কলকাতা, 14 অক্টোবর: দলের অন্দরে কোন্দল । সংগঠনের প্রধান ক্রাইসিস ম্যানেজার অসুস্থ । বিদেশে চিকিৎসাধীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এতদিন সংগঠন যিনি দেখতেন তিনি জেলে এবং দলের দায়িত্ব থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে । আছেন একমাত্র রাজ্য সভাপতি । এই অবস্থায় দলের দুই শীর্ষ নেতার কোন্দল বারেবারেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে । কী করবে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ? এই মুহূর্তে রাজ্যের শাসকদলের কাছে এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন । যদিও সম্প্রতি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বিজয়া করতে গিয়েছিলেন একদা সংগঠনের গুরুদায়িত্ব সামলানো মুকুল রায় । দলনেত্রী তাঁকে সংগঠনের কাজে আরও সক্রিয় হওয়ার কথা বলেছেন । কিন্তু শারীরিকভাবে তিনি যে পুরোপুরি সুস্থ এমনটাও নয় (TMC factionalism)। এই অবস্থায় দলের অভ্যন্তরে যে ক্রাইসিস তৈরি হয়েছে তা মেটাবেন কে ?
যদিও সাম্প্রতিক সময়ে দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ফিরহাদ হাকিমকে মন্ত্রিসভার পাশাপাশি বেশ কিছু সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে । রাজ্য স্তরে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে এখন অনেক বেশি সক্রিয় রাজ্যের অপর মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও । কিন্তু সামগ্রিকভাবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাপস রায়কে আলোচনার টেবিলে বসিয়ে সমস্ত সমস্যার সমাধান করবেন এমন মানুষ কোথায় ? আর তাই বাড়ছে বেসুরোদের সংখ্যা ।
আরও পড়ুন: আমেরিকায় অপারেশন হল অভিষেকের, ভাইপোর চোখ নিয়ে উদ্বিগ্ন মমতা
প্রসঙ্গত, এতদিন সরকারে থাকলেও এ ধরনের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে প্রকাশ্য সংঘাত কিন্তু অতীতে দেখা যায়নি । দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বোচ্চ নেত্রী । প্রশাসনিক কাজে তিনি সবসময় ব্যস্ত । অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মত করে সংগঠন সামলাচ্ছেন । একইসঙ্গে তাঁর চোখের সমস্যাটাও বেশ কিছুদিন ধরে ভোগাচ্ছে ৷ তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর তাঁকে চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে । এতদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে দায়িত্ব সামলাতেন, সেই স্থানে এখন একটা শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে । আমরা চেষ্টা করছি গোটা বিষয়টি যাতে বেশি দূর না এগোয় তা নজরে রাখতে । দলনেত্রী নিশ্চয়ই সব দেখছেন সঠিক সময় তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন ।"
অন্যদিকে, জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক দিন ধরে যেভাবে মদন মিত্র একের পর এক প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন, তা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ । গোটা বিষয়টি শীঘ্রই দলনেত্রীর নজরে আনা হতে পারে । সে ক্ষেত্রে নেত্রী আলাদা করে তার সঙ্গে কথা বলতে পারেন বলে খবর ।