ETV Bharat / city

Fever in Children : শিশুদের অজানা জ্বরে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে আর্জি বিশেষজ্ঞদের - Influenza A

শিশুদের মধ্যে অজানা জ্বর নিয়ে আতঙ্কিত না হতে পরামর্শ চিকিৎসকদের ৷ সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে মা-বাবাকে ৷ পাশাপাশি, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই জ্বর ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, স্ক্রাব টাইফাস, টাইফয়েড, জন্ডিস, ম্যানেনজাইটিস, এনকেফেলাইটিসের মতো ভাইরাসের সংক্রমণে হচ্ছে ৷ তবে, কোনওভাবেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নয় ৷

Dont get panic for unknown fever among childrens say Doctors
শিশুদের অজানা জ্বরে সময় মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে আর্জি বিশেষজ্ঞদের
author img

By

Published : Sep 16, 2021, 3:58 PM IST

Updated : Sep 16, 2021, 4:12 PM IST

কলকাতা, 16 সেপ্টেম্বর : রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে প্রবল জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে প্রতিদিনই বহু শিশুকে ভর্তি করানো হচ্ছে ৷ মা-বাবার মধ্যে যা নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ৷ কিছু ক্ষেত্রে জ্বরের কারণ জানা গেলেও, বহু ক্ষেত্রে জ্বরের কারণ নির্ধারণ করা যাচ্ছে না ৷ তবে, এই জ্বর কোনও ভাবেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা ৷ কারণ বেশিরভাগ শিশুদের ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে ৷ তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আতঙ্কিত না হয়ে বাচ্চার মা-বাবাকে আরও সতর্ক হতে হবে ৷ জ্বরের প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা ৷

করোনা আবহে শিশুদের মধ্যে ভাইরাল জ্বর, চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে মা-বাবা’র কপালে ৷ সপ্তাহখানেক ধরে জ্বর, সর্দি-কাশি শ্বাসকষ্ট নিয়ে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শিশুদের ভর্তি করানো হয়েছে ৷ বেশ কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের শারীরিক অবস্থার অবনতিও হয়েছে ৷ কমে যাচ্ছে প্লেটলেটের সংখ্যাও ৷ ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে প্রায় 20 জন শিশু এই ধরণের জ্বর নিয়ে ভর্তি রয়েছে ৷ এদের মধ্যে 7 জন শিশু আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে এবং তিনজনকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : child fever ; শিশুদের জ্বরে আতঙ্ক নয়, সতর্ক হতে পরামর্শ চিকিৎসকদের

চিকিৎসক প্রভাস প্রসূন গিরি বলেন, ‘‘হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুরা সকলেই করোনা নেগেটিভ ৷ বহু ক্ষেত্রে জ্বরের কারণ নির্ধারণ করা গেলেও, অনেক ক্ষেত্রে আবার জ্বরের কারণ বোঝা যাচ্ছে না ৷ তাই সে ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে অজানা জ্বর ৷ তবে বর্ষা ও শীতকালের শুরুতে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, স্ক্রাব টাইফাস, টাইফয়েড, জন্ডিস, ম্যানেনজাইটিস, এনকেফেলাইটিসের মতো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে ৷ এর ফলেও জ্বর হচ্ছে ৷ এক বছরের নিচের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট দেখা যাচ্ছে ৷ এদের বেশ কিছু জনের অক্সিজেনের প্রয়োজনও পড়ছে ৷ আবার ভেন্টিলেশনেও রাখতে হচ্ছে ৷ এটাকে আমরা বলছি ভাইরাল নিউমোনিয়া ৷ তবে, ভেন্টিলেশনে যাওয়া শিশুদের সংখ্যা অত্যন্ত কম ৷’’

আরও পড়ুন : Fever in Children : জলপাইগুড়িতে একসঙ্গে 130 শিশুর জ্বর, নমুনা যাচ্ছে কলকাতায়

তিনি আরও বলেন, ‘‘এই জ্বরের আরেকটা কারণ হল রেসপিরেটরি সিনসাইটিকাল ভাইরাস বা আরএসভি ৷ তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুরা বেশিরভাগই এক বছরের নিচে ৷’’ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের প্রধান চিকিৎসক জয়দেব রায় বলেন, ‘‘বেশ কিছু ক্ষেত্রে যেখানে ভাইরাস প্যানেলিং করা সম্ভব হচ্ছে না ৷ সেই ক্ষেত্রে আমরা অজানা জ্বর বলছি ৷ এছাড়াও ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস সহ মরসুম বদলের কারণেও জ্বর হচ্ছে বাচ্চাদের ৷ দ্বিতীয়ত, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যে সমস্ত শিশুরা মারা যাচ্ছে, তাদের সংখ্যা খুবই কম ৷ এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে অনেক দেরি করে ফেলছেন অভিভাবকরা ৷ তাঁরা যখন চিকিৎসকের কাছে আসছেন, তখন আর তেমন কিছু করার থাকছে না ৷ তা ছাড়া এই শিশুদের ক্ষেত্রে আরও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হচ্ছে ৷ যাকে আমরা কো-মর্বিডিটি বলে থাকি ৷ তবে, এই জ্বর কোনওভাবেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নয় ৷’’

আরও পড়ুন : Children fever : পুরুলিয়ার সদর হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি 235 জন শিশু

