ETV Bharat / city

Students Internship : স্নাতকদের ইন্টার্নশিপের বদলে নিয়োগে স্বচ্ছতা অনেক বেশি জরুরি, মত শিক্ষামহলের

author img

By

Published : Jun 21, 2022, 8:34 PM IST

কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় দুঃস্থ স্নাতক পড়ুয়াদের জন্য বিদেশের ধাঁচে আর্নিং উইথ লার্নিং ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার । ব্লক ও পঞ্চায়েতস্তরে ইন্টার্নশিপ করা যাবে এই ব্যবস্থায় ৷ তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলল শিক্ষামহল থেকে (education experts says employment generation is more important than internship) ৷

education-experts-says-employment-generation-is-more-important-than-internship
Students Internship : স্নাতকদের ইন্টার্নশিপের বদলে নিয়োগে স্বচ্ছতা অনেক বেশি জরুরি, মত শিক্ষামহলের

কলকাতা, 21 জুন : এবার পড়াশোনার পাশপাশি রোজগারও করা যাবে । এমনটাই পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের । জানা গিয়েছে যে সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় দুঃস্থ স্নাতক পড়ুয়াদের রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে ইন্টার্নশিপের (College Students Internship Plan) সুযোগ দেওয়া হবে । এই পরিষেবার বিনিময়ে তাঁদের অর্থ দেওয়া হবে । তবে এই মর্মে এখনও কোনও নোটিফিকেশন জারি করেনি রাজ্য সরকার ।

রাজ্য সরকারের এই পরিকল্পনার কথা সামনে আসার পর বিষয়টি নিয়ে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল । কারণ, অনেকেই মনে করছেন এই ধরনের ইন্টার্নশিপ থেকে যদি আগামিদিনে চাকরির সুযোগ করে দেওয়া যায়, সেটাই কাজের কাজ হবে (education experts says employment generation is more important than internship) ৷

এই বিষয়ে টিএমসিপি ছাত্র নেতা রাজু মেহেদী বলেন, "ছাত্র দরদী মুখ্যমন্ত্রী সবসময় ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকেন । কিছুদিন আগেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের মধ্য দিয়ে অনেক দুঃস্থ ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষায় সুবিধা লাভ করেছে । উচ্চশিক্ষায় নতুন যে ইন্টার্নশিপ বাংলার ছাত্রছাত্রীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে আসার কথা ভাবছেন, তাকে সাধুবাদ জানাই । একদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী যেখানে ভাঁওতাবাজি দিয়ে নিজেদের আত্মনির্ভর হতে বলে হতাশার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন, বিপরীতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করে দিয়ে তাদের স্বনির্ভর করে তোলার চেষ্টা করছেন । তাতে ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি অনেক কিছু জানতে পারবে এবং নিজেদের কেরিয়ার গড়তে সক্ষম হবেন ।"

এসএফআই-এর কলকাতা জেলা সভাপতি দেবাঞ্জন দে বলেন, "এই ধরনের কথা মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও বলেছেন । কিন্তু একটিও ফলপ্রসূ হয়নি । এই ইন্টার্নশিপের একটা মেয়াদ রয়েছে । তবে কি এবার স্থায়ী চাকরির সম্ভাবনা একেবারে মুছে গেল ? 5000 টাকার বিনিময় রাজ্যের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের রাজ্য সরকার পরিচালিত বিভিন্ন ক্যাম্পে বসিয়ে রাখা হবে । এভাবে সরকার এদের ভবিষ্যতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার দিক থেকে দায়মুক্ত হতে চাইছে । এই ইন্টার্নশিপ করে যে তাঁরা কোথাও চাকরি পাবেন, তেমনটাও তো নয় । কারণ, রাজ্যে শিল্প, সার্ভিস ইউনিট এবং ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট বন্ধ । পাশাপাশি সরকারি চাকরির যে কী অবস্থা তা কলকাতা হাইকোর্টের একের পর এক রায়দানে আমরা দেখতে পাচ্ছি ।"

তিনি আরও বলেন, "পাশাপাশি অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের যে স্কলারশিপগুলো এতদিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে, সেগুলিকে অবিলম্বে চালু করলে তাদের অনেক বেশি সুবিধা হয় । এই ধরনের স্কলারশিপের এককথায় মানে হল যে কম টাকায় রাজ্য সরকারের কাজ করিয়ে নেওয়া ।"

এই বিষয়ে শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, "এই ইন্টার্নশিপ করার পরে তাঁরা সেই শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরির ক্ষেত্রে কোনও অগ্রাধিকার পাবে কি না বা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে স্থায়ী কোনও সুরাহা হবে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয় । ফলে ইন্টার্নশিপের মেয়াদ যতদিন পর্যন্ত ততদিন কাজের বিনিময়ে তাঁদের হাতে কিছু টাকা গুঁজে দেওয়া হবে । এই দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের জন্য এটা একটা সাময়িক সান্তনা মানে কিছুটা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারর গোছের আর কি । তার চেয়ে সরকারি চাকরি পাওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি করলে লাভ হবে অনেক বেশি ।"

অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, "আদতে প্রকল্পটি দেখলে খুবই ভাল বলেই মনে হয় । তবে কেন্দ্র হোক বা রাজ্য আসলে ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে একটার পর একটা জনমোহিনী প্রকল্প চালু করা হচ্ছে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইন্টার্নশিপের যে পরিকল্পনা নিয়েছেন, তা আদতে আমাদের রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বিপুলসংখ্যক পড়ুয়ারা, যাঁরা আগামিদিনের ভোটার তাঁদের দিকে তাকিয়েই । সেই ভোটব্যাঙ্ক সুনিশ্চিত করতে ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আরও একটি বিষয় হল যে যাঁদের 60 শতাংশের ওপর নম্বর থাকবে, সেই সমস্ত ছেলে মেয়েরা ব্লক এবং পঞ্চায়েত-সহ আরও অন্যান্য স্তরে ইন্টার্নশিপ করতে পারবেন । ইতিমধ্যে রাজ্যের নিয়োগ-প্রক্রিয়ার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত একাধিক প্রভাবশালী নাম প্রকাশ্যে এসেছে । তাই গ্রামীণ এলাকায় সেখানকার বিধায়করা যাঁদের মনোনীত করবেন, শুধু তাঁরাই ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পাবে তেমনটা হবে না তো ? প্রকৃত যোগ্য পড়ুয়ারা যাতে এই ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পায়, সেই বিষয়টি রাজ্য সরকারি ও শিক্ষা দফতরকে সুনিশ্চিত করতে হবে ।’’

তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের রাজ্যে একাধিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শূন্যপদ পড়ে রয়েছে । সেগুলিতে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হলে এই পড়ুয়াদের মধ্য থেকেই আগামিদিনে হয়তো অনেকেই স্থায়ী চাকরি পাবেন । এভাবে চুক্তিভিত্তিক ইন্টার্নশিপ করে নিজেদের পড়াশোনার খরচ খরচা চালাতে হবে না ।"

প্রসঙ্গত, দুঃস্থ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক পড়ুয়াদের জন্য বিদেশের ধাঁচে আর্নিং উইথ লার্নিং ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের । জানা গিয়েছে যে ব্লক ও পঞ্চায়েত-স্তরে ইন্টার্নশিপ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে । ভাতা 5000 টাকা দেওয়াও হতে পারে । ইন্টার্নশিপের মেয়াদ শেষে তাদের শংসাপত্রও দেওয়া হবে ।

আরও পড়ুন : HS Result 2022: বাবা দিনমজুর, উচ্চমাধ্যমিকে ষষ্ঠ আলিপুরদুয়ারের বর্ষা

কলকাতা, 21 জুন : এবার পড়াশোনার পাশপাশি রোজগারও করা যাবে । এমনটাই পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের । জানা গিয়েছে যে সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় দুঃস্থ স্নাতক পড়ুয়াদের রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে ইন্টার্নশিপের (College Students Internship Plan) সুযোগ দেওয়া হবে । এই পরিষেবার বিনিময়ে তাঁদের অর্থ দেওয়া হবে । তবে এই মর্মে এখনও কোনও নোটিফিকেশন জারি করেনি রাজ্য সরকার ।

রাজ্য সরকারের এই পরিকল্পনার কথা সামনে আসার পর বিষয়টি নিয়ে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল । কারণ, অনেকেই মনে করছেন এই ধরনের ইন্টার্নশিপ থেকে যদি আগামিদিনে চাকরির সুযোগ করে দেওয়া যায়, সেটাই কাজের কাজ হবে (education experts says employment generation is more important than internship) ৷

এই বিষয়ে টিএমসিপি ছাত্র নেতা রাজু মেহেদী বলেন, "ছাত্র দরদী মুখ্যমন্ত্রী সবসময় ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকেন । কিছুদিন আগেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের মধ্য দিয়ে অনেক দুঃস্থ ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষায় সুবিধা লাভ করেছে । উচ্চশিক্ষায় নতুন যে ইন্টার্নশিপ বাংলার ছাত্রছাত্রীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে আসার কথা ভাবছেন, তাকে সাধুবাদ জানাই । একদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী যেখানে ভাঁওতাবাজি দিয়ে নিজেদের আত্মনির্ভর হতে বলে হতাশার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন, বিপরীতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করে দিয়ে তাদের স্বনির্ভর করে তোলার চেষ্টা করছেন । তাতে ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি অনেক কিছু জানতে পারবে এবং নিজেদের কেরিয়ার গড়তে সক্ষম হবেন ।"

