ETV Bharat / city

আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে কলকাতা মেডিকেলের ডেপুটি সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা - স্বাস্থ্য দপ্তর

দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিল স্বাস্থ্য দপ্তর ৷ 2004 সাল থেকে 2007 সাল পর্যন্ত ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার থাকাকালীন আর্থিক অনিয়ম করেছিলেন বলে অভিযোগ ৷

deputy_superintendent_of_cmch_convicted_of_old_financial_irregularities
আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত কলকাতা মেডিকেল কলেজের ডেপুটি সুপার
author img

By

Published : Feb 11, 2021, 3:52 PM IST

কলকাতা, 11 ফেব্রুয়ারি: বছর 15 আগের আর্থিক অনিয়মের ঘটনায় দোষীসাব্যস্ত হলেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বর্তমান ডেপুটি সুপার। এই আর্থিক অনিয়ম হয়েছিল ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে তখন তিনি সুপার পদে ছিলেন। এই ঘটনায় তাঁর বেতন কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বেতন বৃদ্ধি এবং পদোন্নতিও পাঁচ বছরের জন্য আটকে দিল স্বাস্থ্য দপ্তর।

চিকিৎসক জয়ন্ত সান্যাল বর্তমানে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডেপুটি সুপার পদে কর্মরত রয়েছেন। বছর 15 আগে তিনি যখন ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার পদে কর্মরত ছিলেন, তখন তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। বলা হয়েছিল 2004 থেকে 2007 পর্যন্ত ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার পদে থাকাকালীন প্রায় দু’কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে তিনি জড়িত। অভিযোগ উঠেছিল, ওই সময় তিনি হাসপাতালের জন্য এমন সব সংস্থার থেকে ওষুধ, চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং রাসায়নিক কিনেছিলেন, যে সব সংস্থার নাম সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরের তালিকাভুক্ত ছিল না। ওই সব ওষুধ, চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং রাসায়নিক কিনতে প্রায় 1 কোটি 60 লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। এর পাশাপাশি, ওই হাসপাতালে স্টক থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত হাজার তিনেক টাকার ওষুধ এবং রাসায়নিক তিনি কিনেছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তবে, শুধুমাত্র এই দু’টি অভিযোগ নয়। রায়গঞ্জের একটি সংস্থাকে বকেয়ার থেকে তিনি প্রায় 30 হাজার টাকা কম পেমেন্ট করেছিলেন ৷ যদিও, এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে, প্রথম দুটি অভিযোগ ভিজিল্যান্সে প্রমাণিত হয়েছে।

আরও পড়ুন : পরিজনদের না জানিয়েই কোরোনা রোগীকে ছুটি, অভিযোগ কলকাতা মেডিকেলের বিরুদ্ধে

জানা গিয়েছে, এই আর্থিক অনিয়মের প্রায় ছয় বছর পরে বিষয়টি স্বাস্থ্য দপ্তরের নজরে আসে। যার জেরে তখন নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দপ্তর। এই ঘটনায় ভিজিল্যান্স তদন্ত হয়। তবে, সেই তদন্ত শুরু হতে আরও তিন বছর সময় পেরিয়ে গিয়েছিল। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, আর্থিক অনিয়মের তিনটির মধ্যে দু’টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার কারণে চিকিৎসক জয়ন্ত সান্য়ালের বেতন পাঁচ ধাপ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের জন্য। এর পাশাপাশি এই পাঁচ বছরে তাঁর যেমন কোনও বেতন বৃদ্ধি হবে না, তেমনই তাঁর কোনও পদোন্নতিও হবে না। পাঁচ বছর পরে তাঁর বেতন বৃদ্ধি হবে কমে যাওয়া বর্তমান বেতনের উপর। এই বিষয়ে চিকিৎসক জয়ন্ত সান্যালের বক্তব্য জানতে চেয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, তবে তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

কলকাতা, 11 ফেব্রুয়ারি: বছর 15 আগের আর্থিক অনিয়মের ঘটনায় দোষীসাব্যস্ত হলেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বর্তমান ডেপুটি সুপার। এই আর্থিক অনিয়ম হয়েছিল ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে তখন তিনি সুপার পদে ছিলেন। এই ঘটনায় তাঁর বেতন কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বেতন বৃদ্ধি এবং পদোন্নতিও পাঁচ বছরের জন্য আটকে দিল স্বাস্থ্য দপ্তর।

চিকিৎসক জয়ন্ত সান্যাল বর্তমানে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডেপুটি সুপার পদে কর্মরত রয়েছেন। বছর 15 আগে তিনি যখন ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার পদে কর্মরত ছিলেন, তখন তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। বলা হয়েছিল 2004 থেকে 2007 পর্যন্ত ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার পদে থাকাকালীন প্রায় দু’কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে তিনি জড়িত। অভিযোগ উঠেছিল, ওই সময় তিনি হাসপাতালের জন্য এমন সব সংস্থার থেকে ওষুধ, চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং রাসায়নিক কিনেছিলেন, যে সব সংস্থার নাম সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরের তালিকাভুক্ত ছিল না। ওই সব ওষুধ, চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং রাসায়নিক কিনতে প্রায় 1 কোটি 60 লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। এর পাশাপাশি, ওই হাসপাতালে স্টক থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত হাজার তিনেক টাকার ওষুধ এবং রাসায়নিক তিনি কিনেছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তবে, শুধুমাত্র এই দু’টি অভিযোগ নয়। রায়গঞ্জের একটি সংস্থাকে বকেয়ার থেকে তিনি প্রায় 30 হাজার টাকা কম পেমেন্ট করেছিলেন ৷ যদিও, এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে, প্রথম দুটি অভিযোগ ভিজিল্যান্সে প্রমাণিত হয়েছে।

আরও পড়ুন : পরিজনদের না জানিয়েই কোরোনা রোগীকে ছুটি, অভিযোগ কলকাতা মেডিকেলের বিরুদ্ধে

জানা গিয়েছে, এই আর্থিক অনিয়মের প্রায় ছয় বছর পরে বিষয়টি স্বাস্থ্য দপ্তরের নজরে আসে। যার জেরে তখন নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দপ্তর। এই ঘটনায় ভিজিল্যান্স তদন্ত হয়। তবে, সেই তদন্ত শুরু হতে আরও তিন বছর সময় পেরিয়ে গিয়েছিল। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, আর্থিক অনিয়মের তিনটির মধ্যে দু’টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার কারণে চিকিৎসক জয়ন্ত সান্য়ালের বেতন পাঁচ ধাপ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের জন্য। এর পাশাপাশি এই পাঁচ বছরে তাঁর যেমন কোনও বেতন বৃদ্ধি হবে না, তেমনই তাঁর কোনও পদোন্নতিও হবে না। পাঁচ বছর পরে তাঁর বেতন বৃদ্ধি হবে কমে যাওয়া বর্তমান বেতনের উপর। এই বিষয়ে চিকিৎসক জয়ন্ত সান্যালের বক্তব্য জানতে চেয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, তবে তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.