কলকাতা, 24 এপ্রিল: রাজ্যে বেড়েই চলেছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা । এরাজ্যে নতুন করে কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন 51 জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল 385। কোরোনা সংক্রমণে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে 18 জনের। আজ নবান্নে একথা জানালেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।
এদিকে কোরোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা নিয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। একই প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এই প্রসঙ্গে মুখ্যসচিবের বক্তব্য, বিষয়টি একমাত্র জানে কোরোনা ডেথ অডিটর কমিটি। বলেন, "মোট 57 টি মৃত্যুর ঘটনা কোরোনা ডেথ অডিটর কমিটি খতিয়ে দেখে। তারা অডিট করে জানিয়েছে, এদের মধ্যে কোরোনায় মৃত্যু হয়েছে 18 জনের। বাকিদের অন্য কারণে মৃত্যু হয়েছে।"
আক্রান্তের পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজীব সিনহা জানান, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর 24 পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমান জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন কয়েকজন। এখনও পর্যন্ত যত জন আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে শতকরা 82 শতাংশই কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর 24 পরগনার বাসিন্দা। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন 103 জন।
এদিকে রাজ্যে পর্যাপ্ত কোরোনা পরীক্ষা হচ্ছে না বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা উড়িয়ে দিয়ে মুখ্যসচিব জানান, মোট 8 হাজার 933 জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। গত 24 ঘণ্টায় 543 জনের পরীক্ষা হয়েছে। পাশাপাশি লকডাউন ভাঙায় 3 হাজার 749টি FIR দায়ের হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন থানায়। 3 হাজার 397 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 3 হাজার 566টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ।
অন্যদিকে কোরোনা আক্রান্তকে হাসপাতাল ভরতি নিচ্ছে না বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেই প্রসঙ্গে মুখ্যসচিবের সাফ কথা, "মেডিকেল কলেজ থেকে রোগী ফিরে যাওয়ার অভিযোগ এসেছে। কোথাও কোথাও রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা বরদাস্ত করা হবে না। কোরোনা রোগী ফেরাতে পারবে না বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও।"
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পরিদর্শন প্রসঙ্গে রাজীব সিনহা বলেন, "সমন্বয় সাধনের জন্য রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে যে সব চিঠি তারা দিয়েছে তা স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিবকে পাঠিয়েছি। স্বাস্থ্য দপ্তর উত্তর দেবে। আর প্রশাসনিক চিঠির উত্তর প্রশাসন দেবে।"
তবে, বিরোধী ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের মূল প্রশ্ন, কোরোনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে। সেই প্রসঙ্গে মুখ্যসচিবের পালটা প্রশ্ন, "কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল জানতে চেয়েছে অমুক কী কারণে মারা গেছে? এই বিষয়টা কেউ বলতে পারে না। আপনারা বলতে পারেন না। প্রতিনিধি দলও বলতে পারে না। এর জন্য এক্সপার্ট কমিটি রয়েছে তাঁরা বলবে।"
কোরোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের অর্থ সাহায্য নিয়ে মুখ্যসচিব বলেন, "কেন্দ্রের কাছ থেকে নামমাত্র টাকা পেয়েছে রাজ্য সরকার। বকেয়া পেলে আরও ভালো কাজ করা যেত। রেশন ব্যবস্থার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের যা দেওয়ার কথা তার 40 শতাংশও দেয়নি তারা।"