এসএফআই-এর কলকাতা জেলা সভাপতি দেবাঞ্জন দে বলেন, "এই ধরনের কথা মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও বলেছেন । কিন্তু একটিও ফলপ্রসূ হয়নি । এই ইন্টার্নশিপের একটা মেয়াদ রয়েছে । তবে কি এবার স্থায়ী চাকরির সম্ভাবনা একেবারে মুছে গেল ? 5000 টাকার বিনিময় রাজ্যের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের রাজ্য সরকার পরিচালিত বিভিন্ন ক্যাম্পে বসিয়ে রাখা হবে । এভাবে সরকার এদের ভবিষ্যতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার দিক থেকে দায়মুক্ত হতে চাইছে । এই ইন্টার্নশিপ করে যে তাঁরা কোথাও চাকরি পাবেন, তেমনটাও তো নয় । কারণ, রাজ্যে শিল্প, সার্ভিস ইউনিট এবং ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট বন্ধ । পাশাপাশি সরকারি চাকরির যে কী অবস্থা তা কলকাতা হাইকোর্টের একের পর এক রায়দানে আমরা দেখতে পাচ্ছি ।"

তিনি আরও বলেন, "পাশাপাশি অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের যে স্কলারশিপগুলো এতদিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে, সেগুলিকে অবিলম্বে চালু করলে তাদের অনেক বেশি সুবিধা হয় । এই ধরনের স্কলারশিপের এককথায় মানে হল যে কম টাকায় রাজ্য সরকারের কাজ করিয়ে নেওয়া ।"

এই বিষয়ে শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, "এই ইন্টার্নশিপ করার পরে তাঁরা সেই শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরির ক্ষেত্রে কোনও অগ্রাধিকার পাবে কি না বা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে স্থায়ী কোনও সুরাহা হবে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয় । ফলে ইন্টার্নশিপের মেয়াদ যতদিন পর্যন্ত ততদিন কাজের বিনিময়ে তাঁদের হাতে কিছু টাকা গুঁজে দেওয়া হবে । এই দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের জন্য এটা একটা সাময়িক সান্তনা মানে কিছুটা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারর গোছের আর কি । তার চেয়ে সরকারি চাকরি পাওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি করলে লাভ হবে অনেক বেশি ।"

অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, "আদতে প্রকল্পটি দেখলে খুবই ভাল বলেই মনে হয় । তবে কেন্দ্র হোক বা রাজ্য আসলে ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে একটার পর একটা জনমোহিনী প্রকল্প চালু করা হচ্ছে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইন্টার্নশিপের যে পরিকল্পনা নিয়েছেন, তা আদতে আমাদের রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বিপুলসংখ্যক পড়ুয়ারা, যাঁরা আগামিদিনের ভোটার তাঁদের দিকে তাকিয়েই । সেই ভোটব্যাঙ্ক সুনিশ্চিত করতে ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আরও একটি বিষয় হল যে যাঁদের 60 শতাংশের ওপর নম্বর থাকবে, সেই সমস্ত ছেলে মেয়েরা ব্লক এবং পঞ্চায়েত-সহ আরও অন্যান্য স্তরে ইন্টার্নশিপ করতে পারবেন । ইতিমধ্যে রাজ্যের নিয়োগ-প্রক্রিয়ার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত একাধিক প্রভাবশালী নাম প্রকাশ্যে এসেছে । তাই গ্রামীণ এলাকায় সেখানকার বিধায়করা যাঁদের মনোনীত করবেন, শুধু তাঁরাই ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পাবে তেমনটা হবে না তো ? প্রকৃত যোগ্য পড়ুয়ারা যাতে এই ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পায়, সেই বিষয়টি রাজ্য সরকারি ও শিক্ষা দফতরকে সুনিশ্চিত করতে হবে ।’’

তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের রাজ্যে একাধিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শূন্যপদ পড়ে রয়েছে । সেগুলিতে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হলে এই পড়ুয়াদের মধ্য থেকেই আগামিদিনে হয়তো অনেকেই স্থায়ী চাকরি পাবেন । এভাবে চুক্তিভিত্তিক ইন্টার্নশিপ করে নিজেদের পড়াশোনার খরচ খরচা চালাতে হবে না ।"

প্রসঙ্গত, দুঃস্থ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক পড়ুয়াদের জন্য বিদেশের ধাঁচে আর্নিং উইথ লার্নিং ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের । জানা গিয়েছে যে ব্লক ও পঞ্চায়েত-স্তরে ইন্টার্নশিপ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে । ভাতা 5000 টাকা দেওয়াও হতে পারে । ইন্টার্নশিপের মেয়াদ শেষে তাদের শংসাপত্রও দেওয়া হবে ।

আরও পড়ুন : HS Result 2022: বাবা দিনমজুর, উচ্চমাধ্যমিকে ষষ্ঠ আলিপুরদুয়ারের বর্ষা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.