কলকাতা, 28 জুন : চিঠি, পাল্টা চিঠি ৷ কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের (Rajesh Bindal) অপসারণের দাবি নিয়ে জমে উঠেছে তরজা ৷ গোটা ঘটনায় রাজ্য বার কাউন্সিলের চেয়ারম্য়ান তথা তৃণমূল বিধায়ক অশোককুমার দেবের (AshokKumar Deb) অবস্থান নিয়েও উঠছে প্রশ্ন ৷ দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানাকে (Nuthalapati Venkata Ramana) তিনি যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তা গ্রাহ্য না করার আবেদন জানিয়ে প্রধান বিচারপতিকে পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছেন কাউন্সিলের অন্য সদস্যরা ৷
কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন অশোক ৷ তাঁর যুক্তি, ভোট পরবর্তী হিংসা, নন্দীগ্রামের ভোট গণনায় কারচুপি, নারদ-সহ একাধিক মামলায় বিচারপতি বিন্দালের অবস্থান পক্ষপাতদুষ্ট ৷ তাই তাঁকে অপসারণের দাবি তুলে দেশের প্রধান বিচারপতিকে একটি ‘কনফিডেন্সিয়াল’ চিঠি পাঠান তিনি ৷
এদিকে, সেই চিঠি নিজের টুইটার হ্য়ান্ডেলে পোস্ট করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya) ৷ যা নিয়ে ক্ষুব্ধ অশোকের প্রশ্ন, এত গোপন চিঠি প্রকাশ্যে এল কীভাবে ? রাজ্য বার কাউন্সিলের অন্য সদস্যরা অবশ্য অশোকের প্রশ্নকে আমল দিতে নারাজ ৷ তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, কাউন্সিলের অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করেই প্রধান বিচারপতিকে চিঠি পাঠিয়েছেন অশোক ৷ নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতেই প্রধান বিচারপতিকে পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা ৷ চিঠিতে সেই কথা উল্লেখও করা হয়েছে ৷
রাজ্য বার কাউন্সিলের সদস্যদের একাংশের বক্তব্য, কাউন্সিলের বেশ কিছু সদস্য কলকাতা হাইকোর্টের গৌরব ও সম্মান ধুলিস্যাৎ করে দিচ্ছেন ৷ তাঁরা বার কাউন্সিলের কার্যালয়টিকে কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলেছেন ৷ কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের প্যাড ব্যবহার করে শাসক দলের ইচ্ছা মতো যা খুশি লেখা হয়েছে তাতে ৷
আরও পড়ুন : একটি করে চিট ফান্ড সংস্থার মামলা শুনবেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি
এই প্রসঙ্গে কাউন্সিলের অবস্থান হল, তারা কখনওই আশা করেনি, কলকাতা হাইকোর্টের বার কাউন্সিলের সম্মানীয় পদে বসে অশোককুমার দেব রাজনৈতিক নেতাদের হয়ে ঢাক পেটাবেন ৷ তাই প্রধান বিচারপতির কাছে কাউন্সিলের বাকি সদস্যদের আবেদন, তিনি যেন অশোকের পাঠানো চিঠি গ্রহণ না করেন ৷ অশোকের মন্তব্য বার কাউন্সিলের সমস্ত নির্বাচিত সদস্যদের মতামত নয় বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এমনকী, ওই চিঠির বয়ানকে হাস্যকর বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে ৷