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যে যেহেতু ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ও বি সংক্রমণের থেকেও এই জ্বর হচ্ছে ৷ তাই শিশুদের ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন সময়মতো দিতে হবে ৷ তাই চিকিৎসকের পরামর্শ, বড়দের থেকে যেহেতু এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ৷ তাই তাঁদের সর্দি, কাশি বা জ্বর এলে বাচ্চাদের থেকে দূরে থাকতে হবে ৷ বাচ্চার জ্বর এলে তাকে প্রথমে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে এবং নিয়মিত তার অবস্থার দিকে নজর রাখতে হবে ৷ সব বয়সের বাচ্চাদের এই জ্বর হতে পারে ৷ যেহেতু এই জ্বরের লক্ষণগুলি অনেকটা করোনার মতো, তাই প্রথমেই আতঙ্কিত না হয়ে প্রয়োজনীয় সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে ৷

কলকাতা, 16 সেপ্টেম্বর : রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে প্রবল জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে প্রতিদিনই বহু শিশুকে ভর্তি করানো হচ্ছে ৷ মা-বাবার মধ্যে যা নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ৷ কিছু ক্ষেত্রে জ্বরের কারণ জানা গেলেও, বহু ক্ষেত্রে জ্বরের কারণ নির্ধারণ করা যাচ্ছে না ৷ তবে, এই জ্বর কোনও ভাবেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা ৷ কারণ বেশিরভাগ শিশুদের ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে ৷ তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আতঙ্কিত না হয়ে বাচ্চার মা-বাবাকে আরও সতর্ক হতে হবে ৷ জ্বরের প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা ৷

করোনা আবহে শিশুদের মধ্যে ভাইরাল জ্বর, চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে মা-বাবা’র কপালে ৷ সপ্তাহখানেক ধরে জ্বর, সর্দি-কাশি শ্বাসকষ্ট নিয়ে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শিশুদের ভর্তি করানো হয়েছে ৷ বেশ কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের শারীরিক অবস্থার অবনতিও হয়েছে ৷ কমে যাচ্ছে প্লেটলেটের সংখ্যাও ৷ ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে প্রায় 20 জন শিশু এই ধরণের জ্বর নিয়ে ভর্তি রয়েছে ৷ এদের মধ্যে 7 জন শিশু আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে এবং তিনজনকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : child fever ; শিশুদের জ্বরে আতঙ্ক নয়, সতর্ক হতে পরামর্শ চিকিৎসকদের

চিকিৎসক প্রভাস প্রসূন গিরি বলেন, ‘‘হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুরা সকলেই করোনা নেগেটিভ ৷ বহু ক্ষেত্রে জ্বরের কারণ নির্ধারণ করা গেলেও, অনেক ক্ষেত্রে আবার জ্বরের কারণ বোঝা যাচ্ছে না ৷ তাই সে ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে অজানা জ্বর ৷ তবে বর্ষা ও শীতকালের শুরুতে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, স্ক্রাব টাইফাস, টাইফয়েড, জন্ডিস, ম্যানেনজাইটিস, এনকেফেলাইটিসের মতো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে ৷ এর ফলেও জ্বর হচ্ছে ৷ এক বছরের নিচের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট দেখা যাচ্ছে ৷ এদের বেশ কিছু জনের অক্সিজেনের প্রয়োজনও পড়ছে ৷ আবার ভেন্টিলেশনেও রাখতে হচ্ছে ৷ এটাকে আমরা বলছি ভাইরাল নিউমোনিয়া ৷ তবে, ভেন্টিলেশনে যাওয়া শিশুদের সংখ্যা অত্যন্ত কম ৷’’

আরও পড়ুন : Fever in Children : জলপাইগুড়িতে একসঙ্গে 130 শিশুর জ্বর, নমুনা যাচ্ছে কলকাতায়

তিনি আরও বলেন, ‘‘এই জ্বরের আরেকটা কারণ হল রেসপিরেটরি সিনসাইটিকাল ভাইরাস বা আরএসভি ৷ তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুরা বেশিরভাগই এক বছরের নিচে ৷’’ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের প্রধান চিকিৎসক জয়দেব রায় বলেন, ‘‘বেশ কিছু ক্ষেত্রে যেখানে ভাইরাস প্যানেলিং করা সম্ভব হচ্ছে না ৷ সেই ক্ষেত্রে আমরা অজানা জ্বর বলছি ৷ এছাড়াও ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস সহ মরসুম বদলের কারণেও জ্বর হচ্ছে বাচ্চাদের ৷ দ্বিতীয়ত, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যে সমস্ত শিশুরা মারা যাচ্ছে, তাদের সংখ্যা খুবই কম ৷ এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে অনেক দেরি করে ফেলছেন অভিভাবকরা ৷ তাঁরা যখন চিকিৎসকের কাছে আসছেন, তখন আর তেমন কিছু করার থাকছে না ৷ তা ছাড়া এই শিশুদের ক্ষেত্রে আরও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হচ্ছে ৷ যাকে আমরা কো-মর্বিডিটি বলে থাকি ৷ তবে, এই জ্বর কোনওভাবেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নয় ৷’’

আরও পড়ুন : Children fever : পুরুলিয়ার সদর হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি 235 জন শিশু

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যে যেহেতু ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ও বি সংক্রমণের থেকেও এই জ্বর হচ্ছে ৷ তাই শিশুদের ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন সময়মতো দিতে হবে ৷ তাই চিকিৎসকের পরামর্শ, বড়দের থেকে যেহেতু এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ৷ তাই তাঁদের সর্দি, কাশি বা জ্বর এলে বাচ্চাদের থেকে দূরে থাকতে হবে ৷ বাচ্চার জ্বর এলে তাকে প্রথমে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে এবং নিয়মিত তার অবস্থার দিকে নজর রাখতে হবে ৷ সব বয়সের বাচ্চাদের এই জ্বর হতে পারে ৷ যেহেতু এই জ্বরের লক্ষণগুলি অনেকটা করোনার মতো, তাই প্রথমেই আতঙ্কিত না হয়ে প্রয়োজনীয় সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে ৷

Last Updated : Sep 16, 2021, 4:12 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.