কলকাতা, 9 জুলাই: বিনা অনুমতিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে (Jadavpur University) ঢোকার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন জুটা (JUTA) ৷ কর্তৃপক্ষের দাবি, বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে যাদবপুর থানার (Jadavpur Police Station) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের এই আচরণের জন্য ক্ষমাও চায় ৷ যদিও পুলিশের তরফ থেকে কেউই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য হল, বিনা অনুমতিতে এবং পর্যাপ্ত নথি ছাড়া কখনই ক্যাম্পাসের ভিতর ঢুকতে পারে না পুলিশ ৷ কিন্তু, শুক্রবার ঠিক সেটাই করা হয়েছে ৷ সন্ধে 6টা নাগাদ হঠাৎই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ঢুকে পড়েন যাদবপুর থানার দুই আধিকারিক ৷ তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিভাগের সবক'টি ক্লাসরুম ঘুরে দেখেন ৷ তারপর পুলিশ আধিকারিকরা বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়ির সঙ্গে দেখা করেন।
সূত্রের দাবি, একটি তদন্তের কাজে ক্যাম্পাসে ঢুকেছিলেন ওই দুই পুলিশ আধিকারিক ৷ সম্প্রতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে ৷ সেই ছাত্রী যাদবপুর থানায় এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ৷ যার জেরে অভিযুক্ত অধ্যাপককে সাসপেন্ড করা হয় ৷ কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেয়, তদন্তের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই অধ্যাপক কাজে যোগ দিতে পারবেন না ৷
অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়ি জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে যাদবপুর থানার দুই পুলিশ আধিকারিক ধর্ষণের চেষ্টা সংক্রান্ত অভিযোগটি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন ৷ এ নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন করেন তাঁরা ৷ অধ্যাপকদের বক্তব্য, পুলিশ অভিযোগের তদন্ত করবে, সেটাই স্বাভাবিক ৷ এবং তা নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তিও নেই ৷ কিন্তু, তদন্তের নামে বিনা অনুমতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্দরে পুলিশের ঢুকে পড়ায় তাঁদের আপত্তি আছে ৷ ইতিমধ্যেই উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে গোটা ঘটনা জানানো হয়েছে ৷
এই বিষয়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, "বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে ৷ যাদবপুর থানার পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয়েছিল ৷ তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন, এবার থেকে তদন্তের কাজে পুলিশকর্মী ও আধিকারিকরা যাদবপুর ক্যাম্পাসে আসবেন না ৷ বদলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরই থানায় ডেকে পাঠানো হবে ৷"