ETV Bharat / city

পি কে'র ভুলেই কি তাল কাটল শুভেন্দু পর্বের? উত্তর খুঁজছে কালীঘাট

তিনঘণ্টা বৈঠকের পর আশা জেগেছিল । হয়ত শুভেন্দুকে রাখা যাবে দলে । কিন্তু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু অধিকারী । কিন্তু কেন? শুভেন্দু অনুগামীদের দাবি, পুরো বিষয়টা প্রকাশ্যে আনার কথা ছিল শুভেন্দুর ।

subhendu adhikari
শুভেন্দুকে নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের চাল কি ভুল
author img

By

Published : Dec 2, 2020, 10:54 PM IST

কলকাতা ও কাঁথি, 2 ডিসেম্বর : দুপুরেই সুর কেটে গিয়েছিল রাতের । শীতলতা যেন আরও বেড়েছে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে । বিভিন্ন জেলার অনুগামীদের নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বৈঠক করলেন । অকুস্থল কন্টাই কোঅপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক লিমিটেড (কার্ড ব্যাঙ্ক) । প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে চলল বৈঠক । বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে বাড়ি ফিরলেন শুভেন্দু । ফিরলেন দাদার অনুগামীরাও । তাহলে কি আগামী রবিবাসরীয় দুপুরে তৃণমূলে সেই কাঙ্ক্ষিত অঘটন ঘটতে চলেছে?

মঙ্গলবার প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই বৈঠকে বসেন শুভেন্দু ও অভিষেক । বেশ ভালোই নাকি কথাবার্তা হয় । প্রায় মাস চারেক বাদে দিদির সঙ্গেও কথা হয়েছিল অধিকারী পরিবারের মেজ ছেলের । তারপর বৈঠকের সামান্য কিছু অংশ সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেছিলেন সৌগত রায় । কালীঘাটের অন্দরের খবর যাঁরা রাখেন, তাঁরা বলছিলেন পুরো কাজটাই হয়েছিল ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে । তিনিই নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অভিষেকের সঙ্গে কথা বলে সৌগতকে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে বলেছিলেন ।

সৌগতর এহেন পদক্ষেপেই তাল কাটে শুভেন্দু পর্বে । সাতসকালে একাধিক সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু । সৌগত রায়কে অভিযোগও জানান । কেন এভাবে তাঁর অনুমতি ছাড়া সংবাদমাধ্যমের কাছে খবর প্রকাশিত হল, তা নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যাও চান । যদিও পরিস্থিতি বুঝে সৌগত কিছুটা চুপ থাকার চেষ্টা করেন । আবার অন্য মনোভাব দেখাতেও ছাড়েন না তিনি । সরাসরি শুভেন্দুকে আক্রমণ না করলেও সৌগত হাবেভাবে বুঝিয়ে দেন অধিকারী গড়ের মেজ ছেলে মত বদলাতে পারেন । সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় ।

কিন্তু কেন এমনটা ঘটল? হওয়া কি উচিত ছিল?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এখানেই নাকি প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে পার্থক্যটা স্পষ্ট । তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে দল পরিচালনা করেছেন, তার অনেকটা 'পরিবর্তন' ঘটেছে । এই 'পরিবর্তন' মানিয়ে নিতে পারেননি বা পারছেন না মুকুল-শোভন-মিহির-শীলভদ্র থেকে শুভেন্দু, কেউই । কারণ, এই পরিবর্তনে অন্যতম কান্ডারি প্রশান্ত কিশোর । রূপকার নিঃসন্দেহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । যে অভিষেকের উপস্থিতি- তৃণমূলে প্রবেশ অনেক নেতার কাছেই অস্বস্তির কারণ ।

নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মতো সময় থেকে শুভেন্দু পাশে মমতার ছায়াসঙ্গী হলেও কখনওই তৃণমূলের 'কোর কমিটি'তে তাঁর ঠাঁই ছিল না । অর্থাৎ যাঁরা 24 ঘণ্টা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকেন বা থাকার সুযোগ পান কিংবা এখনও পাচ্ছেন । এই তালিকায় বর্তমানে ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং আগে মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়দের নাম থাকলেও নেই শুভেন্দুর । নন্দীগ্রামের পরবর্তী সময়ে কখনও সাংসদ হয়েছেন । কখনও বিধায়ক । কখনও চার-পাঁচটি জেলার দায়িত্বে । কখনও যুব তৃণমূলের দায়িত্বে । কখনও বিভিন্ন কমিটির দায়িত্বে । কখনও সংসদীয় কমিটিতেও । কিন্তু মমতার কোর কমিটিতে কখনওই ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারী । তবে, নেত্রী যখন যা দায়িত্ব দিয়েছেন, নিষ্ঠা ভরে পালন করেছেন ।

দাদার অনুগামীদের অভিযোগ, দায়িত্ব পালন করলেও নেত্রীর সেভাবে কাছে যাওয়া তো দূর অস্ত, বিভেদ বেড়েছে । সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম থেকে 2011-র পরিবর্তন- কোনও কিছুতে ভূমিকা না থাকলেও রকেট গতিতে উত্থান হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলের রাশ যতই আলগা হয়েছে, ততই প্রভাবশালী হয়েছেন অভিষেক । তাঁর হাত ধরে তৃণমূলে প্রবেশ হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের । তারপরই দলে বেড়েছে বিভেদ ।

শিশির অধিকারীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের খাতিরে সৌগত রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু তৃণমূলের এই জাতীয় মুখপাত্র যেভাবে শুভেন্দু-অভিষেক কথার সারবত্তা প্রকাশ্যে এনেছেন, তাতেই আপত্তি তীব্র হয়েছে । শুভেন্দু অনুগামীদের দাবি, অভিষেককে না সরানো হলে বা তাঁর 'ডানা ছাঁটা' না হলে দলে বিভেদ আরও বাড়বে ।

শুভেন্দুর গত কয়েক মাসে দলের সঙ্গে সম্পর্ক হিম শীতল ছিল । কিন্তু কখনওই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেননি । কিছুটা কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছিল অভিষেকের সম্পর্কে (যদিও নাম না করে) । যেভাবে শুভেন্দু পর্ব সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন সৌগত, তাতে ধারণা হয়েছিল হয়ত এক্ষেত্রে অভিষেক-পি কে'র ভূমিকা কম । কারণ, সৌগত-শিশির সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে এই সমাধানের চেষ্টা হয়েছিল । যে শিশির অধিকারী ও সৌগত রায়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের সৈনিক বলে মনে করা হয় । দীর্ঘদিন তাঁরা দিল্লি-রাজ্যের নানা প্রান্তে আন্দোলন করেছেন । একে অপরের মতামতকে শ্রদ্ধা করেন । যেটা মমতা-তৃণমূলের অক্সিজেন ছিল একসময় । দাদার অনুগামীদের অভিযোগ, সেই অক্সিজেন আজ কার্বন ডাই অক্সাইডে পরিণত হয়েছে । আর তাই হয়ত শুভেন্দু হয়ত এক পা এগিয়েও দু'পা পিছিয়ে যাওয়ার বার্তা দিচ্ছেন, মত রাজনৈতিক মহলের ।

আজ শুভেন্দু সৌগতর কাছে স্পষ্ট করেছেন, অভিষেক-পি কে-বর্তমান তৃণমূলে কাজ কার অসম্ভব । সৌগত রায়ও স্পষ্ট করেছেন, আগামীতে শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা ক্ষীণ । অর্থাৎ মঙ্গলবারের রাতে শুভেন্দু-অভিষেক মোলাকাত সম্ভবত বর্তমান সময়ের শেষ দেখা । আজ সকাল থেকে ফের বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অধিকারী পরিবারের মধ্যে দড়ি টানাটানি তীব্র হয়েছে । সৌগত বা শুভেন্দু দু'জনেই অনমনীয় মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন । তাতে যেন নতুন করে ফাটল তীব্র হওয়ার ইঙ্গিতই মিলেছে । বিক্ষুব্ধ তৃণমূল গোষ্ঠী ইতিমধ্যে 15 হাজারের বেশি শুভেন্দু মাস্ক তৈরি করে ফেলেছে । তাঁরা নাকি এভাবেই দাদাকে স্বাগত জানাতে তৈরি হচ্ছেন ।

