কলকাতা, 21 অগস্ট: 138 ও 139 নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, আকড়া রোডের দুধারে বস্ত্র ব্যবসার জন্য হাট আছে । শনি, রবিবার লক্ষ লক্ষ মানুষজনের সমাগম হয় সেই হাটে । আর সেখানে বিপুল আবর্জনা হয় । স্থানীয়দের অভিযোগ, এই আবর্জনা অনেক সময় সোমবার পেরিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত জমে থাকে ।
শুধু তাই নয় ৷ 137,138, 140 নম্বর ওয়ার্ডে আকড়া রোডের উপর কোনো জঞ্জাল না-থাকায় তা 139 নম্বর ওয়ার্ডে ফেলা হচ্ছে ৷ যার ফলে প্রচন্ড চাপ পড়ছে ওই ওয়ার্ডের ভ্যাটগুলিতে । এর কারণে সপ্তাহের শুরুতেই জঞ্জাল জমে থাকে গোটা এলাকায় । আর জঞ্জাল স্তূপের জেরে গাড়ি চলাচলে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয় ।
এই চিত্রেরই পুনরাবৃত্তি ঘটে কলকাতার 24 নম্বর ওয়ার্ডে । এখানে কলকাতার অন্যতম বড় মার্কেট এলাকা বড়বাজারের অবস্থান । ওয়ার্ডে আয়তনের থেকে অনেক বেশি আবর্জনা এই বাজার এলাকায় প্রতিদিন জমা হয় । এখানে শুধু বড়বাজার নয়, আছে নতুন বাজার ৷ যেখানে বিভিন্ন উৎসব এলে আবর্জনা পরিমাণ তিন থেকে চারগুন বেড়ে যায় ।
কাউন্সিলর ইলোরা সাহা বা শেখ মুস্তাকদের দাবি, জঞ্জাল সাফাই বিভাগ কেন্দ্রীয়ভাবে কোনও পরিকল্পনা নিক । তাদের আরও দাবি, বিষয়টি মাসিক অধিবেশনে জানানো হয়েছে । কলকাতা পৌরনিগম (Kolkata Municipal Corporation) সূত্রে খবর, এই সমস্ত বাণিজ্যিক এলাকায় পৌরনিগম নিজে থেকে বিনামূল্যে যে পরিষেবা দেয় তার বেশি নতুন কিছু করা হবে না । কারণ হাটগুলো বেসরকারি । এরা কোটি কোটি টাকার ব্যাবসা করলেও পৌরনিগমের কোনও রেভিনিউ আসে না তার থেকে ।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি প্রতিরোধে পৌরনিগমের কর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতা না করলে পুলিশি ব্যবস্থা, ঘোষণা ফিরহাদের
জানা গিয়েছে, যারা ব্যবসায়ী তাঁদের সঙ্গে পৌরনিগম কথা বলে প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা করবে কীভাবে এইসব এলাকা পরিষ্কার করা যায় । আর ভেঙে বললে সাফাই পরিষেবা নিতে হলে পৌরনিগমকে দিতে হবে টাকা (KMC on Private Market)। মাসিক অধিবেশনে ইতিমধ্যে জঞ্জাল সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্য দেবব্রত মজুমদার বলেন, "হাট বা বেসরকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা পরিষেবা নিক, তবে বিনামূল্যে নয় । পাশাপাশি পুজোর আগে নতুন বাজার, বড়বাজার এলাকায় 5-6 টা ব্যাটারি গাড়ি আনা হবে । বড় বড় বেসরকারি বাজার যেসব কাউন্সিলরদের এলাকায় আছে তারা যেন সেই সমস্ত বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন পরিষেবা খরচ দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে ।"