কলকাতা, 7 অক্টোবর: বাগুইআটি জোড়া খুনের (Baguiati Double Murder Case) ছায়া এবার হরিদেবপুরে ৷ প্রায় 48 ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল এক তরুণের পচা, গলা দেহ (Haridevpur Youth Body Recovered) ৷ পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁদের বাড়ির ছেলেকে খুন করা হয়েছে ৷ একইসঙ্গে, ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতিরও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম অয়ন মণ্ডল (Ayan Mondal) ৷ কলকাতার হরিদেবপুর থানা এলাকার কেওড়াপুকুরের বাসিন্দা ছিলেন অয়ন ৷ দশমীতে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি ৷ শুক্রবার মগরাহাট থানা এলাকার একটি ব্রিজের নীচে থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয় ৷ পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের অভিযোগ, অয়নের বান্ধবীর পরিবারের লোকেরাই তাঁকে খুন করে তাঁর দেহ লোপাট করে দেওয়ার চেষ্টা করেন ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ ৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগও ৷ তবে, হরিদেবপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে লালবাজারের কোনও কর্তা মুখ খুলতে চাননি ৷
আরও পড়ুন: বাগুইআটি জোড়া খুনের ঘটনায় সরানো হল বিধাননগরের সিপিকে
পুলিশের তদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দশমীর দিন বাড়িতে একা ছিলেন অয়নের বান্ধবী ৷ সেই সময়েই অয়ন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান ৷ কিন্তু, এরপর হঠাৎই ওই তরুণীর বাবা-মা বাড়ি ফিরে আসেন ৷ ভয়ে বাড়ির এক কোনায় লুকিয়ে পড়েন অয়ন ৷ পরে বাড়ির ছাদে উঠে যান তিনি ৷ পুলিশ সূত্রে দাবি, অয়নের বন্ধুদের কাছ থেকেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে ৷ কিন্তু, বান্ধবীর বাড়ির ছাদে ওঠার পর থেকে আর অয়নের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ৷
এরপর অয়নের পরিবারের সদস্যরা হরিদেবপুর থানায় নিখোঁজ ডায়ারি করেন ৷ ফলে পুলিশের তরফে ওই তরুণের ছবি অন্য়ান্য সমস্ত থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ এদিকে, শুক্রবারই খবর আসে, মগরাহাট থানা এলাকায় একটি ব্রিজের নীচে এক তরুণের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ সেই মৃতদেহের ছবি অয়নের পরিবারের সদস্যদের দেখানো হলে তাঁরা অয়নকে শনাক্ত করেন ৷ যদিও দেহটি পচা, গলা অবস্থায় উদ্ধার হওয়ায় শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না ৷
অয়নের পরিবারের আশংকা, তাঁর বান্ধবীর পরিবারের লোকেরাই তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছেন ৷ তারপর পরিকল্পিতভাবে তাঁর দেহ নির্জন ব্রিজের নীচে ফেলে দেওয়া হয়। তবে, সত্যিই অয়নকে খুন করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে আসতে নারাজ পুলিশের গোয়েন্দারা ৷ তাঁরা আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন ৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে অয়নের বান্ধবীর পরিবারের সদস্যদের ভূমিকাও ৷