‘বাম আমলে ১৩২ জন শিশু মারা গিয়েছিল । তারপর আমিও প্রতিবাদ সংগঠিত করেছি ৷ প্রতিবাদের অধিকার সকলের রয়েছে ৷ তবে পরিবেশ নষ্ট করার অধিকার কারও নেই ।"

ছাত্রদের বিক্ষোভ ও বক্তব্য

প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান শেষে হল থেকে বেরিয়ে ডঃ নির্মল মাজি এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "কলেজে ১,৩০০ ছাত্র-ছাত্রী ও ১৫০ জন পোস্ট-গ্রাজুয়েট ট্রেনি - সব মিলিয়ে মোট ১৪৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে । ১৪৫০-জনের মধ্যে যদি ১৩ জন অতি বামপন্থী বা ব্য়়ডিকাল বামপন্থীরা কিছু বলে থাকে, সেটা আমি ধর্তব্যের মধ্যে আনি না । পাত্তাও দিই না ।"


এদিন মেডিকেল পড়ুয়াদের কাছে বিক্ষোভের কারণ জানতে চাইলে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র সৌম্যদীপ রায় বলেন, "সাড়ে পাঁচ বছর ধরে পড়াশোনা করে একজন ছাত্র তার ফাইনাল ডিগ্রি নির্মল মাজির মতো রাজনীতিবিদের হাত থেকে নেবে না । উচ্চশিক্ষিত ও যোগ্য বহু শিক্ষক রয়েছেন, প্রিন্সিপাল, ডিন সবাই রয়েছেন, ডিগ্রি তাঁদের হাত থেকে নেব কিন্তু এমন একটি লোক যিনি ডাক্তার সমাজের দাবিকে সব সময় নস্যাৎ করে দেয়, তার হাত থেকে ডিগ্রি নেব না ৷ আমাদের যখন ইন্টার্নদের স্ট্রাইক চলছিল, তখন উনি গোটা ডক্টর ফ্যাটারনিটির বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন । শুধুমাত্র ওনার জন্য আমাদের ১৪ দিন অনশনে বসতে হয়েছিল । ওনার জন্য কলেজে বহিরাগত রাজনীতি ঢুকেছে । আমরা চাই না কলেজে বহিরাগত রাজনীতি প্রবেশ করুক । উনি যাতে আমাদের কলেজে আর না আসেন, সেটাই আমরা চাই । ওনার জায়গায় আমাদের প্রিন্সিপাল, ডিন ম‍্যাম, এনারা থাকুক । ওনারা আমাদের চিফ গেস্ট হোক । বাকি যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি । শুধু ওনাকেই আমরা স্বাগত জানাইনি ৷"

Intro:কলকাতা, ২৮ জানুয়ারি: পোস্টারে গো ব্যাক, আর, মুখে শেম শেম। মঙ্গলবার কলকাতা মেডিকেল কলেজে এভাবেই বিক্ষোভের মধ্যে পড়লেন ডাক্তার নির্মল মাজি। এই মেডিকেল কলেজে তাঁকে আর চাইছেন না এখানকার মেডিকেল পড়ুয়াদের একাংশ। এই ঘটনাকে পাত্তা না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ডাক্তার নির্মল মাজি।


