কলকাতা, 19 ফেব্রুয়ারি : ঐতিহ্যমণ্ডিত জাতীয় গ্রন্থাগারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণে 'শৌর্যাঞ্জলি' শীর্ষক অনুষ্ঠান হয় । ওই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রায় 3 হাজার সাইকেলের র্যালি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । সমগ্র বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করল গ্রন্থাগারের কর্মচারী সংগঠন ।
জাতীয় গ্রন্থাগারের কর্মচারীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য লঙ্ঘন হয়েছে আজ । ন্যাশনাল লাইব্রেরি এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যে ঘটনা ঘটেছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে ।
আরও খবর : নেতাজির অবদান ভোলা যাবে না, ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে নেতাজি স্মরণ শাহর
উল্লেখ্য জাতীয় গ্রন্থাগার কোনও সাধারণ স্থান নয় । এখানে কর্মচারীরা ছাড়া শুধুমাত্র স্বীকৃত পাঠকদেরই প্রবেশাধিকার রয়েছে । সেখানে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে 'শৌর্যাঞ্জলি' অনুষ্ঠানে সব মিলিয়ে কয়েক হাজার জনসমাগম হয় ৷ যা অনভিপ্রেত । ন্যাশনাল লাইব্রেরি এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেখানে কোরোনা সংক্রমণের কথা ভেবে প্রতিদিন সীমিত সংখ্যক পাঠককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে গ্রন্থাগারে, সেখানে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে লাগামহীন প্রবেশাধিকার গভীর উদ্বেগের । পাশাপাশি সরকারি অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের পতাকা লাগিয়ে, বিভিন্ন গাড়ি গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে গত দু'দিন ধরে অবাধে যাতায়াত করেছে । অথচ পাঠক বা কর্মচারীদের নিজস্ব গাড়িকে প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না ৷ শুক্রবারের অনুষ্ঠানে গ্রন্থাগারের পরিবেশ ও পবিত্রতা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেই মনে করেন ন্যাশনাল লাইব্রেরি এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ।
অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, গত 23 জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল । অথচ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং একই ধরনের ঘটনা ঘটায় গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন । সেটা 2005 সালের 12 জানুয়ারির ঘটনা । সেই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক জাতীয় গ্রন্থাগারে এই ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় ।