নিউটাউন, 17 জুন : এসএলএসটি-র আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে একহাত নিলেন দিলীপ ঘোষ ৷ সরাসরি পুলিশ প্রশাসনের ঘাড়ে এর দায় চাপালেন তিনি ৷ পুলিশের অদক্ষতার জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি (Dilip Ghosh Raised Questions on Efficiency of Police Department Over SLST Issue) ৷ পাশাপাশি, 2014-র প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে সিবিআই হানা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের দাবি, এই দুর্নীতির আসল সত্য সামনে আনতে টেট পরীক্ষা সংক্রান্ত নথি এবং নিয়োগ সংক্রান্ত সব নথি যাচাই করা প্রয়োজন ৷
গতকাল আন্দোলনকারী এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ প্রায় জোর করেই তুলে দেয় ৷ যে ঘটনায় 4 আন্দোলনকারী ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে লালবাজার সূত্রে খবর ৷ এর জন্য রাজ্য সরকার দায়ী বলে অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ ৷ তিনি বলেন, "পুলিশ প্রশাসনকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ ফলে তাদের কাজের দক্ষতা কমে যাচ্ছে ৷" আর এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের অনশন বহুদিন ধরে হয়ে আসছে, কেউ ধরনায় বসছেন, কেউ অ্যাসিড খাচ্ছেন ৷ পুলিশের সামনেই সব হয় ৷ এটারও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন ৷’’
পাশাপাশি, প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে সিবিআই অভিযান প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকার ও শাসকদলকে একহাত নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ ৷ তাঁর অভিযোগ, এর আগেও একাধিক নিয়োগে তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠরা নিয়োগপত্র পেয়েছেন ৷ এমনকী পরীক্ষা না দিয়ে এবং পরীক্ষায় ফেল করেও অনেকে নিয়োগপত্র পেয়েছে ৷ এই সব দুর্নীতি বন্ধ হওয়া উচিত, দাবি বিজেপি নেতার ৷ এর জন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত এবং নিয়োগের সব নথি যাচাইয়ের দাবি জানালেন দিলীপ ঘোষ ৷
আরও পড়ুন : SSC Recruitment Scam : লালবাজারে 4 চাকরি প্রার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির আশঙ্কা, এ সব বন্ধ না হলে বাঙালি জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে ৷ এটা একটা জাতির অস্তিত্বের ৷ তাঁর পরামর্শ, সরকারে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা এবং সকল শিক্ষাবিদদের একসঙ্গে কথা বলা উচিত ৷