Body:মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি কলকাতা মেডিকেল কলেজের ফাউন্ডেশন ডে। এই দিন কনভোকেশনের প্রোগ্রামও রাখা হয়। রাজ্যের মন্ত্রী, ডাক্তার নির্মল মাজি এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। মঙ্গলবার সকালে কলেজের ফাউন্ডেশন ডে উপলক্ষে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে যখন জাতীয় পতাকা উত্তোলন হচ্ছিল, সেই সময় এই মেডিকেল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ গো ব্যাক লেখা পোস্টার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের হলে ফাউন্ডেশন ডে এবং কনভোকেশনের প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে। এই বিল্ডিংয়ে প্রবেশের কিছুটা আগে পথের উপরেও নির্মল মাজি গো ব্যাক লিখে রাখা হয়। পতাকা উত্তোলনের পরে অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে যখন বক্তব্য রাখছিলেন, তখনও হলের মধ্যে গো ব্যাক লেখা পোস্টার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে মেডিকেল পড়ুয়াদের একাংশ। তিনি যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন শেম, শেম বলতে থাকে এই পড়ুয়ারা। এই পরিস্থিতির মধ্যে বক্তব্য রাখার সময় ডাক্তার নির্মল মাজি বলেন, "বাম আমলে ১৩২ জন শিশু মারা গিয়েছিল। ঠিক তার পরে পরে আমিও প্রতিবাদ সংগঠিত করেছি।" প্রতিবাদের অধিকার সকলের রয়েছে, একথা জানিয়ে তিনি বলেন, "পরিবেশ নষ্ট করার অধিকার কারও নেই।" ফাউন্ডেশন ডে-র প্রোগ্রাম শেষে এই হল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ডাক্তার নির্মাল মাজির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "১,৩০০ জন ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষার্থী আর ১৫০ জন পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি, ১৪৫০। ১৪৫০-এর মধ্যে যদি হাতে গোনা ১৩ জন অতি বামপন্থী বা র‍্যাডিক‍্যাল বামপন্থীরা কিছু বলে থাকে সেটা আমি ধর্তব্যের মধ্যে আনি না। পাত্তা দিই না।" এদিন বিক্ষোভ কেন দেখালেন মেডিকেলের এই পড়ুয়ারা? এখানকার ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র সৌম্যদীপ রায় বলেন, "সাড়ে পাঁচ বছর পরে পড়াশোনা করে একজন ছাত্রের ফাইনাল ডিগ্রি নির্মল মাজির মতো পলিটিশিয়ানের কাছ থেকে নেবে না। হাইলি কোয়ালিফাইড টিচার্স রয়েছেন, প্রিন্সিপাল, ডিন সবাই রয়েছেন তাঁদের হাত থেকে নেবে। কিন্তু এমন একটি লোক যিনি সবসময় ডক্টর ফ‍্যাটারনিটির যে কোনও দাবিকে সব সময় নস্যাৎ করে দেয়। আমাদের যখন ইন্টার্নশিপদের স্ট্রাইক চলছিল, তখন উনি গোটা ডক্টর ফ‍্যাটারনিটির বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন। শুধুমাত্র ওনার জন্য আমাদের ১৪ দিন হাঙ্গার স্ট্রাইক করতে হয়েছিল। ওনার জন্য কলেজে এক্সটার্নাল পলিটিক্স ঢুকছে। আমরা চাই না কলেজে এক্সটার্নাল পলিটিক্স ঢুকুক।" তিনি বলেন, "উনি আর আমাদের কলেজের না আসুন, আমরা এটাই চাই। ওনার জায়গায় আমাদের প্রিন্সিপাল, ডিন ম‍্যাম, এনারা থাকবেন। ওনারা আমাদের চিফ গেস্ট হবেন। বাকি যাঁরা গেস্ট এসেছেন, তাঁদের কাউকে আমরা অ্যানওয়েলকাম করিনি। কিন্তু শুধু ওনাকেই কেন আমরা আন ওয়েলকাম করছি, কারণ আমরা চাই কোনও বছর যাতে উনি আর এই কলেজে না আসেন।" এই মেডিকেল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ঋতায়ন রায় বলেন, "আজকের দিনে নির্মল মাজির মতো কুখ্যাত এক নেতার উপস্থিতি আমরা বরদাস্ত করছি না। কারণ মেডিকেল ফ্যাটারনিটির বিরুদ্ধে নির্মল মাজির যা যা কীর্তিকলাপ তা সবাই শুনেছে। ইন্টার্নদের স্ট্রাইকে যে ইন্টার্নরা আজ কনভোকেটেড হবে, সেই ইন্টার্নদের তিনি অবাঞ্ছিত বলেছিলেন। সেই ইন্টার্নদের তিনি বহিরাগত বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এরা এখানকার স্টুডেন্ট নয়। এরা এখানে ডাক্তারি করে না। তারও আগে হস্টেলে যখন আন্দোলন হয়েছিল, তখন তিনি প্রিন্সিপালকে প্রেসারাইজড করে করে, প্রিন্সিপালকে শেষ পর্যন্ত আমাদের হস্টেলের দাবি মানতে দেননি। এর জন‍্য ১৪ দিন আমাদের অনশনে বসতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত নির্মল মাজির বিরুদ্ধে গিয়ে কলেজ কাউন্সিল দাবি মেনেছিল। সেই জায়গা থেকে নির্মল মাজি আমাদের কাছে খুবই ঘৃণ‍্য ব্যক্তি। এবং এরকম একটা অকেশনে আমরা তাঁর উপস্থিতি বরদাস্ত করতে পারছি না। আজ যেহেতু কনভোকেশন হচ্ছে, শুধুমাত্র ইন্টার্নরা কনভোকেশন নেবে আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রফেসরদের কাছ থেকে এবং প্রিন্সিপাল ডিন ম্যাডামদের কাছ থেকে। কিন্তু কখনোই নির্মল মাজির কাছ থেকে নেবে না।" এখানকার সেকেন্ড ইয়ারের সম্রাট দাস বলেন, "আজকে আমাদের কলেজের ১৮৬ ফাউন্ডেশন ডে। এই দিনে ইন্টার্নদের কনভোকেটেড করা হয়। অনেক জনকে অ্যাওয়ার্ডেড করা হয়। এই রকম একটা দিনে নির্মল মাজির মতো পলিটিশিয়ানকে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করতে পারি না। আমরা মানুষ। মানুষ হতে গেলে মান এবং হুঁশ দুটোর দরকার। বিভিন্নভাবে এক্সটার্নাল পলিটেকনিক কলেজের মধ্যে ঢোকাচ্ছেন নির্মাল মাজি। ইন্টার্নদের স্ট্রাইকের বিরোধিতা করছেন। পুরো মেডিকেল ফ্যাটারনিটির বিরুদ্ধে উল্টো সুর গাইছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে মনে হয় না এ রকম বিশেষ দিনে তাঁর উপস্থিতি বা হস্তক্ষেপ আমরা কামনা করতে পারি। এটা প্রত্যাশিত নয়। আমাদের হুঁশটা বজায় থাকতে হবে।"


