কলকাতা, 29 জানুয়ারি: টক-টু-মেয়র অনুষ্ঠানে পেনশন চালুর দাবি (firhad hakim at talk to mayor) । সম্প্রতি কলকাতা কর্পোরেশনের পেনশন সেলে লাগানো একটি নোটিশ নিয়ে বিতর্কের (KMC Pension Controversy) সৃষ্টি হয়। যেখানে উল্লেখ ছিল, গত ২০২১ সেপ্টেম্বর থেকে যাঁরা অবসর নিচ্ছেন, তাঁরা কেউ এখনই অবসর ভাতা ও সুযোগ সুবিধা পাবেন না । বিষয়টি নিয় হইচই শুরু হতেই মেয়র জানান, পেনশন ও বেতন কোনওটাই বন্ধ হবে না । তবে এদিন টক-টু-মেয়র অনুষ্ঠানে এক মহিলা ফোন করে অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পরে পেনশন চালু হচ্ছে না। পাশাপাশি আরও এক ব্যাক্তি ফোন করে বলেন, তাঁর বাবা গত বছর অগাস্টে অবসর নিলেও এখনও শুরু হয়নি পেনশন।
এপ্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘পেনশন আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না । দেখতে হবে তাঁর কোন লোন আছে কিনা, কর্পোরেশনে সেই ব্যাঙ্কের তরফে কোনও চিঠি এসেছে কিনা। এছাড়া পারিবারিক সমস্যা আছে কিনা । অনেকেরই দু‘টো বিয়ে থাকে । সেক্ষেত্রে আমাদের আদালতে যেতে হয়েছে। কারণ আমরা দায়িত্ব নিতে পারি না কাকে পেনশন দেব । এই ধরনের একাধিক কারণে পেনশন আটকে থাকে । আমরা সব সময় চাই পেনশন এবং বেতন সময় মত হয়ে যাক । আমি কমিশনারকে ইতিমধ্যে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছি ।’’
আরও পড়ুন: KMC Pension Controversy : ‘ভুয়ো নোটিশ’, কর্মীদের পেনশন বন্ধ না হওয়ার আশ্বাস ফিরহাদের
প্রসঙ্গত, পুরসভার তথ্য অনুযায়ী , বর্তমানে কলকাতা পুরসভার স্থায়ী এবং অস্থায়ী কর্মীদের বেতন ও পেনশন দিতে মাসিক 133 কোটি টাকা প্রয়োজন । যার মধ্যে 18 হাজার স্থায়ী কর্মীর জন্য 78 কোটি টাকা, 26 হাজার অস্থায়ী কর্মীর জন্য 15 কোটি টাকা এবং 35 হাজার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য 40 কোটি টাকা প্রয়োজন । এই স্থায়ী কর্মীদের বেতনের 15 শতাংশ কলকাতা পুরসভা এবং 85 শতাংশ রাজ্য সরকার বহন করে । অস্থায়ী কর্মীদের সম্পূর্ণ বেতন ভার কলকাতা পুরসভাকে বহন করতে হয় । অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মোট পেনশনের 60 শতাংশ দেয় কলকাতা পুরসভা ।