কলকাতা, 3 অগস্ট: গতকাল ইএসআই হাসপাতালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) লক্ষ্য করে এক মহিলা জুতো ছুড়েছিলেন । মেজাজ হারিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেই তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন শুভ্রা ঘোড়ুই নামে দক্ষিণ 24 পরগনার আমতলার ওই মহিলা । এ দিকে, আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে ফের পেশ করা হবে পার্থ এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Partha-Arpita to be produced in Court)। ফলে জোকা ইএসআই হাসপাতালে পার্থকে জুতো ছুড়ে মারার ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা (ED)।
জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) দুটি পৃথক গাড়িতে বসিয়ে একেবারে সিআরপিএফ জওয়ানদের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে নিয়ে যাওয়া হবে ব্যাঙ্কশাল আদালতে । যদিও গতকাল জোকা, ইএসআই হাসপাতালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঢোকার সময়ও ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, এ দিন আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে পেশ করার সময় তাঁরা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছেন । যেমন সিআরপিএফ-এর জওয়ানরা পার্থ এবং অর্পিতাকে গাড়ি থেকে নামানোর সময় কার্যত ঘিরে থাকবেন । এ ছাড়াও স্থানীয় থানাকেও প্রস্তুত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ইডির তরফে ।
ইডি গোয়েন্দারা আদালতে দেখাবেন, পার্থ এবং অর্পিতার নামে বেনামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ তাঁরা পেয়েছেন ৷ পাশাপাশি এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস এখনও পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি ৷ এ ছাড়াও তাঁদের বিলাসবহুল চারটি গাড়ির খোঁজও এখনও মেলেনি ৷ ফলে পার্থ এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়ে ফের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর হেফাজতে চাওয়া হবে পার্থ এবং অর্পিতাকে ৷
আরও পড়ুন: এই প্রথম পার্থ-অর্পিতার জয়েন্ট কোম্পানির হদিশ পেল ইডি
এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ । আজ ফের তাঁদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হবে । এ দিন ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নিজেদের হেফাজতে চাইবেন ইডির গোয়েন্দারা ।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় 50 কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি ৷ পাশাপাশি গতকাল সকাল থেকেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা শহরের ছটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান । এই ছটি জায়গার মধ্যে পণ্ডিতিয়া রোডের ফোর্ট ওয়েসিস আবাসনে গিয়ে ইডির গোয়েন্দারা জানতে পারেন ওই আবাসনটি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নয় বরং তার মালিকানা রয়েছে স্মিতা ঝুনঝুনওয়ালা নামে অপর এক মহিলার নামে । যদিও ওই মহিলার খোঁজখবর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দারা পাননি ।