কলকাতা, 16 জুলাই: সাম্প্রতিক এক গবেষণা রিপোর্টে উঠে এসেছে পণ্যবাহী গাড়ির দূষণে দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা ৷ সার্বিক দূষণ চিত্রেও খুব ভালো স্থানে নেই মহানগর । তবে এই দূষণ কমাতে লাগাতার চেষ্টা করে চলেছে কলকাতা পৌরনিগম । নিচ্ছে একাধিক পরিকল্পনাও । তবে এরমধ্যে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থার রিপোর্ট আরও মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কলকাতা পৌরনিগমের ।
এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে পণ্যবাহী গাড়ির দূষণ যে সমস্ত শহরে সর্বাধিক সেই তালিকায় কলকাতা রয়েছে তৃতীয় স্থানে । যেভাবে দূষণ বাড়ছে তা কী ভাবে হ্রাস করা যায় তাই নিয়ে চিন্তিত পরিবেশ কর্মীরা । কলকাতায় বড় গাছের সংখ্যা আগের থেকে বেশকিছুটা কমেছে । আবার শীত বাড়তেই শহরের বাতাসে বাড়ে বিষাক্ত ধূলিকণার পরিমাণ । পরিবহণ জ্বালানি থেকে যে দূষণ হয় তাও কম নয় ।
এবিষয়ে কী ভাবছে কলকাতা পৌরনিগম? উত্তরে কলকাতার মহানগরিক ফিরহাদ হাকিম বলেন (Firhad Hakim speaks on pollution condition of Kolkata), "কলকাতা অপরিকল্পিত ভাবে তৈরি শহর । এখানে ব্রিটিশ আমল থেকে ব্যাবসা হয় বড়বাজার, পোস্তার মতো কিছু জায়গায় । কলকাতার ভিতরে কলকাতা বন্দর । পণ্যবাহী গাড়িকে আসতেই হয় । আমরা চেষ্টা করছি সেটা কমানোর । তবে একেবারে এটা হবে না । ডানকুনির ওপারে লজিস্টিক হবে করছি । কাউকে বলা যায়না রাতারাতি ব্যাবসা তুলে নিয়ে চলে যেতে । শহরের ভিতর দিয়ে না এসে বিকল্প রুটে যাতে পণ্যবাহী গাড়িগুলো আসে সেই চেষ্টা চালাচ্ছি । আমি যে পরিকল্পনা করে যাব তাতে শহরে ট্রাকের সংখ্যা কমবে । দূষণও কমবে ।"
আরও পড়ুন: শৈলরানিতে ফের লাইনচ্যুত টয় ট্রেন, আতঙ্কে যাত্রীরা
তবে কলকাতার ক্ষেত্রে বায়ু দূষণ ও প্লাস্টিক দূষণও চিন্তার বিষয় । তবে এনিয়ে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে কলকাতা পৌর কর্তৃপক্ষ । তবে কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় ভবনের ঢিল ছোড়া দূরত্বেও সচেতনতার বিন্দুমাত্র ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না । বিধান মার্কেট বা গ্র্যান্ড হোটেলের নিচে কিংবা নিউমার্কেট সব জায়গায় রমরমিয়ে ব্যাবহার হচ্ছে 75 মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিক । এপ্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, "এখনই পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলিনি । আগে সচেতন হোক মানুষ । আধুনিক বিশ্বে প্লাস্টিক ছাড়া বাঁচার উপায় নেই । তবে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যাবহার বন্ধ করতে হবে । সচেতন না হলে এবার ফাইন চালু করব ।