ETV Bharat / city

ছোটো-মাঝারি শিল্প বাঁচাতে সরকার আরও তৎপর হোক, দাবি সোমেনের

সোমেন মিত্র জানিয়েছেন, সোনিয়া গান্ধি ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। ছোট, মাঝারি শিল্পকে বাঁচানোর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির চিঠির রেশ ধরেই সোমেন মিত্র জানান, কেন্দ্রের এই বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত। ভারত সরকার অনেক কিছুই ঘোষণা করছেন। কিন্তু সেই ঘোষণার সুফল বাংলায় এসে পৌঁছাচ্ছে না। রাজ্যের দাবির সঙ্গে সহমত জানিয়ে সোমেন মিত্র বলেন," কেন্দ্র অবিলম্বে অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ করুক। মানুষকে বাঁচানো জরুরি। না খেতে পেয়ে বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন। সে সব খবর প্রকাশ্যে আসছে না। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এরাজ্যে পাঠালেই দায় শেষ হয়ে যায় না ভারত সরকারের। "

author img

By

Published : Apr 26, 2020, 10:32 PM IST

somen mitra
সোমেন মিত্র

কলকাতা,26 এপ্রিল :রাজ্যের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। দেশের ছোটো-মাঝারি শিল্প বাঁচাতে, ও কেন্দ্রীয় সাহায্য রাজ্যে না এসে পৌঁছানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। আজ তিনি রাজ্যের সব কটি জেলা কংগ্রেস সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাজ্যের সবকটি জেলার সমস্যা নিয়ে কথাও হয় তাঁর।পরে আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে সোমেন মিত্র জানান, ছোটো ও মাঝারি শিল্প বাঁচাতে হবে। না হলে বহু মানুষ বেকার হয়ে যাবেন। দেশে চরম আর্থিক সংকট দেখা দেবে। খিদের তাড়নায় মানুষ জীবনের চরমতম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন। অবিলম্বে দেশের সরকার এবং রাজ্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে ছোটো মাঝারি শিল্প বাঁচানোর উদ্যোগ নিয়ে।একই সঙ্গে রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় সঠিকভাবে রেশন ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি ।


রাজ্যের সমস্ত জেলার কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠকের পর সোমেন মিত্র জানিয়েছেন, সোনিয়া গান্ধি ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। ছোটো-মাঝারি শিল্পকে বাঁচানোর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির চিঠির রেশ ধরেই সোমেন মিত্র জানান, কেন্দ্রের এই বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত। ভারত সরকার অনেক কিছুই ঘোষণা করছেন। কিন্তু সেই ঘোষণার সুফল বাংলায় এসে পৌঁছাচ্ছে না। রাজ্যের দাবির সঙ্গে সহমত জানিয়ে সোমেন মিত্র বলেন," কেন্দ্র অবিলম্বে অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ করুক। মানুষকে বাঁচানো জরুরি। না খেতে পেয়ে বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন। সে সব খবর প্রকাশ্যে আসছে না। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এরাজ্যে পাঠালেই দায় শেষ হয়ে যায় না ভারত সরকারের। প্রত্যেকটি রাজ্যের প্রতি দায়বদ্ধ দেশের সরকার। সেই দায়বদ্ধতা পালন করা উচিত ভারত সরকারের।"

এই মুহূর্তে রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তরজার সমালোচনা করেও ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, "সাংবিধানিক দিক থেকে কে ছোটো, কে বড় তা নিয়ে আলোচনা পরেও করা যাবে। আগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কোরোনা ভাইরাসের জেরে যে লকডাউন চলছে দেশজুড়ে, তাতে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। পেটে ভাত নেই মানুষের। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের তরজা দৃষ্টিকটু। সমূহ বিপদ। বিরোধীরা প্রত্যেকেই এই দুঃসময়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সহযোগিতা করবে।"

তিনি বলেন,প্রত্যেকটি জেলায় রেশন বন্টন নিয়ে মানুষের অভিযোগ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা কিছুই পৌঁছাচ্ছে না রাজ্যের জেলাগুলিতে। সর্বদলীয় কমিটি গঠন করে রেশনিং ব্যবস্থার ওপর নজরদারির কথা আগেই বলেছিলেন সোমেন।তিনি বলেন," মুখ্যমন্ত্রী যা বলছেন, কিছুই করছেন না।" নজরদারি কমিটি তৈরি হলে মানুষের উপকার হবে বলে মন্তব্য করেছেন সোমেন মিত্র।

রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন,রাজ্যের সব হাসপাতাল কোরোনা হাসপাতালে পর্যবসিত হয়েছে। অন্য রোগের রোগীরা কোথায় যাবে চিকিৎসা করাতে, তার কোনও দিশা নেই রাজ্য সরকারের কাছে। চিকিৎসক এবং নার্সের সুরক্ষা সরঞ্জাম নেই। কেবলমাত্র শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগের সঠিক চিকিৎসা হতে পারে। পর্যাপ্ত কিট বা উপযুক্ত গুণমানের কিট না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে কোরোনা টেস্টের পদ্ধতি।

কলকাতা,26 এপ্রিল :রাজ্যের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। দেশের ছোটো-মাঝারি শিল্প বাঁচাতে, ও কেন্দ্রীয় সাহায্য রাজ্যে না এসে পৌঁছানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। আজ তিনি রাজ্যের সব কটি জেলা কংগ্রেস সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাজ্যের সবকটি জেলার সমস্যা নিয়ে কথাও হয় তাঁর।পরে আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে সোমেন মিত্র জানান, ছোটো ও মাঝারি শিল্প বাঁচাতে হবে। না হলে বহু মানুষ বেকার হয়ে যাবেন। দেশে চরম আর্থিক সংকট দেখা দেবে। খিদের তাড়নায় মানুষ জীবনের চরমতম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন। অবিলম্বে দেশের সরকার এবং রাজ্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে ছোটো মাঝারি শিল্প বাঁচানোর উদ্যোগ নিয়ে।একই সঙ্গে রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় সঠিকভাবে রেশন ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি ।


রাজ্যের সমস্ত জেলার কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠকের পর সোমেন মিত্র জানিয়েছেন, সোনিয়া গান্ধি ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। ছোটো-মাঝারি শিল্পকে বাঁচানোর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির চিঠির রেশ ধরেই সোমেন মিত্র জানান, কেন্দ্রের এই বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত। ভারত সরকার অনেক কিছুই ঘোষণা করছেন। কিন্তু সেই ঘোষণার সুফল বাংলায় এসে পৌঁছাচ্ছে না। রাজ্যের দাবির সঙ্গে সহমত জানিয়ে সোমেন মিত্র বলেন," কেন্দ্র অবিলম্বে অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ করুক। মানুষকে বাঁচানো জরুরি। না খেতে পেয়ে বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন। সে সব খবর প্রকাশ্যে আসছে না। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এরাজ্যে পাঠালেই দায় শেষ হয়ে যায় না ভারত সরকারের। প্রত্যেকটি রাজ্যের প্রতি দায়বদ্ধ দেশের সরকার। সেই দায়বদ্ধতা পালন করা উচিত ভারত সরকারের।"

এই মুহূর্তে রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তরজার সমালোচনা করেও ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, "সাংবিধানিক দিক থেকে কে ছোটো, কে বড় তা নিয়ে আলোচনা পরেও করা যাবে। আগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কোরোনা ভাইরাসের জেরে যে লকডাউন চলছে দেশজুড়ে, তাতে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। পেটে ভাত নেই মানুষের। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের তরজা দৃষ্টিকটু। সমূহ বিপদ। বিরোধীরা প্রত্যেকেই এই দুঃসময়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সহযোগিতা করবে।"

তিনি বলেন,প্রত্যেকটি জেলায় রেশন বন্টন নিয়ে মানুষের অভিযোগ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা কিছুই পৌঁছাচ্ছে না রাজ্যের জেলাগুলিতে। সর্বদলীয় কমিটি গঠন করে রেশনিং ব্যবস্থার ওপর নজরদারির কথা আগেই বলেছিলেন সোমেন।তিনি বলেন," মুখ্যমন্ত্রী যা বলছেন, কিছুই করছেন না।" নজরদারি কমিটি তৈরি হলে মানুষের উপকার হবে বলে মন্তব্য করেছেন সোমেন মিত্র।

রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন,রাজ্যের সব হাসপাতাল কোরোনা হাসপাতালে পর্যবসিত হয়েছে। অন্য রোগের রোগীরা কোথায় যাবে চিকিৎসা করাতে, তার কোনও দিশা নেই রাজ্য সরকারের কাছে। চিকিৎসক এবং নার্সের সুরক্ষা সরঞ্জাম নেই। কেবলমাত্র শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগের সঠিক চিকিৎসা হতে পারে। পর্যাপ্ত কিট বা উপযুক্ত গুণমানের কিট না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে কোরোনা টেস্টের পদ্ধতি।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.