কলকাতা, 30 মার্চ : পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেও মানা হচ্ছে সরকারি নির্দেশিকা । নির্দেশিকা মেনেই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে থাকবেন শুধু নিকট আত্মীয়রা ।
রবীন্দ্রনাথের গান বড় প্রিয় ছিল কিংবদন্তি ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের । সচিনকর্তার গানও ভালোবাসতেন । আড্ডার আসরে দরাজ গলায় গাইতেন সচিন দেববর্মনের গান । প্রিয় মানুষদের সঙ্গে অনন্ত আড্ডায় তাঁর উৎসাহ ছিল দেখার মতো । কিন্তু তাঁরই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা হবে না অনেকের । দুই মেয়ে পলা এবং পিঙ্কি যে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন সেখানে আন্তরিকতা আছে । একই সঙ্গে রয়েছে পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে উপস্থিত না হওয়ার অনুরোধও ।
সল্টলেকের DH 131 নম্বর বাড়িতে প্রয়াত প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে দশজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না । তাঁর বড় মেয়ে পলা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমার বাবা চিরকালই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ছিলেন । আইন মেনে চলতে পছন্দ করতেন । তাই তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে বিরাট সংখ্যক মানুষ ডেকে লকডাউনের নির্দেশিকা ভাঙতে পারি না । তাই কড়জোরে অনুরোধ করছি সবাইকে । ছোটো করে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করা হচ্ছে । অত্যন্ত নিকট আত্মীয়রাই থাকবেন এবং সংখ্যাটা দশের বেশি নয় । আমরা পরে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠান করব । তখন সবাই আসতে পারবেন । শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমকেও প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছি না ।"
দাদাকে চিরকাল বাবার মতোই দেখে এসেছেন অর্জুন সম্মান পাওয়া প্রাক্তন ফুটবলার, বর্তমান সাংসদ । বলছেন, "প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মানুষের জন্য সবাই আসবেন সেটাই স্বাভাবিক । কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের হাত-পা বাঁধা ।" ব্যক্তি জীবনে প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় মিষ্টি ছিল রসগোল্লা । সেটাও জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানালেন প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায় । অতিকষ্টে কিছু সন্দেশ আনানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানালেন তিনি । পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ।