কলকাতা, 15 জুন: রাজ্যের সাম্প্রতিক অশান্তির ঘটনার (Bengal Unrest) নেপথ্যে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিনের যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা (JMB Sleeper Cell)। হাওড়ার উলুবেড়িয়া, পাঁচলা, সলপ এবং মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তিতে জেএমবি-র স্লিপার সেলের হাত রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে (Intel report)৷
হাওড়া-উলুবেড়িয়া সাব ডিভিশনের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, রাজ্যের একাধিক জায়গায় আইন শৃঙ্খলা প্রশাসনের হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিনের যোগ । এটাই অনুমান রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের । গোয়েন্দা সূত্রের খবর, রাজ্যে যখন সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ আন্দোলন হচ্ছিল এবং সেই সময় রাজ্যের যে সমস্ত জায়গায় আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে তার মধ্যে ছিল এই হাওড়া উলুবেড়িয়া সাব ডিভিশন এবং মুর্শিদাবাদ জেলার একাংশ (JMB sleeper cell instrumental in recent clashes in Bengal)।
হাওড়ায় সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলার অবনতির পর ঘটনাস্থলে হাজির হন সিআইডি এবং রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা । সূত্রের খবর, মাস খানেক আগেও হাওড়া উলুবেড়িয়া সাব ডিভিশনের একাধিক এলাকায় জামাতুল মুজাহিদিনের প্রথম সারির বেশ কয়েকজন জঙ্গি নেতা দিন কাটিয়েছেন । তবে তদন্তের স্বার্থে তাঁরা কোথায় কোথায় কাদের সঙ্গে ছিলেন, সেই সব বিষয়ে পরিস্কার করে কোনও মন্তব্য করতে চাননি গোয়েন্দারা । গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হাওড়ার উলুবেড়িয়া, পাঁচলা, ডোমজুড়, সলপ এবং মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় যে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে এসেছে, তার নেপথ্যে কাজ করেছে বাংলাদেশের একাধিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেল ।
আরও পড়ুন: Manoj Malaviya on Bengal Unrest: রাজ্যে অশান্তির ঘটনায় দায়ের 42 এফআইআর, গ্রেফতার 200
সম্প্রতি বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার একটি মন্তব্যকে ঘিরে বাংলার একাধিক জেলায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে । হাওড়া, মুর্শিদাবাদ-সহ বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায় । যার ফলে তড়িঘড়ি হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপার সৌম্য রায় এবং হাওড়া কমিশনারেটের নগরপাল সি সুধাকরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় নবান্ন । তাঁর জায়গায় আসেন হাওড়া পুলিশের নগরপাল প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি এবং হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপার করা হয় সাথী ভাঙালিয়াকে । ভবানী ভবন সূত্রের খবর, বেশ কয়েক মাস ধরে এই স্লিপার সেলের বাড়বাড়ন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল রাজ্যের একাধিক জায়গায় ।