কলকাতা, 9 জুলাই : লকডাউনে বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি বাতিল করতে বলে তৃণমূল নিজেরাই রাজনৈতিক কর্মসূচি করছে। নিউটাউনে নিজের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠকে শাসকদলের সমালোচনা করলেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
কনটেইনমেন্ট জ়োনে আজ থেকে লকডাউন শুরু হল । এই ইশুতে দিলীপ ঘোষ বলেন, "লকডাউন তো তিন মাস হয়ে গেল । মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন মেনেছেন ? তাঁর নেতা মন্ত্রীরা মেনেছেন? উনারা মানেননি বলে বাকি সাধারণ মানুষও মানেনি। তাই কোরোনা সংক্রমণ আজ ব্যাপকভাবে ছাড়াচ্ছে । কোথায় কনটেইনমেন্ট জ়োন। শুধু মুখে বলে দিলেই তো আর কোরোনা ভাইরাসকে আটকানো যাবে না। যদি মনে হয় কনটেইনমেন্ট জ়োনে লকডাউনটা করতে হবে তাহলে সেটা কড়াকড়ি ভাবে করতে হবে। না হলে আরও দুর্দিনের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।"
লকডাউনে তৃণমূল নিজেরাই রাজনৈতিক কর্মসূচি করছে : দিলীপ
তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা লকডাউন মানেননি ৷ তাই সাধারণ মানুষও লকডাউন অমান্য করেছে ৷ এর ফলে আজ রাজ্যে কোরোনা সংক্রমণ এভাবে বেড়ে গিয়েছে ৷ আজ নিজের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠকে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী ও শাসকদলের সমালোচনা করলেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
![লকডাউনে তৃণমূল নিজেরাই রাজনৈতিক কর্মসূচি করছে : দিলীপ dilip ghosh](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/768-512-7962569-816-7962569-1594314004735.jpg?imwidth=3840)
এই সময়ে নিজের দলের সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান দিলীপ ঘোষ ৷ তিনি বলেন, " আমরা কোনও কর্মসূচি নিইনি। আমরা দু'জন তিনজন মিলে গৃহসম্পর্ক অভিযান করেছিলাম। সেখানেও তৃণমূল আক্রমণ করেছে। আমরা রাস্তার বাইরে বেরোলে পুলিশ আমাদের আটকেছে। আমরা বাড়িতে বসে ধরনা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে আমরা তিন মাস ধরে বাড়িতে ছিলাম। তৃণমূল মানেনি। লকডাউনটা লকডাউনের মতো মানা দরকার।"
আমফান দুর্নীতি নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, " তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য থেকে সাংসদ সবার গায়েই কালি লেগেছে। এমন কোনও প্রকল্প নেই, যেখান থেকে কাটমানি খাওয়া হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনাতেও তৃণমূল নেতারা 20-30 হাজার টাকা নিচ্ছে। রেশন কেলেঙ্কারি, হাসপাতালের বেড নিয়ে কেলেঙ্কারি। আমফান ঝড় নিয়ে যে ক্ষতিপূরণ সেটা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি। রামনগরে পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয়রা টাকা পেয়েছে। এটা যদি দুর্নীতি কমার নমুনা হয়, বেশি হলে কতটা হবে? তাই মুখ্যমন্ত্রীর চিন্তাভাবনা করে কথা বলা উচিত । কারণ মানুষ তাঁকে আর বিশ্বাস করে না।"
মুখ্যমন্ত্রী বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মন্তব্য করেন, এত বড় আমফান হওয়ার পরও একটা-দু'টো ছোটো ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে কোনও কোনও রাজনৈতিক দল ৷ CPI(M)-র আমলে 100 শতাংশ চুরি করত পঞ্চায়েত ৷ আমরা 100 শতাংশ না পারলেও 90 শতাংশ চুরি কমিয়ে দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যেকে আজ পালটা সমালোচনা করলেন দিলীপ ঘোষ । বলেন," CPI(M)- এর সাংসদ বিধায়ক মন্ত্রীরা তো জেল খাটেনি। অভিযোগ এসেছে কারও কারও নামে। আমি বলছি না CPI(M) আমলে দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু তৃণমূল আমলে ওনার কোন নেতা-মন্ত্রী দুর্নীতি করেনি? তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের কেন ঘেরাও করা হচ্ছে? পার্টি অফিস কেনও ঘেরাও করছে? পঞ্চায়েত অফিসে তালা মেরে দেওয়া হচ্ছে। এইগুলো তো CPI(M) আমলে দেখিনি। CPI(M)-এর শেষের দিকে রেশন দুর্নীতি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বাড়ির দিকে তাকিয়ে কথা বলা উচিত। মানুষ সব বোঝে ।"
