কলকাতা, 15 ফেব্রুয়ারি: বাম যুব ছাত্র নেতা মইদুল ইসলামের দেহ কলকাতা পুলিশ মর্গে রাখা রয়েছে। সকাল থেকেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরোতে পারে, এই সন্দেহে কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
দলীয় সমর্থকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষিপ্ত ছাত্রনেতারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে যাতে নতুন করে অশান্তি না-হয়, সে জন্য কলকাতা পুলিশের ডিসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী সেখানে গিয়ে পৌঁছয়। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা হাতাহাতিতে জড়ায়। নতুন করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না-হয়, সে জন্য যথেষ্ট সংযত ছিল পুলিশ। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে বেরিয়ে না-যায়, সে জন্য কলকাতা পুলিশ বাহিনীকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয় লালবাজার।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে ''পুলিশের লাঠিচার্জে আক্রান্ত'' যুবকের মৃত্যু
হাতেগোনা কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক ছাড়া ঘটনাস্থলে সে ভাবে পুলিশকর্মীর দেখা মিলছে না। সমর্থকদের অভিযোগ, পুলিশ দেহ তাঁদের হাতে তুলে দিতে রাজি হবে না। ফলে যে কোনও সময় পুলিশের সঙ্গে বাম ছাত্র-ছাত্রীদের সংঘর্ষ বাঁধতে পারে। পাশাপাশি এই ঘটনায় ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশের নগরপাল সৌমেন মিত্রের নেতৃত্বে একটি বৈঠক শুরু হয়েছে। মূলত আইন-শৃঙ্খলা কীভাবে বজায় রাখা হবে, তা নিয়েই এই বৈঠক বলে লালবাজার সূত্রের খবর।