অনীক দত্ত, চিত্র পরিচালক
কতিপয় লোক যাঁদের শ্রদ্ধা ভক্তি করা যায়, যাঁরা অভিভাবকের মতো ৷ তাঁদের মধ্যে তরুণ মজুমদার ছিলেন একজন ৷ অর্থাৎ তরুণবাবু ছিলেন 'লাস্ট অফ দ্য মোহিকানস' ৷ যাঁদের নিয়ে আমরা গর্ববোধ করতে পারতাম, তাঁদের মধ্যে শেষ লোকটি বোধহয় চলে গেলেন ৷
এই সময় যখন আনুগত্য কেজি দরে বিক্রি হয়, তখন এরকম একজন জেদি, একরোখা লোক চলে গেলেন ৷ যিনি কোনও আপোশ করেননি ৷ কিছুর বিনিময়ে শিরদাঁড়া জমা রাখেনি ৷ যাঁকে কিছু হলে ফোন করে বলা যেত, তিনি চলে গেলেন ৷
হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে আমি দেখা করেছিলাম ৷ সেসময় তাঁর সেন্স ছিল কিন্তু কথা বলতে পারছিলেন না ৷ আমি বেশিক্ষণ বিরক্ত করতে চাইনি ৷ আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে তিনি সিনেমা হলে গিয়ে আমার ছবি অপরাজিতা দেখে এসেছিলেন ৷ অত্যন্ত উৎসাহিত করেছিলেন ৷ আমি অভিভূত হয়েছিলাম ৷ তিনি যে এগুলো বলবেন আমি আশা করিনি ৷
তিনি বলেছিলেন, এই অব্যবস্থা থেকে আপনাদের টেনে তুলতে হবে ৷ কিন্তু ঠিক কী অব্যবস্থার কথা বলতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট করে বলেননি ৷ তবে বাংলা সিনেমার জগতের কথা বলেছিলেন এবং কিছু ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ৷
তিনি আর একটা গুরু দায়িত্ব আমায় দিয়ে গিয়েছেন ৷ কিন্তু আমি জানি না, সেই দায়িত্ব পালন করার আমি যোগ্য কি না ! তবে তাঁর প্রতি যে সম্মান দেখানোর কথা ছিল সেটা হয়নি ৷ আমরা চেষ্টা করব আমাদের কাজের মধ্য দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে (Director Anik Dutta Remembers Tarun Majumdar)৷
আরও পড়ুন: ইউ আর দ্য মাস্টার, তরুণ মজুমদারের স্মৃতিচারণায় আবেগী ঋতুপর্ণা