কলকাতা, 4 অগস্ট: কলকাতার পণ্ডিতিয়া রোডের (Panditya Road) 'ফোর্ট ওয়েসিস' (Fort Oasis) আবাসনের প্রকৃত মালিক কে ? অতীতে কখনও কি এই আবাসনের মালিকানা বদল করা হয়েছে ? এমনই নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি (Enforcement Directorate) ৷ এই সংক্রান্ত তথ্যের হদিশ পেতে বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র সরোবর থানায় (Rabindra Sarobar Police Station) পৌঁছে যান ইডি (ED)-এর প্রতিনিধিরা ৷ জানতে চান, এই আবাসনের সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) কাণ্ডে ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) কী সম্পর্ক রয়েছে ৷
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ইডি-এর প্রতিনিধিরা দীর্ঘক্ষণ রবীন্দ্র সরোবর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের (OC) সঙ্গে কথা বলেন ৷ তাঁরা জানতে চান, স্থানীয় থানার কাছে আদৌ এই আবাসনের মালিকানা সংক্রান্ত কোনও তথ্য রয়েছে কি না ৷ উল্লেখ্য, গত সোমবার ফোর্ট ওয়েসিস আবাসনে হাজির হয়েছিলেন ইডি-এর গোয়েন্দারা ৷ তাঁদের কাছে খবর ছিল, এই আবাসনটি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ৷ তাই ইডি-এর ধারণা হয়, দক্ষিণ কলকাতার এই আবাসনে তল্লাশি চালালে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি, নগদ অর্থ বা সোনার মতো কোনও মূল্যবান সম্পদ উদ্ধার হতে পারে ৷ কিন্তু, সেদিন দীর্ঘক্ষণ ওই আবাসনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলেও ভিতরে ঢুকতে পারেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা ৷
আরও পড়ুন: SSC Recruitment Scam: অনেক প্রশ্নের উত্তর জানা বাকি ! আবারও ইডি হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা জুটি
আসলে, পরবর্তীতে ইডি-এর কাছে খবর আসে, এই আবাসনের আসল মালিকের নাম স্মিতা ঝুনঝুনওয়ালা ৷ কিন্তু, এখনও পর্যন্ত স্মিতাকে খুঁজে পাননি ইডি আধিকারিকরা ৷ তাই পুলিশের সাহায্য নিতে রবীন্দ্র সরোবর থানায় পৌঁছে যান তাঁরা ৷ কারণ, যেকোনও এলাকায় কোনও সম্পত্তির মালিকানা বদল হলে স্থানীয় থানার কাছে সেই সংক্রান্ত তথ্য থাকা উচিত ৷ সেই তথ্য়ের খোঁজেই এদিন দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অর্পিতা ছাড়াও রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করেছে ইডি ৷ ধৃত দুই অভিযুক্তই আপাতত তাদের হেফাজতে রয়েছেন ৷