কলকাতা, 20 জানুয়ারি : "ইউনিক অ্যাসেসমেন্ট ফর্ম আগে নিজে পড়ে বুঝব তারপর শহরের সাধারণ করদাতাদের দিতে বলব৷" বললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । এ'বিষয়ে আজ তিনি জানান, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন সরলীকরণ করার জন্য । তিনি বলেন, "আগে সেই ফর্ম পড়ে আমি বুঝব, তারপর শহরবাসীকে দেব সেই ফর্ম পূরণ করার জন্য ।"
2017 সালে ইউনিট অ্যাসেসমেন্ট চালু হলেও তা মুখ থুবড়ে পড়ে । শহরে 8 লাখ করদাতার মধ্যে তিন বছরে মাত্র পৌনে দু'লাখ করদাতা ইউনিট অ্যাসেসমেন্ট করের আওতায় আসতে পেরেছেন । ইউনিট অ্যাসেসমেন্ট নিয়ে সাধারণ করদাতাদের কাছে জটিলতা কাটছে না । এর ফলে পৌরনিগমের কোষাগারের অবস্থাও শোচনীয় । তাই বছরের শুরুতেই নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পৌরনিগম । লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার চেষ্টাতেই ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট সরলীকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, ইউনিফর্ম চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে । করদাতাদের সমস্যা বুঝে সেই অনুযায়ী এবার ফর্ম দেওয়া হবে । পাশাপাশি যে তথ্যগুলো আগে থেকেই পৌরনিগমের রেকর্ডে রয়েছে সেই তথ্য পুনরায় করদাতাদের কাছে থেকে আর নেওয়া হবে না । সবক্ষেত্রে আগের মত আর ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র ।
শহরে বহু বেআইনি বাড়ি রয়েছে যেগুলি আইনগত কারণে ভেঙে ফেলা সম্ভব হচ্ছে না । এতদিন পর্যন্ত বেআইনি বাড়ির বাসিন্দারা কর দিতে পারতেন না এবার এই সরলীকরণের জন্য তারাও কর দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন অতীন ঘোষ ।