কলকাতা, 26 ফেব্রুয়ারি: কলকাতায় ক্রমশই বেড়েছে বেআইনি নির্মাণ। অভিযোগও অসংখ্য। শনিবার ফের সেই অভিযোগেই বিস্ফোরক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim On Talk To Mayor)। কাঠগড়ায় দাঁড় করলেন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা পুলিশ ও নিজের হাতে থাকা পৌরসভার বিল্ডিং বিভাগকে। শেখ আব্দুল করিম 54 নম্বর ওয়ার্ডের আহেরিপুকুর এলাকার বাসিন্দা। প্রায় ছ'মাস ধরে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ জানিয়ে এলেও কোনও কাজ হয়নি দেখে গত সপ্তাহে 'টক টু মেয়র' অনুষ্ঠানে একটি বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পৌরসভা থেকে সেই সময় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বললেও গত একসপ্তাহ ধরে পৌরসভা থেকে কেউই যোগাযোগ করেনি। তাই আজ আবার বাধ্য হয়ে ফোন করেন তিনি।
সেই অভিযোগ শুনে এদিন ফিরহাদ হাকিম আধিকারিকের উদ্দেশ্যে বলেন, "6 মাস বাদে অ্যাকশান নিলে আর কী হবে? বাড়ি তৈরি হয়ে যাবে। দাদাগিরি করে বেআইনি নির্মাণ করবে। 6 মাস অ্যাকশান না-নিলে লোক ঢুকে যাবে। তারপর আমরা ভাঙতে পারব না। তৈরি করার সময় না ভাঙলে লোক ঢুকে যাবে। বরো টাকা নিয়ে কাজ করবে। তখন মেয়রও নাচবে আর ডিজিও নাচবে। আর বরো টাকা নিয়ে তার নিজের কাজ করবে। লোয়ার লেভেলের বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট টাকা খায়। কমপ্লেন এসছে মানে রেট আরও ডবল হয়ে যাবে। অভিযোগ আসার পরেও ফলো-আপ হয়নি কেন অফিস থেকে? পয়সা বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট খায় আর দোষ হয় কাউন্সিলরের। কাউন্সিলর কি করে জানবে কোনটা বেআইনি আর কোনটা আইনি বিল্ডিং হচ্ছে। কোনটা অনুমোদন আমরা দিচ্ছি আর কোনটা দিচ্ছি না।"
আরও পড়ুন: শহর বাঁচাতে বোরো এলাকায় 1000 বৃক্ষরোপণ
এরপরেই মেয়র ওএসডি কালিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন আমার অফিস থেকে যাবে শো-কজ করতে হবে। কেন এফআইআর হল না? কেন ডিজি পর্যন্ত কেসটাকে নিয়ে আসা হল না? শো-কজ কেন হল না? এসআইকে শো-কজ করতে হবে। নোটিশ লাগানোর পরেও বাড়ি হয়ে গেল। এরপর হাইকোর্টে গেলে পুলিশ কমিশনারকে নিয়েও টানাটানি হবে। এভাবেই তিনি 'টক টু মেয়র' চলাকালীন গোটা বিষয়টি বলতে থাকেন। এপ্রসঙ্গে সাংবাদিকদের উত্তরে তিনি বলেন, "জনপ্রিতিনিধিরা এসব বিষয়ে জানেন না। এটা বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট করে। বেআইনি হলে ধরে নেব বিভাগের গাফিলতি। বা থানার গাফিলতি থাকতে পারে।"