কলকাতা, 16 জানুয়ারি : রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কি তৃণমূল কংগ্রেসে থাকবেন, নাকি তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করবেন! সেই উত্তর অবশ্য ডোমজুড়ের বিধায়কের কাছ থেকে স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি৷ কিন্তু তিনি এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যা জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছেন৷
রাজ্যের বনমন্ত্রী জানিয়েছেন যে তিনি রাজনীতি করেন মানুষের স্বার্থে৷ মানুষের কাছেই তিনি দায়বদ্ধ৷ মানুষই তাঁর অনুপ্রেরণা৷ মানুষ তাঁকে যেমন ভাবে চাইবেন, তিনিও সেই ভাবে আগামিদিনে এগিয়ে চলবেন৷
আর প্রশ্ন উঠছে এখানেই৷ কারণ, তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ থেকে একেবারে নিচুতলা পর্যন্ত সবনেতার মুখেই শোনা যায় যে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় কাজ করছেন৷ সেখানে রাজীবের মুখে এদিন একবার ‘দলনেত্রী’ শব্দ শোনা গিয়েছে৷ কিন্তু একবারও তিনি তৃণমূল কংগ্রেস বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উচ্চারণ করেননি৷
তাহলে কি তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান? সেই কারণেই কি তিনি আগাম বার্তা দিলেন? জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে৷ যদিও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ফেসবুক লাইভের মধ্যে কোনও দলবিরোধী কিছু দেখছেন না তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ তাঁর মতে, রাজীব রাজ্য সরকারের মন্ত্রী৷ তাঁর প্রতি আস্থা আছে দলের৷ দলের মধ্যে আলোচনা চলছে রাজীবের অভিযোগ নিয়ে৷ রাজীবও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছেন৷
কিন্তু এদিন পূর্ব ঘোষণা মতো ফেসবুক লাইভ এসে বাংলার বেকারত্বের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর কথায়, বাংলায় অনেকে চাকরি পাচ্ছেন না৷ অনেকে তাই বিদেশে চলে যাচ্ছেন৷ বাংলার যুব সমাজের জন্য তিনি কাজ করতে চান৷ বাংলায় আরও শিল্প আসুক, তিনি এটাই চান৷
এদিন শুধু নিজের কথা বলেই থেমে যাননি ইদানীং তৃণমূলের অন্দরে অন্যতম ‘বেসুরো’ এই নেতা৷ তিনি ফেসবুক লাইভে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন৷ আর সেখানেই বেরিয়ে পড়ে তৃণমূলের প্রতি তাঁর ক্ষোভ৷ তিনি কাজ করতে চাইছেন বলেই বাধা আসছে বলে মত রাজীবের৷ তাঁর আক্ষেপ, সেই নিয়ে কথা বললে তাঁকে কটাক্ষ করা হচ্ছে৷ অথচ দল এই নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷
আরও পড়ুন : কোরোনা ভ্যাকসিন প্রাপকের তালিকায় তৃণমূল বিধায়কের নাম, বিতর্ক তুঙ্গে
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, দল কেন মানুষের থেকে সরে যাবে? তাঁর বক্তব্য, ভুল না শুধরে নিলে মানুষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হবে৷ সেই কারণেই তিনি দলকে বারবার বিষয়টি জানিয়েছেন বলে দাবি বনমন্ত্রীর৷