কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি : 2016 সালের শিক্ষক নিয়োগে ফের বড়সড় দুর্নীতির ইঙ্গিত । 16 ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন (SSC Recruitment Case in Calcutta High Court) ।
আদালত সূত্রে খবর, 2016 সালে নবম-দশমে যে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল সেই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় 2019 সালের 18 ডিসেম্বর । কিন্তু মামলাকারীরা জানতে পেরেছেন 2020 সালের 3 অগস্ট স্কুল সার্ভিস কমিশন এসএমএস করে একাধিক চাকরিপ্রার্থীকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে দেখা দেখা করতে বলছে । অথচ প্যানেলের সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর কোনও পাবলিক নোটিশ দেওয়া হয়নি ।
যাঁদের চাকরিতে নিযুক্ত করা হয়েছে মেধা তালিকায় তাঁদের নাম নেই, এমনকি ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদেরকেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি । প্রাথমিকভাবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে এব্যাপারে রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ বেশ কয়েকটি মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশন ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছে যে তাদের গলদ রয়েছে ৷ এদিন মামলার শুনানিতে আগামী 16 ফেব্রুয়ারি মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি । পাশাপাশি এসএমএস করে চাকরিপ্রার্থীদের ডাকার বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি ।
মামলাকারীদের তরফের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, "একাধিক কম যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে । এমনকি মেধাতালিকায় নাম নেই এমন প্রার্থীদেরও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে । 8 মাস আগে যে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, কোনও পাবলিক নোটিশ ছাড়া কী করে তাতে নিয়োগ করা হয় কারোরই বোধগম্য নয় । এখানে বড়সড় অনিয়মের রয়েছে ।"
আরও পড়ুন : SSC Recruitment Corruption Case : স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ একাধিক চাকরিপ্রার্থী