কলকাতা,25 এপ্রিল : গৃহপরিচারিকাদের আর্থিক সাহায্যের দাবি জানাল সারা ভারত মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠন। এছাড়াও তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লকডাউনের নিয়ম ভেঙে মদের দোকান খোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন। লকডাউনে মদের দোকান খোলায় বিঘ্নিত হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা। সারা ভারত মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই অভিযোগ করা হয়েছে। সংস্থার রাজ্য সম্পাদিকা কল্পনা দত্ত-র অভিযোগ, রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের কথা মনে করে এরাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে লকডাউনের মধ্যেই আইন ভাঙা হচ্ছে। কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে সরকারও তাঁদের মদত দিচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কল্পনা দত্ত বালির নিহত তৃণমূল কর্মী তপন দত্ত'র স্ত্রী।
মদের দোকান খোলার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কিছু দোকানদার নিয়ম ভেঙে দোকান খুলছেন বলে কল্পনাদেবীর অভিযোগ।লকডাউনের নিয়ম ভেঙে বহু মানুষ গোডাউন থেকে মদ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন। এলাকার মহিলারা সম্মিলিত ভাবে তাঁর প্রতিবাদ করছেন। এরকম খবর নিয়মিত প্রকাশ্যে আসছে। তিনি বলেন, পুলিশ এবং প্রশাসনকে এ ব্যাপারে অত্যন্ত সক্রিয় হওয়া দরকার। যাতে কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতে না পারে । মুখ্যমন্ত্রীকে কঠোর হাতে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
সারা ভারত মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠনের রাজ্য সম্পাদিকা কল্পনা দত্ত বলেন, "সারা রাজ্য জুড়ে আশাকর্মী, পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে, পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছেন। অসুস্থদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন । অথচ তাঁদের সুরক্ষার জন্য উপযুক্ত মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার অন্ততপক্ষে হ্যান্ডওয়াশ বা সাবানটুকুও ঠিক মতো দেওয়া হচ্ছে না। ফলে যে কোনও সময়ে তাঁরা কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। এঁরা যদি অসুস্থ হন, তবে রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত স্বল্প বেতনে সারাদিন পরিশ্রম করে যে পরিষেবা দিচ্ছেন তা অত্যন্ত মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ।"
এঁদের অসুবিধার কথা মনে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সারা ভারত মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠনের দাবি, এই সমস্ত কর্মীরা এবং এঁদের পরিবারের সকলে যাতে সুরক্ষিত থাকেন তাঁর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এঁদের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করা হোক।অন্যদিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে। যাঁরা গৃহ পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান, সন্তান-সন্ততিদের মুখে অন্ন তুলে দেন, তাঁদের কাজের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। তাঁদের অনেকেরই এই লকডাউনের সময় কাজ চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। লকডাউনের সময়কালে বেতন না পাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে বিভিন্ন পরিচারিকার। এই সমস্ত পরিচারিকাদের যাতে কোনও বেতন কাটা না হয়, সে বিষয়ে সরকারকে যথাযথ নজরদারির দাবি জানানো হয়েছে। এই সময় তাঁদের পর্যাপ্ত পরিমাণে সরকারি অনুদানের দাবি করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।