কলকাতা, 15 অক্টোবর: সায়গল হোসেনের পর সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal) ৷ গরুপাচার মামলায় দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে সমন পেলেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে (ED summons Sukanya Mondal in Cattle Smuggling Case) ৷ আগামী 27 অক্টোবর দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর সদর দফতরে তলক করা হল তাঁকে । অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে পাওয়া বিভিন্ন সূত্র, তাঁর পরিবার-পরিজন বিশেষ করে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গেল হোসেনকে জেরা করে একাধিক তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তদন্তে জানতে পেরেছে, গরুপাচার মামলার টাকা থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)-কন্যাও। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সুকন্যা মন্ডলের সঙ্গে বোলপুরের বাড়িতে দেখা করতে গেলেও তিনি তদন্তকারী অফিসারদের সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ ৷ গরুপাচার-কাণ্ডে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষীকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইডি। এর মধ্যে আবার সুকন্যাকেও ইডি দিল্লিতে ডেকে পাঠানোয় জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গরুপাচারের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁর একাধিক পরিজন, বিশেষ করে যারা বীরভূমে গরুপাচারের সঙ্গে ওতোপ্রতভাবে যুক্ত রয়েছে তাদের সন্ধান এবং তাদের সম্পর্কে ইতিমধ্যেই একাধিক তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: বারাসতে মানিক ঘনিষ্ঠের বাড়িতে ইডির হানা, চলছে ম্যারাথন তল্লাশি
ইতিমধ্যেই সুকন্যা মন্ডলের নামে থাকা রাইস মিল-সহ একাধিক কোম্পানি সিবিআই'য়ের আতসকাঁচের তলায় রয়েছে। এছাড়াও অনুব্রত, তাঁর কন্যা এবং বিদ্যুৎ বরণ গায়েন নামে এক ব্যক্তির একাধিক কোম্পানির আয়-ব্যয়ের হিসেব জানতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ সে কারণেই সুকন্যা মন্ডলের সঙ্গে কথা বলা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন ইডি-র গোয়েন্দারা।