কলকাতা, 24 সেপ্টম্বর : দেশ জুড়ে পিএফআই (PFI) ও এসডিপি (SDP)-র বিরুদ্ধে এনআইএ (NIA), ইডি (ED)-র অভিযানের বিরুদ্ধে সরব একাধিক মানবধিকার সংগঠন । অবিলম্বে এই অভিযান বন্ধ-সহ ধৃতদের নিঃশর্তে মুক্তির দাবি করা হয়েছে । মত প্রকাশ ও ধর্মাচরণের স্বাধীনতার উপর রাষ্ট্র ও আরএসএস (RSS)-বিজেপি (BJP) আক্রমণ করছে বলেও ওই সংগঠনগুলির অভিযোগ ৷ তাদের দাবি, এই আক্রমণ বন্ধ করা উচিত ৷
একই সঙ্গে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নেতৃত্বধীন বিজেপি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক দল কিংবা গণসংঠন বা বিরুদ্ধ স্বরকে দমাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ৷ এনআইএ, ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে । দেশের যে সমস্ত রাজ্যে বিরোধী শাসন রয়েছে, সেখানেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে বারবার । শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে বন্দিমুক্তি কমিটি, এআইপিএফ (AIPF), এনসিএইচআরও (NCHRO), আরএসএফ (RSF) ও আইএফটিইউ (IFTU)-র মতো একাধিক সংগঠনের তরফে এই দাবি তোলা হয়েছে ।
এনসিএইচআরও-র আইনজীবী মহম্মদ সোহরাব হোসেন বলেন, "দেশ জুড়ে যেখানেই বিজেপির বিরুদ্ধ স্বর, সেখানেই ইউএপিএ-র মতো ভয়াবহ মামলা করা হয়েছে । সাম্প্রতিক অভিযানটাও একই । পশ্চিমবঙ্গে পিএফআইয়ের অফিসে যেখানে অভিযান চালানো হয়েছে, সেখানে উল্লেখ্য কিছুই পাওয়া যায়নি ।" সিজার লিস্ট তুলে ধরে সোহরাব হোসেনের আরও বক্তব্য, "সিজার লিস্ট অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত সামগ্রী থেকেই স্পষ্ট ইউএপিএ বা এই জাতীয় ধারায় মামলা দায়ের করা যায় না । অথচ, এক্ষেত্রে তা হচ্ছে । আর এখানেই স্পষ্ট কেন্দ্রীয় সরকার কিভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে অপব্যবহার করছে ।"
একইভাবে এই অভিযান নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর চুপ থাকা নিয়েও এদিনের বক্তারা সরব হন । তাঁদের প্রশ্ন, নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতা, কর্মীরা গ্রেফতার করা হলে রাজনৈতিক দলগুলো সরব হয় । আর পিএফআই, এসডিএফ কিংবা মানবধিকার কর্মীরা গ্রেফতার হলে, কেউ কিচ্ছুটি করেন না । শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সংস্থার অভিযান চালানো হলে নির্দিষ্ট অঞ্চলের রাজ্য পুলিশ প্রশাসন জানেন । তাহলে কেন এধরনের অভিযান চালাতে দেওয়া হয় ?"
আরও পড়ুন : পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া-যোগ ! কলকাতা-সহ দেশজুড়ে এনআইএ অভিযানে গ্রেফতার শতাধিক