কলকাতা, 23 অগস্ট : বিজেপি নয়, উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের বঞ্চিত মানুষই পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছেন ৷ সেইসব এলাকার জনপ্রতিনিধিরা আমজনতার সেই ভাবনাকে সমর্থন জানিয়েছেন মাত্র ৷ বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে আবারও এই জবাব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ৷
আরও পড়ুন : TMC Rakhi: বাংলা ভাগ করবেন না, বিজেপি নেতাকে রাখি পরিয়ে আর্জি তৃণমূলের
বেশ কিছু দিন আগে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা (John Barla) প্রথম বঙ্গভঙ্গের দাবিতে সরব হন ৷ উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে গড়ে তোলার প্রস্তাব সামনে আনেন তিনি ৷ যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে ৷ পরবর্তীতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশও বঙ্গভঙ্গ নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করে ৷ এই বিষয়ে দলের অবস্থান কী, তা জানতে চেয়ে নানা সময়ে বিজেপি নেতা-নেত্রীদের প্রশ্ন করা হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তরফে ৷ প্রকাশ্যে তাঁদের সকলেরই দাবি, বঙ্গভঙ্গের ভাবনাকে সমর্থন করে না বিজেপি ৷ দিলীপ নিজেও সেকথা আগে বলেছেন ৷ সোমবার আরও একবার তেমনটাই দাবি করেন তিনি ৷
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ সফর সেরে এদিন সকালেই কলকাতা ফেরেন দিলীপ ঘোষ ৷ আর তারপরই নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃর্ভ্রমণে আসেন তিনি ৷ সেখানেই ইটিভি ভারতের প্রতিনিধির মুখোমুখি হয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ৷ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকার্ট ৷ এদিকে তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের দাবি, বিজেপির সদস্যরাই শাসকদলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছেন ৷
আরও পড়ুন : John Barla : জন বার্লাকে রাষ্ট্রীয় মন্ত্রী করে কি বঙ্গভঙ্গের ভাবনাকেই সমর্থন মোদি সরকারের ?
পার্থর অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিষয়টিকে কোনও গুরুত্বই দিতে চাননি দিলীপ ৷ তাঁর পাল্টা যুক্তি, রাজ্যে যদি তৃণমূলই আক্রান্ত হয়, তাহলে দলের তরফে কেন সেকথা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা বিশেষ তদন্তকারী দলকে (সিট) জানানো হচ্ছে না ? বরং দিলীপের দাবি, আসলে আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপির নেতা ও কর্মীরাই ৷ পুলিশও তাঁদের অভিযোগ নিচ্ছে না ৷ সেই কারণেই মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হতে হয়েছে, আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে ৷ দিলীপের সাফ কথা, কেউ যদি কারও উপর অত্যাচার করে থাকেন, তাহলে আইন মাফিক তাঁদের শাস্তি হবে ৷ সিবিআই তদন্তের মাধ্যমেই সঠিক তথ্য সামনে আসবে বলে আশাবাদী দিলীপ ঘোষ ৷