কলকাতা, 29 মার্চ : রামপুরহাটের বাগটুই গণহত্যা কাণ্ডে রামপুরহাট থানার তৎকালীন আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিককে জেরা করল সিবিআই (CBI in Bagtui Probe) ৷ মঙ্গলবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল বীরভূমে সিবিআইয়ের অস্থায়ী অফিসে ৷ সূত্রের খরব, এদিন রামপুরহাট থানার তৎকালীন আইসিকে একাধিক প্রশ্ন করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা (CBI interrogate suspended IC of Rampurhat PS) ৷ গ্রামবাসীরা যে অভিযোগ করছেন ঘটনার দিন পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি, পুলিশের সাহায্য চেয়েও পাওয়া যায়নি, সে বিষয়ে এই পুলিশ আধিকারিককে প্রশ্ন করেন তদন্তকারীরা ৷
তবে জানা গেয়েছে, সিবিআইয়ের দেওয়া এই সব তথ্য এদিন অস্বীকার করেছেন ত্রিদীপ প্রামাণিক । সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন রামপুরহাট থানার তৎকালীন আইসির কাছে জানতে চাওয়া হয়, ঘটনার দিন রাতে বগটুই গ্রামের বাড়িগুলি জ্বালিয়ে দেওয়ার আগে এত লোক একসঙ্গে সেখানে জমায়েত হল কী করে ? তাদের হাতে অস্ত্র ও বোমা ছিল কি না? কারণ ঘটনাস্থল থেকে বোমা এবং অস্ত্র দু‘টোই পাওয়া গিয়েছে । যদি আক্রমণকারীরা সশস্ত্র না হয়ে থাকেন তাহলে অস্ত্র এল কীভাবে ? সিবিআই সূত্রের খবর, জবাবে সেভাবে কিছু বলতে পারেননি আইসি। উল্লেখ্য, বগটুই কাণ্ডে প্রথমে ত্রিদীপবাবুকে ক্লোজ করা হয় ৷ পরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয় ৷
আরও পড়ুন : অনুব্রতর শাস্তি চাইলেন বগটুইয়ে পুড়ে মৃত নাজিমা বিবির স্বামী শেখলাল
ঘটনার পর বগটুই গ্রামে গিয়ে প্রাথমিক পুলিশের গাফিলতির কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ এই বিষয়টি ধরেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করতে চাইছে সিবিআই ৷ সিবিআই সূত্রের আরও জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় তদন্তে নেমে ধৃত আনারুল হোসেন জেরা করে একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা । সেই সকল তথ্যের সঙ্গে আইসির বয়ান মিলিয়ে দেখা হচ্ছে । সিবিআই সূত্রে খবর, সোমবারই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী মিহিলাল শেখের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে ৷ তাঁর বয়ানের সঙ্গেও আইসি'র বয়ান মিলিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ 21 মার্চ রাতে ব্লক তৃণমূল নেতা আনারুলই কি পুলিশকে ফোন করে বগটুই যেতে নিষেধ করেছিলেন? না কি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও বড় নেতা পুলিশকে ওই ‘হুকুম’ দিয়েছিলেন সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছে সিবিআই ৷