কলকাতা, 9 জুলাই : লকডাউনে বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি বাতিল করতে বলে তৃণমূল নিজেরাই রাজনৈতিক কর্মসূচি করছে। নিউটাউনে নিজের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠকে শাসকদলের সমালোচনা করলেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
কনটেইনমেন্ট জ়োনে আজ থেকে লকডাউন শুরু হল । এই ইশুতে দিলীপ ঘোষ বলেন, "লকডাউন তো তিন মাস হয়ে গেল । মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন মেনেছেন ? তাঁর নেতা মন্ত্রীরা মেনেছেন? উনারা মানেননি বলে বাকি সাধারণ মানুষও মানেনি। তাই কোরোনা সংক্রমণ আজ ব্যাপকভাবে ছাড়াচ্ছে । কোথায় কনটেইনমেন্ট জ়োন। শুধু মুখে বলে দিলেই তো আর কোরোনা ভাইরাসকে আটকানো যাবে না। যদি মনে হয় কনটেইনমেন্ট জ়োনে লকডাউনটা করতে হবে তাহলে সেটা কড়াকড়ি ভাবে করতে হবে। না হলে আরও দুর্দিনের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।"
এই সময়ে নিজের দলের সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান দিলীপ ঘোষ ৷ তিনি বলেন, " আমরা কোনও কর্মসূচি নিইনি। আমরা দু'জন তিনজন মিলে গৃহসম্পর্ক অভিযান করেছিলাম। সেখানেও তৃণমূল আক্রমণ করেছে। আমরা রাস্তার বাইরে বেরোলে পুলিশ আমাদের আটকেছে। আমরা বাড়িতে বসে ধরনা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে আমরা তিন মাস ধরে বাড়িতে ছিলাম। তৃণমূল মানেনি। লকডাউনটা লকডাউনের মতো মানা দরকার।"
আমফান দুর্নীতি নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, " তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য থেকে সাংসদ সবার গায়েই কালি লেগেছে। এমন কোনও প্রকল্প নেই, যেখান থেকে কাটমানি খাওয়া হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনাতেও তৃণমূল নেতারা 20-30 হাজার টাকা নিচ্ছে। রেশন কেলেঙ্কারি, হাসপাতালের বেড নিয়ে কেলেঙ্কারি। আমফান ঝড় নিয়ে যে ক্ষতিপূরণ সেটা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি। রামনগরে পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয়রা টাকা পেয়েছে। এটা যদি দুর্নীতি কমার নমুনা হয়, বেশি হলে কতটা হবে? তাই মুখ্যমন্ত্রীর চিন্তাভাবনা করে কথা বলা উচিত । কারণ মানুষ তাঁকে আর বিশ্বাস করে না।"
মুখ্যমন্ত্রী বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মন্তব্য করেন, এত বড় আমফান হওয়ার পরও একটা-দু'টো ছোটো ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে কোনও কোনও রাজনৈতিক দল ৷ CPI(M)-র আমলে 100 শতাংশ চুরি করত পঞ্চায়েত ৷ আমরা 100 শতাংশ না পারলেও 90 শতাংশ চুরি কমিয়ে দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যেকে আজ পালটা সমালোচনা করলেন দিলীপ ঘোষ । বলেন," CPI(M)- এর সাংসদ বিধায়ক মন্ত্রীরা তো জেল খাটেনি। অভিযোগ এসেছে কারও কারও নামে। আমি বলছি না CPI(M) আমলে দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু তৃণমূল আমলে ওনার কোন নেতা-মন্ত্রী দুর্নীতি করেনি? তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের কেন ঘেরাও করা হচ্ছে? পার্টি অফিস কেনও ঘেরাও করছে? পঞ্চায়েত অফিসে তালা মেরে দেওয়া হচ্ছে। এইগুলো তো CPI(M) আমলে দেখিনি। CPI(M)-এর শেষের দিকে রেশন দুর্নীতি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বাড়ির দিকে তাকিয়ে কথা বলা উচিত। মানুষ সব বোঝে ।"