ETV Bharat / city

অন্ধকারে সচিব, চুক্তি জট মেটাতে মরিয়া চেষ্টায় লাল-হলুদ কর্তারা

ইস্টবেঙ্গল দেবব্রত সরকার চুক্তির জট মেটাতে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন বলে খবর । ফলে জট ছাড়ানোর একটি মরিয়া চেষ্টা চলছে । তৃতীয় পক্ষের অবস্থান নিয়ে ক্লাবের প্রভাবশালী গোষ্ঠী সরব । ফলে যাবতীয় বিতর্ক দেখা দিয়েছে । তিনটি শর্ত নিয়ে আপত্তি রয়েছে, যা মিটিয়ে নিলে স্বাক্ষরে সমস্যা নেই বলছে ক্লাবের প্রভাবশালী গোষ্ঠী ।

east bengal officials desperately trying to settle their deal
চুক্তি জট মেটাতে মরিয়া চেষ্টায় লাল হলুদ কর্তারা
author img

By

Published : May 14, 2021, 6:52 AM IST

কলকাতা, 14 মে : বিনিয়োগ কর্ণধারের ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে ঘিরে বিস্ফোরক বিবৃতিতে শুধু সদস্য সমর্থকরা ফুসছেন না । ক্লাবের অন্দরমহলে আড়াআড়ি বিভাজন তৈরি করে দিয়েছে । যা পদাধিকারীদের কার্যত কড়া বাস্তবের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে । ক্লাবের স্বার্থ রক্ষা, সমর্থকদের অধিকার রক্ষা নিয়ে যেসব কথা বলা হচ্ছে তার সত্যিই বাস্তবে ভিত্তি রয়েছে কি না তা নিয়ে কার্যকরী কমিটির সদস্যরা প্রশ্ন তুলছেন । সদস্য বলতে সাড়ে আট হাজার লাল-হলুদ জনতা না, শীর্ষকর্তার ইচ্ছের সঙ্গে সহমত পোষন করে চলা কয়েকজন ব্যক্তি বিশেষ ।

"আসলে ক্লাবে নামেই গণতন্ত্র রয়েছে । আদতে একজনের ইচ্ছে এখানে সবকিছু । মিটিংয়ের আলোচনা শুধুই নিয়ম মাফিক । পুরো বিষয়টি এখন হাতের বাইরে চলে গিয়েছে । মউ চুক্তির খসড়া আর মূল চুক্তির খসড়া আয়তনে বড় হয় সেটাও ভুলে গেল । সবাই বুঝতে পারছে। বিতর্ক চাই না । মোহে পড়ে আছি ৷", আক্ষেপ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কার্যকরী কমিটির সদস্যর ।

অবস্থা যে ক্রমেই কঠিন হচ্ছে তা বুঝতে পারছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দুই শীর্ষ পদাধিকারী সভাপতি ডাক্তার প্রণব দাশগুপ্ত এবং সচিব কল্যাণ মজুমদার । "একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে । যে কোনও চুক্তি করা হয় তা ভাঙার জন্য নয় । মিস্টার বাঙ্গুর বলেছেন । আমাদের কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা জানিয়েছি । আমরা সমস্যা মিটিয়ে ফেলব ৷", মন্তব্য লাল হলুদ সভাপতির ।

এই বিতর্কে জড়াতে নারাজ ক্লাব সচিব কল্যাণ মজুমদার ।"সবাই এখন কোভিড নিয়ে চিন্তিত । ক্লাব তার মতো করে পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছে । আর স্পোর্টিং রাইটস গত আড়াই বছর ধরে আমাদের হাতে নেই । যারা বিনিয়োগ করছেন তারাই দেখেন । এবারও দল গড়ার দায়িত্ব ওদের হাতে । চুক্তি সইয়ের বিষয়টি দেখছে আইনজীবীরা । আমাকে জড়িয়ে লাভ নেই । আর যে চিঠির কথা বলা হচ্ছে তা আসতে হবে তো । তারপর তো কথাবার্তা ৷" বলছেন লাল হলুদ সচিব ।

এই পর্বে যাবতীয় চিঠির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ক্লাবের নয়া সহসভাপতি রূপক সাহা । তিনি যাবতীয় ইমেল করছেন । তবে পুরো প্রক্রিয়াতে সচিব যে অন্ধকারে তা পরিষ্কার । এদিকে শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার চুক্তির জট মেটাতে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন বলে খবর । ফলে জট ছাড়ানোর একটি মরিয়া চেষ্টা চলছে । তৃতীয় পক্ষের অবস্থান নিয়ে ক্লাবের প্রভাবশালী গোষ্ঠী সরব । ফলে যাবতীয় বিতর্ক দেখা দিয়েছে । তিনটি শর্ত নিয়ে আপত্তি রয়েছে, যা মিটিয়ে নিলে স্বাক্ষরে সমস্যা নেই বলছে ক্লাবের প্রভাবশালী গোষ্ঠীটি ।

আরও পড়ুন : বারপুজো নিয়ে দুই মেরুতে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান

"কোনও কিছু অতিরিক্ত তিতো করে ফেললে আর তা হাতে থাকে না । মুখ্যমন্ত্রীর সামনে স্বাক্ষর সব কিছু দেখে করেছিলেন ক্লাব কর্তারা । এখন চুড়ান্ত চুক্তি নিয়ে যা বলছে তা হাস্যকর । মিস্টার বাঙ্গুর বলেছেন তাকে ডাকা হয়েছিল বলে এসেছেন । ক্লাবের অধিকার, সদস্যদের স্বাধীনতা খর্ব করার ইচ্ছে নেই । আমরা ইস্টবেঙ্গলকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই । তাই এখন যা চুক্তি রয়েছে তাতে সই করতে হবে । সবাই সবকিছু বুঝতে পারছে । আগের মনমর্জিতে আর ময়দান চলবে না তা বোঝার সময় হয়ে গিয়েছে ৷" মন্তব্য বিনিয়োগ সংস্থার শীর্ষ কর্তার ।

কলকাতা, 14 মে : বিনিয়োগ কর্ণধারের ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে ঘিরে বিস্ফোরক বিবৃতিতে শুধু সদস্য সমর্থকরা ফুসছেন না । ক্লাবের অন্দরমহলে আড়াআড়ি বিভাজন তৈরি করে দিয়েছে । যা পদাধিকারীদের কার্যত কড়া বাস্তবের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে । ক্লাবের স্বার্থ রক্ষা, সমর্থকদের অধিকার রক্ষা নিয়ে যেসব কথা বলা হচ্ছে তার সত্যিই বাস্তবে ভিত্তি রয়েছে কি না তা নিয়ে কার্যকরী কমিটির সদস্যরা প্রশ্ন তুলছেন । সদস্য বলতে সাড়ে আট হাজার লাল-হলুদ জনতা না, শীর্ষকর্তার ইচ্ছের সঙ্গে সহমত পোষন করে চলা কয়েকজন ব্যক্তি বিশেষ ।

"আসলে ক্লাবে নামেই গণতন্ত্র রয়েছে । আদতে একজনের ইচ্ছে এখানে সবকিছু । মিটিংয়ের আলোচনা শুধুই নিয়ম মাফিক । পুরো বিষয়টি এখন হাতের বাইরে চলে গিয়েছে । মউ চুক্তির খসড়া আর মূল চুক্তির খসড়া আয়তনে বড় হয় সেটাও ভুলে গেল । সবাই বুঝতে পারছে। বিতর্ক চাই না । মোহে পড়ে আছি ৷", আক্ষেপ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কার্যকরী কমিটির সদস্যর ।

অবস্থা যে ক্রমেই কঠিন হচ্ছে তা বুঝতে পারছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দুই শীর্ষ পদাধিকারী সভাপতি ডাক্তার প্রণব দাশগুপ্ত এবং সচিব কল্যাণ মজুমদার । "একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে । যে কোনও চুক্তি করা হয় তা ভাঙার জন্য নয় । মিস্টার বাঙ্গুর বলেছেন । আমাদের কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা জানিয়েছি । আমরা সমস্যা মিটিয়ে ফেলব ৷", মন্তব্য লাল হলুদ সভাপতির ।

এই বিতর্কে জড়াতে নারাজ ক্লাব সচিব কল্যাণ মজুমদার ।"সবাই এখন কোভিড নিয়ে চিন্তিত । ক্লাব তার মতো করে পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছে । আর স্পোর্টিং রাইটস গত আড়াই বছর ধরে আমাদের হাতে নেই । যারা বিনিয়োগ করছেন তারাই দেখেন । এবারও দল গড়ার দায়িত্ব ওদের হাতে । চুক্তি সইয়ের বিষয়টি দেখছে আইনজীবীরা । আমাকে জড়িয়ে লাভ নেই । আর যে চিঠির কথা বলা হচ্ছে তা আসতে হবে তো । তারপর তো কথাবার্তা ৷" বলছেন লাল হলুদ সচিব ।

এই পর্বে যাবতীয় চিঠির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ক্লাবের নয়া সহসভাপতি রূপক সাহা । তিনি যাবতীয় ইমেল করছেন । তবে পুরো প্রক্রিয়াতে সচিব যে অন্ধকারে তা পরিষ্কার । এদিকে শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার চুক্তির জট মেটাতে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন বলে খবর । ফলে জট ছাড়ানোর একটি মরিয়া চেষ্টা চলছে । তৃতীয় পক্ষের অবস্থান নিয়ে ক্লাবের প্রভাবশালী গোষ্ঠী সরব । ফলে যাবতীয় বিতর্ক দেখা দিয়েছে । তিনটি শর্ত নিয়ে আপত্তি রয়েছে, যা মিটিয়ে নিলে স্বাক্ষরে সমস্যা নেই বলছে ক্লাবের প্রভাবশালী গোষ্ঠীটি ।

আরও পড়ুন : বারপুজো নিয়ে দুই মেরুতে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান

"কোনও কিছু অতিরিক্ত তিতো করে ফেললে আর তা হাতে থাকে না । মুখ্যমন্ত্রীর সামনে স্বাক্ষর সব কিছু দেখে করেছিলেন ক্লাব কর্তারা । এখন চুড়ান্ত চুক্তি নিয়ে যা বলছে তা হাস্যকর । মিস্টার বাঙ্গুর বলেছেন তাকে ডাকা হয়েছিল বলে এসেছেন । ক্লাবের অধিকার, সদস্যদের স্বাধীনতা খর্ব করার ইচ্ছে নেই । আমরা ইস্টবেঙ্গলকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই । তাই এখন যা চুক্তি রয়েছে তাতে সই করতে হবে । সবাই সবকিছু বুঝতে পারছে । আগের মনমর্জিতে আর ময়দান চলবে না তা বোঝার সময় হয়ে গিয়েছে ৷" মন্তব্য বিনিয়োগ সংস্থার শীর্ষ কর্তার ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.