কলকাতা, 19 অক্টোবর : কীভাবে হবে পুজো ? কতজন একসঙ্গে অঞ্জলি দিতে পারবেন ? প্যান্ডেল চত্বরের ভিতরে কি দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন ? এই সব প্রশ্নের অবসান ঘটিয়ে আজ কলকাতা হাইকোর্ট সমস্ত পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে । আর সন্ধেয় কয়েকটি পুজোমণ্ডপ কার্যত ফাঁকা থাকলেও কয়েকটিতে কিছুটা হলেও ভিড় লক্ষ্য করা গেছে ।
প্রবেশ করা যাবে না পুজো মণ্ডপে । প্রতিমা দর্শন করতে হবে রাস্তার উপর দাঁড়িয়েই । আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, উদ্যোক্তাদের তরফেও প্রতিদিন সর্বোচ্চ 25 জনের বেশি মণ্ডপে থাকতে পারবেন না । চিকিৎসকরা বারবার বলছেন যে সামাজিক দূরত্ব না মানলে পুজোর পর কোরোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিতে পারে । এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ে কিছুটা স্বস্তিতে চিকিৎসক মহল ।
আর হাইকোর্টের রায়ের পরই আজ সন্ধ্যায় একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো চত্বরে একেবারে অন্যরকম ছবি ধরা পড়ল । মূল মণ্ডপে কোনও দর্শনার্থীর দেখা পাওয়া যায়নি । মণ্ডপের সামনে গার্ড রেল দিয়ে আটকানো হয়েছে পথ । আর সেই ব্যারিকেডের ওপারে প্রবেশ করতে পারছেন না কেউ । রাস্তা থেকেই প্রতিমা দেখছে সবাই ।
আরও পড়ুন : রাজ্যের পুজো মণ্ডপগুলিতে নো-এন্ট্রি ঘোষণার নির্দেশ হাইকোর্টের
অন্যবার রাস্তার দু'ধারে রকমারি খাবারের স্টল বসে । এবছর তাতেও ছেদ পড়েছে । মণ্ডপে জৌলুস রয়েছে আগের মতোই তবে চারদিক দেখলেই মনে হবে এ যেন একেবারে অচেনা একডালিয়া ।
উলটোডাঙার অরবিন্দ সেতু সর্বজনীনেও একই ছবি । প্রতিবছর প্রতিপদ থেকে এই পুজো মণ্ডপে সন্ধ্যা নামতেই জনস্রোত বয়ে যায় । কিন্তু আজ একেবারে উলটো ছবি সেখানে । পুজার উদ্যোক্তা মিন্টু পাত্র বলেন, "আদালতের এই রায়ের পর মন ভেঙে গেছে । সন্ধেয় মণ্ডপ চত্বরে গিয়ে দর্শনার্থীদের দেখা মিলল না । উলটোডাঙা থানার পুলিশকর্মীরা এসে জানিয়ে গেছেন, আদালতের নির্দেশ মান্য করতেই হবে । তারপর থেকেই সুনসান মণ্ডপ চত্বর ।"
উত্তর কলকাতার অন্যতম বড় পুজো শ্রীভূমি । হাইকোর্টের রায়ের পরও মণ্ডপে ভালোই ভিড় হয়েছিল । মণ্ডপে ভিড় সামাল দিতে কোনও হেলদোল দেখা গেল না পুজো কমিটি ও প্রশাসনকে ।