কলকাতা, 24 অগস্ট : করোনার (Covid-19) দ্বিতীয় ঢেউয়ের কালো মেঘ কাটতে না কাটতেই ঘনিয়ে এসেছে থার্ড ওয়েভ (Covid 3rd Wave) । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে জমা পড়া রিপোর্ট বলছে, সেপ্টেম্বরের শেষ বা অক্টোবরের শুরুতেই ভারতে আছড়ে পড়বে তৃতীয় ঢেউ । রিপোর্টে আশঙ্কা করা হয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ।
এর মধ্যেই দেশের একাধিক রাজ্যে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে । বর্তমানে গোটা দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে একাধিক রাজ্য । বাংলাও পিছিয়ে নিই । নির্দেশ মতো এরাজ্যেও করোনার তৃতীয় ওয়েভ রুখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার । কয়েকদিন আগেই নবান্ন থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । পাশাপাশি শিশুদের ভর্তি রাখার জন্য সুব্যবস্থার বন্দোবস্ত করতে বলা হয়েছিল ।
আরও পড়ুন : Corona in India : গতকালের তুলনায় সামান্য বাড়ল সংক্রমণ, কমল দৈনিক মৃত্যু
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর বলছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলি শিশুদের সংক্রমণের বিষয় মাথায় রেখে অগ্রিম প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে । পাশাপাশি, এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় আজ সন্ধে 7 টায় নবান্নে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী । এই ভার্চুয়াল বৈঠকে সমস্ত জেলার জেলাশাসককে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে । উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবও ।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ড. অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আগে থেকেই হাসপাতালে শিশুদের জন্য শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে । পাশাপাশি ডাক্তার থেকে নার্স, পর্যাপ্ত ওষুধ থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার সর্বস্তরে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে ।
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee : পুজোর পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করেই খুলবে স্কুল, জানালেন মমতা
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট 1 হাজার 550টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট, 528টি পিআইসিইউ ও 270টি নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট শয্যা তৈরি করা হয়েছে । করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের সংক্রমণের বিষয়টির উপর নজর দিয়ে হাসপাতালে যাতে শয্যার অভাব না দেখা দেয়, সেই কারণেই এই পরিমাণে শয্যা তৈরি করা হয়েছে ।
পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ওয়েভ রুখতে আর কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, সেই বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটিও তৈরি করা হয়েছে । কমিটিতে রয়েছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের প্রবীণ চিকিৎসকরা ।
আরও পড়ুন : Bengal In NFHS-5 Report: রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রশংসায় কেন্দ্র, এনএফএইচএস 5-এ দেশের সেরা বাংলা
এছাড়াও রাজ্যের প্রান্তিক অঞ্চলে করোনার তৃতীয় ওয়েভ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আশাকর্মীদের খোঁজ খবর নেওয়ার কাজে লাগানো হয়েছে । সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, গ্রামাঞ্চলে কারও যদি সামান্য জ্বর বা অন্য কোনও শরীর খারাপ হয়, সেক্ষেত্রে অবিলম্বে স্থানীয় আশাকর্মীদের জানাতে হবে ।