Conclusion:তাঁদের হাতের পোস্টারে ছিল গো ব্যাক। যখন বক্তব্য রাখছিলেন ডাক্তার নির্মাল মাজি, তখন শেম শেম এবং গোয়িং বলেছেন তাঁরা। বক্তব্য রাখার সময় ডাক্তার নির্মল মাজি এমনও জানান, 'বাজার দিয়ে হাতি গেলে পিছনে ঘেউ ঘেউ করে'। তাঁর এমন বক্তব্যের বিষয়ে মেডিকেল কলেজের পড়ুয়াদের এই একাংশের তরফে বলা হয়েছে, "ওনার রুচি অনুযায়ী উনি যে কোনও শব্দ ব্যবহার করতে পারেন, তাতে আমরা কোনও রিয়্যাকশন দিতে চাই না। আমরা তাঁকে যে মেসেজ পৌঁছে দিতে চেয়েছি, কলকাতা মেডিকেল কলেজে নির্মল মাজি ঘৃণ‍্য ব‍্যক্তি। ওনার উপস্থিতি আমরা কামনা করি না। কখনোই চাই না মেডিকেল কলেজে উনি আর আসুন। মেডিকেল কলেজ তাঁকে চায় না।" CAA, NRC, NPR-এর বিরুদ্ধে এদিন মেডিকেলের এই পড়ুয়ারা সই সংগ্রহ শুরু করেছেন। _______ _______
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.