কলকাতা, 16 জুন: সাতসকালে খাস কলকাতায় উদ্ধার হল যুগলের ঝুলন্ত দেহ (Rajasthan couple body recovered)। এলাকার বাসিন্দারা পচা দুর্গন্ধ পেয়ে খবর দেন পুলিশে । পুলিশ এবং স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে ঝুলন্ত যুবক-যুবতীকে । আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সাউথ পোর্ট থানা এলাকার বাবুবাজারে । জানা গিয়েছে ওই মৃত যুগলের নাম সঙ্গীতা লাল (19 বছর) এবং দীনেশ কুমার কালওয়া (29 বছর) ৷
জানা গিয়েছে, তাঁরা এই রাজ্যের নয় (Hanging body recovered)। রাজস্থানের বাসিন্দা দুজনেই (Hanging body of Rajasthan couple recovered from Kolkata)। কী কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখছেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা । ইতিমধ্যেই যুগলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ বলতে পারবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । মৃত যুগলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে লালবাজার । প্রণয়ঘটিত কারণ নাকি ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য ? উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন ৷
জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । মৃত যুগলের বন্ধু ওই যুবক । প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পেরেছে, 13 জুন কলকাতার সাউথ পোর্ট থানা এলাকার বাবুবাজারে এই বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই যুগল । তাঁরা সেখানেই থাকতে চান । গত 15 বছর ধরে খিদিরপুরের এই বাড়িতে ভাড়া থাকে আটক যুবকের পরিবার । আচমকাই বন্ধু চলে আসায় তাঁদের একটি ঘর ছেড়ে দেওয়া হয় ।
আরও পড়ুন: Fashion designer death: বাড়ির শৌচালয়ে উদ্ধার সেলিব্রিটি ফ্যাশন ডিজাইনারের দেহ, আত্মহত্যা ?
এরপরে 13 তারিখ থেকেই পাশের পাড়ায় অন্য একটি ফ্ল্যাটে থাকছিল ওই বন্ধুর পরিবার । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ওই বন্ধু পুলিশকে জানিয়েছেন, 13 তারিখের পর থেকে ওই যুগলের ফোনে আর ফোন যাচ্ছিল না । পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছে, গতকাল থেকেই ওই ঘর থেকে পচা গন্ধ বের হচ্ছিল । বেশ কয়েকবার ডাকাডাকি করার পরেও সাড়া না মেলায় অবশেষে এলাকার লোকজন পুলিশের দ্বারস্থ হন । এরপর এই গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ।
ঘটনার নেপথ্যে কি রয়েছে প্রেমঘটিত কোনও ব্যাপার ? নাকি রয়েছে অন্য কোনও রহস্য ? তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷ এ দিন ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা । অবশ্য এ বিষয়ে কোনও রকম মন্তব্য করতে চাননি কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা । ইতিমধ্যেই ওই যুগলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার জন্য রাজস্থান পুলিশের সাহায্য নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ ।