কলকাতা, 27 মার্চ: যে কোনও সময় COVID-19-এর সংক্রমণ এ রাজ্যে আবার দ্রুত বৃদ্ধি হতে পারে । তাই সাবধানতা অবলম্বনের জন্য এ বছর দোলযাত্রা, হোলি উৎসব উদযাপনে রাশ টানা একান্ত জরুরি । যার অঙ্গ হিসেবে, এই উৎসব উপলক্ষে কোনও জমায়েত বা শোভাযাত্রার আয়োজন করা উচিত নয় । রঙের উৎসব এ বছর পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকুক । শারীরিকভাবে কাছে গিয়ে বা ধরে কাউকে রং বা আবির মাখাবেন না। এমনই সতর্কবার্তা দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ।
COVID-19-এর সংক্রমণ গোটা দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যেও ফের বেড়ে চলেছে । 25 মার্চ এ রাজ্যে COVID-19-এর দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছিল 516 । শুক্রবার, 26 মার্চ সেই সংখ্যা বেড়ে হয় 646 । এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে এ বছর রঙের উৎসব দোলযাত্রা এবং হোলি উদযাপনে রাশ টানার কথা বলল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরর । শুক্রবার, 26 মার্চ স্বাস্থ্য দফতরের সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, COVID-19 অতিমারী এখনও সক্রিয় । করোনাভাইরাসের গঠনগত পরিবর্তনের ফলে যে কোনও সময় সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে । ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে COVID-19-এর সংক্রমণ প্রবল আকারে দেখা দিয়েছে । তাই সাবধানতা অত্যন্ত জরুরি । দোল, হােলি উদযাপনেও রাশ টানা একান্ত জরুরি বলে মত স্বাস্থ্য দফতরের ।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের এই সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে:
1. উৎসব উপলক্ষে কোনও জমায়েত বা শােভাযাত্রার আয়ােজন না-করাই সমীচীন হবে । দোল এই বছরে পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাক ।
2. শারীরিকভাবে কাছে গিয়ে বা ধরে রং/আবির মাখাবেন না ।
3. ভিড় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন ।
4. দোকান, বাজার বা রেস্তোরাঁয় শারীরিক দূরত্ব-বিধি বজায় রাখুন ।
5. বৃদ্ধ, ছােট শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের যে কোনও রকম ভিড় থেকে দূরে রাখুন ।
6. মাস্ক না-পরে বাইরে বের হবেন না ।
7. বার বার সাবান-জল বা স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত শােধন করুন ।
আরও পড়ুন: কোচবিহার থেকে বর্ধমান, আবিরে-পলাশে রাজ্যের দোলের রঙিন মুহূর্তের এক ঝলক
দোলযাত্রা বা হােলি উপলক্ষে ধর্মীয় স্থানে ভক্ত সমাগম হতে পারে । এই বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের এই সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে:
1. সেখানে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং COVID-19-এর সতর্কতা নিশ্চিত করার জন্য স্বেচ্ছাসেবীর ব্যবস্থা করা প্রয়ােজন ।
2. বিভিন্ন স্থানে যথেষ্ট সংখ্যায় হাত ধােওয়ার বেসিন এবং হাত স্যানিটাইজ় করার আয়ােজন রাখতে হবে ।
3. মূল পূজাস্থলের বাইরে অপেক্ষমান ভক্তদের জন্য যথেষ্ট বড় জায়গা থাকা দরকার । সেটা খােলা জায়গা হওয়া বাঞ্ছনীয় ।
4. মূল মন্দির বা পূজাস্থলের ভিতরে কোনও ভক্ত যেন দীর্ঘ সময় না থাকেন । এবং ওই স্থানে যেন হাওয়া চলাচলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে ।
5. ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সীমিত আকারে করে অনলাইনে সম্প্রচার করা যেতে পারে ।