কলকাতা, 28 মে : রবীন্দ্র সরোবরে দুই ছাত্রের মৃত্যুর স্মৃতি এখনও তাজা (Rabindra Sarobar Rowing Accident) । সেই ঘটনার পরে প্রাক্তন রোয়ার থেকে শুরু করে খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Kolkata Mayor Firhad Hakim) প্রশ্ন তুলেছিলেন শিক্ষানবীশরা যখন রোয়িং করছেন, তখন উদ্ধারের জন্য বোট থাকবে না কেন ? এবার প্রতি রোয়িং ক্লাবকে একটি করে পেট্রল চালিত বোট উদ্ধার কাজের জন্য রাখার নির্দেশ দিলেন মেয়র (Firhad says every Rowing club Should use Petrol Driven Boat for Rescue) । তিনি বললেন, ‘‘ব্যাটারি বা ডিজেল চালিত বোট দ্রুত যেতে পারে না, তাই এই নির্দেশ । আমরা এই বিষয় কেএমডিএ-র তরফে পরিবেশ আদালতের কাছে বিশেষ অনুমতির আবেদন জানাব ।’’
এদিন এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘কেমডিএ (KMDA)-তে আলোচনা হয়েছে । পেট্রল চালিত লাইফ সাপোর্ট বোট হলে দ্রুত উদ্ধার করা যাবে । কেএমডিএর তরফ থেকে একটা ভুল চিঠি গিয়েছিল । ব্যাটারি চালিত বোট দ্রুতগতিতে যেতে পারে না । একটি নির্দিষ্ট গতির বাইরে যেতে পারে না । দ্রুত উদ্ধার করতে হলে পেট্রল চালিত বোটই একমাত্র উপায় ৷ সুতরাং আমাকে ওইরকম একটা বোট রাখতে হবে, যাতে দ্রুত গিয়ে উদ্ধার করা যায় ৷’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা যদি লিখিতভাবে ক্লাবগুলো কেএমডিএ-কে দেয়, তাহলে আমরা পিসিবিকে জানাব । যেহেতু পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের অর্ডারটা কেএমডি-এর উপর । আদালতকে জানাব প্রতিটি ক্লাবে একটি করে রেসকিউ বোট রাখতে দেওয়া হোক । শুধু রেসকিউ-এর জন্য ব্যবহারের জন্য । এটা সব জায়গাতেই আছে । আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিদেশে এমনকি জাতীয় পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ।’’
পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) তৈরি করছে, সেটা সব ক্লাবকে দেওয়া হবে । বিশেষ করে শিক্ষানবীশরা যখন জলে যাবে ।’’ তাঁর কথায়, ‘‘স্কুল পর্যায়ে থেকেই রোয়ার ওঠে, সেটা বন্ধ করলে বাংলা থেকে আর রোয়ার উঠবে না । এসওপি-র পাশাপাশি এই চিঠি দিক, আমরা আদালতে জানাব যাতে এই বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয় । এই বোট ঘোরার জন্য বা বিনোদন কাজের জন্য নয়, শুধুমাত্র উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা হবে ।’’
আরও পড়ুন : Rowing will be Close: অনির্দিষ্টকালের জন্য কলকাতার সমস্ত রোয়িং ক্লাব বন্ধ