কলকাতা, 21 অক্টোবর : কোরোনা আবহে হাইকোর্টের রায়কে রিপিটেশন জানিয়েছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব ৷ আজ হাইকোর্টে দুর্গাপুজো নিয়ে মামলা শুনানি শুরু হয় । দুর্গাপুজোর অন্যান্য অংশগুলো বিচারপতিকে জানানো প্রয়োজন বলে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক তথা চেতলা অগ্রণী দুর্গা পুজো কমিটির প্রধান কর্মকর্তা ফিরহাদ হাকিম । এদিন কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, "অলিতে-গলিতে হওয়া পুজো গুলি এ রায়ের ফলে সমস্যায় পড়েছে । তবে আমরা আশাবাদী হাইকোর্টে শহরের ছোটো বড়ো সমস্ত পুজোয় ন্যায়বিচার পাবে ।"
তিনি আরও জানিয়েছেন, বহুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন খোলামেলা মণ্ডপ তৈরির জন্য । বদ্ধ মণ্ডপ নয়, খোলা আকাশের নিচে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দর্শনার্থীরা প্রতিমা দর্শন করতে পারেন সেই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল পুজো উদ্যোক্তাদের । এবছর বেশিরভাগই পুজো বিধি মেনে ও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে মণ্ডপ তৈরি করেছে ।
রিপিটিশন নিয়ে এদিন তিনি বলেন, "হয়তো বিচারপতির দুর্গাপুজোর অনেকগুলো দিক দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়নি । এবার শুনানিতে অন্যান্য দিকগুলি তুলে ধরা হবে বিচারপতির কাছে । সব দুর্গাপূজা কমিটিতে 250 থেকে 300 জন বা তারও বেশি সদস্য রয়েছে ৷ সেখানে মাত্র 25 জনকে কিভাবে মণ্ডপে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া সম্ভব । তাহলে বাকি সদস্যরা কি মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না ! বাকি সদস্যরা ক্ষীর অঞ্জলি দিতে পারবেন না ! যদি কোন ব্যক্তি অঞ্জলি দিতে না পারে সে ক্ষেত্রে সংবিধানে নিজ নিজ ধর্মপালনের যে অধিকার আছে সেটা থেকে অনেক মানুষ বঞ্চিত হবে । আদালতের রায়ের ওপর আমাদের ভরসা রয়েছে । সব দিক বিচার করে অবশ্যই আদালত সঠিক রায় দেবে ।"
কলকাতায় গতকাল 831 জনের বেশী মানুষ কোরোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন । পুজোর আগে যে হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে রাজ্য সরকারের কাছে । ফিরহাদ হাকিম এবিষয়ে জানিয়েছেন, সব সময় মাস্ক পরে থাকার জন্য বারবার আবেদন করা হচ্ছে । দূর্গাপুজোর আনন্দ অবশ্যই করবেন তবে সাবধানতা-সচেতনতা অবলম্বন করে । সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই দুর্গাপুজো পুজোর আনন্দ উপভোগ করুন ৷ সংক্রমণ যেহুতু ঊর্ধ্বমুখী, তাই কোরোনা প্রটোকল মানা অত্যন্ত প্রয়োজন ।"