প্রশান্ত কিশোরের একটা 'ভুল'ই কি তৃণমূল-শুভেন্দু সম্পর্ক শেষ করল? সেই প্রশ্নই দিনের শেষে রয়ে গেল ।

কলকাতা ও কাঁথি, 2 ডিসেম্বর : দুপুরেই সুর কেটে গিয়েছিল রাতের । শীতলতা যেন আরও বেড়েছে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে । বিভিন্ন জেলার অনুগামীদের নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বৈঠক করলেন । অকুস্থল কন্টাই কোঅপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক লিমিটেড (কার্ড ব্যাঙ্ক) । প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে চলল বৈঠক । বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে বাড়ি ফিরলেন শুভেন্দু । ফিরলেন দাদার অনুগামীরাও । তাহলে কি আগামী রবিবাসরীয় দুপুরে তৃণমূলে সেই কাঙ্ক্ষিত অঘটন ঘটতে চলেছে?

মঙ্গলবার প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই বৈঠকে বসেন শুভেন্দু ও অভিষেক । বেশ ভালোই নাকি কথাবার্তা হয় । প্রায় মাস চারেক বাদে দিদির সঙ্গেও কথা হয়েছিল অধিকারী পরিবারের মেজ ছেলের । তারপর বৈঠকের সামান্য কিছু অংশ সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেছিলেন সৌগত রায় । কালীঘাটের অন্দরের খবর যাঁরা রাখেন, তাঁরা বলছিলেন পুরো কাজটাই হয়েছিল ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে । তিনিই নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অভিষেকের সঙ্গে কথা বলে সৌগতকে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে বলেছিলেন ।

সৌগতর এহেন পদক্ষেপেই তাল কাটে শুভেন্দু পর্বে । সাতসকালে একাধিক সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু । সৌগত রায়কে অভিযোগও জানান । কেন এভাবে তাঁর অনুমতি ছাড়া সংবাদমাধ্যমের কাছে খবর প্রকাশিত হল, তা নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যাও চান । যদিও পরিস্থিতি বুঝে সৌগত কিছুটা চুপ থাকার চেষ্টা করেন । আবার অন্য মনোভাব দেখাতেও ছাড়েন না তিনি । সরাসরি শুভেন্দুকে আক্রমণ না করলেও সৌগত হাবেভাবে বুঝিয়ে দেন অধিকারী গড়ের মেজ ছেলে মত বদলাতে পারেন । সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় ।

কিন্তু কেন এমনটা ঘটল? হওয়া কি উচিত ছিল?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এখানেই নাকি প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে পার্থক্যটা স্পষ্ট । তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে দল পরিচালনা করেছেন, তার অনেকটা 'পরিবর্তন' ঘটেছে । এই 'পরিবর্তন' মানিয়ে নিতে পারেননি বা পারছেন না মুকুল-শোভন-মিহির-শীলভদ্র থেকে শুভেন্দু, কেউই । কারণ, এই পরিবর্তনে অন্যতম কান্ডারি প্রশান্ত কিশোর । রূপকার নিঃসন্দেহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । যে অভিষেকের উপস্থিতি- তৃণমূলে প্রবেশ অনেক নেতার কাছেই অস্বস্তির কারণ ।

নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মতো সময় থেকে শুভেন্দু পাশে মমতার ছায়াসঙ্গী হলেও কখনওই তৃণমূলের 'কোর কমিটি'তে তাঁর ঠাঁই ছিল না । অর্থাৎ যাঁরা 24 ঘণ্টা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকেন বা থাকার সুযোগ পান কিংবা এখনও পাচ্ছেন । এই তালিকায় বর্তমানে ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং আগে মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়দের নাম থাকলেও নেই শুভেন্দুর । নন্দীগ্রামের পরবর্তী সময়ে কখনও সাংসদ হয়েছেন । কখনও বিধায়ক । কখনও চার-পাঁচটি জেলার দায়িত্বে । কখনও যুব তৃণমূলের দায়িত্বে । কখনও বিভিন্ন কমিটির দায়িত্বে । কখনও সংসদীয় কমিটিতেও । কিন্তু মমতার কোর কমিটিতে কখনওই ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারী । তবে, নেত্রী যখন যা দায়িত্ব দিয়েছেন, নিষ্ঠা ভরে পালন করেছেন ।

দাদার অনুগামীদের অভিযোগ, দায়িত্ব পালন করলেও নেত্রীর সেভাবে কাছে যাওয়া তো দূর অস্ত, বিভেদ বেড়েছে । সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম থেকে 2011-র পরিবর্তন- কোনও কিছুতে ভূমিকা না থাকলেও রকেট গতিতে উত্থান হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলের রাশ যতই আলগা হয়েছে, ততই প্রভাবশালী হয়েছেন অভিষেক । তাঁর হাত ধরে তৃণমূলে প্রবেশ হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের । তারপরই দলে বেড়েছে বিভেদ ।

শিশির অধিকারীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের খাতিরে সৌগত রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু তৃণমূলের এই জাতীয় মুখপাত্র যেভাবে শুভেন্দু-অভিষেক কথার সারবত্তা প্রকাশ্যে এনেছেন, তাতেই আপত্তি তীব্র হয়েছে । শুভেন্দু অনুগামীদের দাবি, অভিষেককে না সরানো হলে বা তাঁর 'ডানা ছাঁটা' না হলে দলে বিভেদ আরও বাড়বে ।

শুভেন্দুর গত কয়েক মাসে দলের সঙ্গে সম্পর্ক হিম শীতল ছিল । কিন্তু কখনওই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেননি । কিছুটা কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছিল অভিষেকের সম্পর্কে (যদিও নাম না করে) । যেভাবে শুভেন্দু পর্ব সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন সৌগত, তাতে ধারণা হয়েছিল হয়ত এক্ষেত্রে অভিষেক-পি কে'র ভূমিকা কম । কারণ, সৌগত-শিশির সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে এই সমাধানের চেষ্টা হয়েছিল । যে শিশির অধিকারী ও সৌগত রায়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের সৈনিক বলে মনে করা হয় । দীর্ঘদিন তাঁরা দিল্লি-রাজ্যের নানা প্রান্তে আন্দোলন করেছেন । একে অপরের মতামতকে শ্রদ্ধা করেন । যেটা মমতা-তৃণমূলের অক্সিজেন ছিল একসময় । দাদার অনুগামীদের অভিযোগ, সেই অক্সিজেন আজ কার্বন ডাই অক্সাইডে পরিণত হয়েছে । আর তাই হয়ত শুভেন্দু হয়ত এক পা এগিয়েও দু'পা পিছিয়ে যাওয়ার বার্তা দিচ্ছেন, মত রাজনৈতিক মহলের ।

আজ শুভেন্দু সৌগতর কাছে স্পষ্ট করেছেন, অভিষেক-পি কে-বর্তমান তৃণমূলে কাজ কার অসম্ভব । সৌগত রায়ও স্পষ্ট করেছেন, আগামীতে শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা ক্ষীণ । অর্থাৎ মঙ্গলবারের রাতে শুভেন্দু-অভিষেক মোলাকাত সম্ভবত বর্তমান সময়ের শেষ দেখা । আজ সকাল থেকে ফের বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অধিকারী পরিবারের মধ্যে দড়ি টানাটানি তীব্র হয়েছে । সৌগত বা শুভেন্দু দু'জনেই অনমনীয় মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন । তাতে যেন নতুন করে ফাটল তীব্র হওয়ার ইঙ্গিতই মিলেছে । বিক্ষুব্ধ তৃণমূল গোষ্ঠী ইতিমধ্যে 15 হাজারের বেশি শুভেন্দু মাস্ক তৈরি করে ফেলেছে । তাঁরা নাকি এভাবেই দাদাকে স্বাগত জানাতে তৈরি হচ্ছেন ।

প্রশান্ত কিশোরের একটা 'ভুল'ই কি তৃণমূল-শুভেন্দু সম্পর্ক শেষ করল? সেই প্রশ্নই দিনের শেষে রয়ে গেল ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.