কলকাতা, 2 ফেব্রুয়ারি : টাকে চুল গজিয়ে দেবে এক ক্লিনিক। আর, এর জন্য টাকা ধার দেবে এক ফিনান্স কোম্পানি। তবে, টাকে চুল গজিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু না হলেও, ধার শোধ করতে হচ্ছে 50 বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে। এই ঘটনায় অভিযোগ জানানো হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনে। রাজ্যের এই স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, এটি একটি প্রতারণা। ওই ক্লিনিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশকে তদন্তের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
রাজ্যের এই স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, টাকে চুল গজিয়ে দেবে বলে ব্যাঙের ছাতার মতো চারিদিকে ক্লিনিক গজিয়ে উঠছে। বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা 50 বছর বয়সি এক ব্যক্তি এই কমিশনে দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন, সল্টলেকে অবস্থিত একটি ক্লিনিকে তিনি গিয়েছিলেন। ওই ক্লিনিক থেকে জানানো হয়, এই ব্যক্তির টাকে চুল গজিয়ে দেওয়া হবে। তবে এর জন্য তাঁকে কোনও টাকা দিতে হবে না। নাম করা একটি ফিনান্স কোম্পানি এই ব্যক্তিকে টাকা ধার দেবে বিনা সুদে। এই ব্যক্তিকে ওই ক্লিনিকে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়। জানানো হয়, ধাপে ধাপে তাঁর টাকে চুল গজিয়ে দেওয়া হবে। এর পরে বিভিন্ন কাগজপত্রে ওই ব্যক্তিকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনা 2019-এর সেপ্টেম্বর মাসের।
কমিশন জানিয়েছে, এই ব্যক্তির টাকে চুল গজিয়ে দেওয়ার জন্য ওই ক্লিনিকে কোনও প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। কারণ, এই ব্যক্তির ব্লাড সুগার রয়েছে। এই কারণে এই ব্যক্তিকে টাকে চুল না গজানোর জন্য তাঁকে অ্যাডভাইস দেন তাঁর চিকিৎসক। অথচ, এই ব্যক্তির কাছ থেকে ওই ফিনান্স কোম্পানি টাকা নিতে শুরু করে। 5 হাজার করে দুটি ইন্সটলমেন্টে মোট 10 হাজার টাকা নেয় ওই কোম্পানি। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে রাজ্যের এই স্বাস্থ্য কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, ওই ফিনান্স কোম্পানি এই ব্যক্তিকে বলেছে, সব কাগজপত্রে এই ব্যক্তি সই করে দিয়েছেন, তিনি প্রায় 44 হাজার টাকা লোন নিয়েছেন। তাই, এই টাকা ওই ব্যক্তিকে শোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন : ডিগ্রি না থাকলেও অস্ত্রোপচার, কোমায় তরুণী; 10 লাখ টাকা জরিমানা করল কমিশন
রাজ্যের এই স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, এটি একটি প্রতারণা। সল্টলেকের ওই ক্লিনিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। তদন্তের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিচার পাওয়ার জন্য এই ব্যক্তিকে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।