কলকাতা, 28 অক্টোবর : আগামী 19 এবং 20 নভেম্বর কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন JUTA-সহ অধ্যাপকদের একাধিক সংগঠন । তাদের দাবি, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নতুন বেতন কাঠামো লাগু করতে হবে । এই কর্মবিরতির ঘোষণার কথা জানতে পেরে গতকাল JUTA-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়কে ফোন করেন রাজ্যপাল তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনকড় । প্রায় 30 মিনিট ধরে ফোনে কথা হয় তাঁদের মধ্যে । রাজ্যপাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন বলে জানান পার্থপ্রতিম রায় ।
JUTA-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, "আচার্যের অফিস থেকে ফোন এসেছিল । বলা হয়, আচার্য কথা বলতে চান । তারপর রাজ্যপাল ফোনে বলেন, আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে আপনাদের পে-স্কেলের দাবিটা জানতে পেরেছি । আপনাদের দাবিটা ন্যায্য । এ ব্যাপারে আমার যদি কিছু করণীয় থাকে আমি করতে পারি । আমি আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই ।" এরপর রাজ্যপালকে পার্থপ্রতিম রায় বলেন, তিনি একা কিছু বলতে পারবেন না । বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ছুটি চলছে । বৃহস্পতিবার খুলবে । তারপর সংগঠনের তরফে তাঁরা মিটিং করে জানাবেন । যা শুনে রাজ্যপাল তাঁকে বলেন, "ঠিক আছে আমাকে জানান ।" JUTA-র সাধারণ সম্পাদক বলেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্সের কথা জানিয়েছি । যা শুনে রাজ্যপাল বলেন, আপনারা আপনাদের মতামত আমাকে জানান । নভেম্বরের শেষে রাজ্যপালদের বৈঠক আছে, আমি সেখানে এগুলো তুলে ধরব ।"
25 অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন JUTA ও অল বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ABUTA) যাদবপুর শাখা । সেই বৈঠকের পরই একটি বিবৃতি দেয় JUTA । বিবৃতি অনুযায়ী, আগামী 19 ও 20 নভেম্বর কর্মবিরতিতে সামিল হবে JUTA, WBCUTA ও ABUTA-র যাদবপুর শাখা । তাদের দাবি, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নতুন পে-কমিশন অর্থাৎ সপ্তম পে কমিশন লাগু করতে হবে রাজ্যে । এই দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে তারা । তাদের সেই কর্মবিরতির খবর পেয়ে গতকাল ফোন করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড় ।