কলকাতা, 3 অক্টোবর : পটাশপুরের BJP কর্মী মদন গড়াইয়ের মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে ৷ কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে বহাল রেখে আজ এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ । রাজ্য সরকার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চ আবেদন করেছিল। আজ ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, নিহত মদন গড়াইয়ের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে । আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, 5 নভেম্বর 3 জন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে হবে ময়নাতদন্ত। ময়নাতদন্তের সময় পরিবারের দু’জন সদস্য উপস্থিত থাকতে পারবেন । 10 নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। পাশাপাশি BJP কর্মীর মৃত্যু সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র পেশ করতে হবে আদালতে । 18 নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ডিভিশন বেঞ্চে।
16 অক্টোবর পটাশপুরের BJP কর্মী মদন গড়াইয়ের মৃত্যুতে CBI তদন্ত ও পুনরায় দেহের ময়নাতদন্তের দাবিতে জরুরি ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জরুরি ভিত্তিতে মামলাটি শোনার পর রাজ্যকে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে মদন গড়াইয়ের মৃতদেহ আর জি কর হাসপাতালে ফরেন্সিক ডিপার্টমেন্টের প্রধানকে দিয়ে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করাতে হবে ৷ পাশাপাশি পুরো ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি ৷ 21 অক্টোবর সমস্ত রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করার নির্দেশ দেন তিনি । কিন্তু রাজ্যের তরফে 16 অক্টোবর সন্ধ্যেবেলা আপিল করা হয় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে । ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয় এবং বিষয়টি সিঙ্গল বেঞ্চকে ভালো করে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় ৷
এরপর 19 ও 20 অক্টোবর দু’দিন ধরে শুনানির পর 20 অক্টোবর বিকেলে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দেন যতদ্রুত সম্ভব দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে । আর জি কর হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগের প্রধানের নেতৃত্বে 3 জন বিশিষ্ট চিকিৎসকের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন তিনি ৷ পাশাপাশি আগের রায়কে বহাল রেখে, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও ভিডিয়োগ্রাফি হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনেরালের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি । পাশাপাশি কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল, এসএসকেএম হাসপাতালে যে চিকিৎসা হয়েছিল মদন গড়াইয়ের সেই সব মেডিকেল রিপোর্ট পরিবারের আইনজীবীর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি । কিন্তু সেই নির্দেশকে 21 অক্টোবর ফের চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার । বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয় । ইতিমধ্যে পুজোর ছুটি পড়ে যাওয়ায় মামলার শুনানি হয়নি। আজ মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয় ৷ এদিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কেই বহাল রাখলেন । ডিভিশন বেঞ্চ তাদের নির্দেশে জানায়, ময়নাতদন্তের আন-ইন্টারেপটেড ভিডিওগ্রাফি করতে হবে । ময়নাতদন্ত হবে আরজিকর হাসপাতালে 3 জন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে। ময়নাতদন্তের টেবিলের সামনে উপস্থিত থাকতে পারবেন পরিবার মনোনীত দু’জন সদস্য।
সেপ্টেম্বর মাসে একটি নাবালিকাকে অপহরণ সংক্রান্ত মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল মদন গড়াইকে। জেল হেপাজতে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয় চিকিৎসার জন্য। সেখানে 15 অক্টোবর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর । রাজ্য BJP-র দাবি ,পুলিশ হেপাজতে থাকাকালীন অত্যাচারের জন্যই মৃত্যু হয়েছে মদন গড়াইয়ের।
সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হবে মদন গড়াইয়ের মৃতদেহর - কলকাতা হাইকোর্ট
5 নভেম্বর 3 জন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে হবে ময়নাতদন্ত। ময়নাতদন্তের সময় পরিবারের দু’জন সদস্য উপস্থিত থাকতে পারবেন । 10 নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। পাশাপাশি BJP কর্মীর মৃত্যু সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র পেশ করতে হবে আদালতে । 18 নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ডিভিশন বেঞ্চে।
কলকাতা, 3 অক্টোবর : পটাশপুরের BJP কর্মী মদন গড়াইয়ের মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে ৷ কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে বহাল রেখে আজ এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ । রাজ্য সরকার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চ আবেদন করেছিল। আজ ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, নিহত মদন গড়াইয়ের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে । আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, 5 নভেম্বর 3 জন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে হবে ময়নাতদন্ত। ময়নাতদন্তের সময় পরিবারের দু’জন সদস্য উপস্থিত থাকতে পারবেন । 10 নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। পাশাপাশি BJP কর্মীর মৃত্যু সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র পেশ করতে হবে আদালতে । 18 নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ডিভিশন বেঞ্চে।
16 অক্টোবর পটাশপুরের BJP কর্মী মদন গড়াইয়ের মৃত্যুতে CBI তদন্ত ও পুনরায় দেহের ময়নাতদন্তের দাবিতে জরুরি ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জরুরি ভিত্তিতে মামলাটি শোনার পর রাজ্যকে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে মদন গড়াইয়ের মৃতদেহ আর জি কর হাসপাতালে ফরেন্সিক ডিপার্টমেন্টের প্রধানকে দিয়ে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করাতে হবে ৷ পাশাপাশি পুরো ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি ৷ 21 অক্টোবর সমস্ত রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করার নির্দেশ দেন তিনি । কিন্তু রাজ্যের তরফে 16 অক্টোবর সন্ধ্যেবেলা আপিল করা হয় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে । ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয় এবং বিষয়টি সিঙ্গল বেঞ্চকে ভালো করে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় ৷
এরপর 19 ও 20 অক্টোবর দু’দিন ধরে শুনানির পর 20 অক্টোবর বিকেলে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দেন যতদ্রুত সম্ভব দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে । আর জি কর হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগের প্রধানের নেতৃত্বে 3 জন বিশিষ্ট চিকিৎসকের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন তিনি ৷ পাশাপাশি আগের রায়কে বহাল রেখে, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও ভিডিয়োগ্রাফি হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনেরালের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি । পাশাপাশি কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল, এসএসকেএম হাসপাতালে যে চিকিৎসা হয়েছিল মদন গড়াইয়ের সেই সব মেডিকেল রিপোর্ট পরিবারের আইনজীবীর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি । কিন্তু সেই নির্দেশকে 21 অক্টোবর ফের চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার । বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয় । ইতিমধ্যে পুজোর ছুটি পড়ে যাওয়ায় মামলার শুনানি হয়নি। আজ মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয় ৷ এদিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কেই বহাল রাখলেন । ডিভিশন বেঞ্চ তাদের নির্দেশে জানায়, ময়নাতদন্তের আন-ইন্টারেপটেড ভিডিওগ্রাফি করতে হবে । ময়নাতদন্ত হবে আরজিকর হাসপাতালে 3 জন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে। ময়নাতদন্তের টেবিলের সামনে উপস্থিত থাকতে পারবেন পরিবার মনোনীত দু’জন সদস্য।
সেপ্টেম্বর মাসে একটি নাবালিকাকে অপহরণ সংক্রান্ত মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল মদন গড়াইকে। জেল হেপাজতে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয় চিকিৎসার জন্য। সেখানে 15 অক্টোবর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর । রাজ্য BJP-র দাবি ,পুলিশ হেপাজতে থাকাকালীন অত্যাচারের জন্যই মৃত্যু হয়েছে মদন গড়াইয়ের।